ছবিকে বলা হয় জীবনের প্রতিচ্ছবি। ছবি কথা বলে, ছবি ইতিহাসের সাক্ষী। ছবির ভাষা বোঝে ক’জন। একটা ছবি হতে পারে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। একটা ছবি বলে দিতে পারে অনেক কথা।
আসলে এক একটা ছবিই যেন হয়ে থাকে সময়ের দলিল। একজন আলোকচিত্রী চোখের আয়নায় দেখেন সময়কে। তুলে ধরেন একটা মুহূর্ত। আর নিজের দক্ষতায় একটি সাধারণ বিষয়কেও তিনি করে তুলতে পারেন জীবন্ত, প্রাণচঞ্চল। আর তেমনই এক ছবি তুলেছেন সাইবেরিয়ার বাসিন্দা সের্গেই গর্শকভ। কী ছবি?
গভীর অরণ্যে একটি বাঘিনী গাছকে আলিঙ্গন করে আছে! এই ছবিটি দেখে অনেকেই বলছেন, ‘এই আন্তরিক ছবি নাড়া দিয়েছে অন্তরকে।’ সে কারণেই চলতি বছরের ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার (ডাব্লিউপিওয়াই) পুরস্কারটি উঠেছে সের্গেইয়ের হাতে।
পৃথিবীর অন্যতম বিরল কোনো প্রাণী বা তার গতিবিধির ছবি তোলা মুখের কথা নয়। এমন ছবি তুলতে গেলে দক্ষতা তো বটেই, পাশাপাশি দরকার হয় বোধ হয় ভাগ্যের সহায়তাও। সের্গেই গর্শকভ নিঃসন্দেহে তেমনই একজন দক্ষ ও সৌভাগ্যবান মানুষ।
আরও পড়ুন : মেক্সিকো সীমান্তে পৃথিবীর দীর্ঘতম সুড়ঙ্গের সন্ধান
গভীর অরণ্যে বাঘিনী আলিঙ্গন করে আছে গাছকে-এমনই এক মায়াময় ছবি তুলেছেন তিনি। আর এই ছবিটি নিয়েই গোটা বিশ্বে তুমুল শোরগোল পড়ে গেছে।
ছবিটিকে পুরস্কৃত করতে গিয়ে বিচারকরা বলেছেন, সের্গেইয়ের তোলা ছবিতে আলো রং এবং টেক্সচারের যে বিরল মিশ্রণ ধরা পড়েছে, তা একমাত্র আঁকা ছবিতেই সম্ভব। অনেকেই বলছেন, বাঘটি দেখে মনে হচ্ছে, ও যেন ওই অরণ্যেরই একান্ত অংশ।
ওর লেজটা এমনভাবে বেঁকে আছে যেন ওটাই গাছের শিকড়। দুটি সত্তা মিলেমিশে একাকার। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছবিটি তুলতে ১০ মাস আগে ক্যামেরা সেট করে রেখেছিলেন সের্গেই গর্শকভ। তারপর মিলেছে সাফল্য।
সূত্র : এই সময়।
যোগাযোগ ডেস্ক 
























