Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ বছর পর বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশের মাটিতেই এবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এ টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানেই উদ্বোধনী ম্যাচে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) স্কটিশদের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। শারজায় আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ১১৯ রানের সংগ্রহ পায়। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগ্রেস বোলারদের তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে থামে স্কটল্যান্ড। তাতে ১৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা।

এতে ১০ বছর বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। বাংলাদেশের মেয়েরা বিশ্বকাপে মঞ্চে ২০১৪ থেকে শুরু করে, সেই বছরই দুইটি জয়ের দেখা পায়। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর জয়ের দেখা পায়নি টাইগ্রেসরা। অবশেষ নবম আসরে এসে সেই খরা কাটিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছে। এদিকে এই ম্যাচে টস করতে নেমেই শততম ম্যাচের মাইলফলক ছুয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

২০১৪ আসরে দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দুটি জয়ের পর টানা চার বিশ্বকাপে ১৬ ম্যাচ হেরে অবশেষে আবার জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এবারের ম্যাচের একাদশে থাকা ফাহিমা ও স্কোয়াডে থাকা জাহানারা আলম কেবল ছিলেন ১০ বছর আগের সেই জয়ে। দেশের বাইরে বিশ্বকাপে জয় এটি প্রথম।

বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে একশ টি-টোয়েন্টি পূর্ণ করার ম্যাচে নিগার ব্যাট হাতে দারুণ কিছু করতে না পারলেও উপলক্ষ তার জন্য স্মরণীয় হয়ে রইল দলের জয়ে।

এক উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ১০০ টি-টোয়েন্টি উইকেট পূর্ণ করেন নাহিদা। এক উইকেট নিয়ে ফাহিমা খাতুন ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন দশের পঞ্চম বোলার হিসেবে। তবে চার ওভারে ১৫ রানে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা রিতু মনি।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটায় ছিল ভালো কিছুর ইঙ্গিত। প্রথম দুই ওভারে সাথি রানি বর্মনের দুটি ও পরের ওভারে মুর্শিদা খাতুনের একটি বাউন্ডারিতে তিন ওভারে রান আসে ২০।

এরপরই রানের গতি কমে আসে। উইকেটও হারাতে হয়। ১২ রানে সহজ ক্যাচ দিয়ে রক্ষা পেলেও কোনো রান যোগ না করেই আবার ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুর্শিদা। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তুলতে পারে ৩৫ রান।

সাথি রানির সঙ্গে জুটি গড়ে ওঠে তিনে নামা সোবহানা মোস্তারির। তবে দ্রুত রান তুলতে পারেননি কেউ। বাউন্ডারি আসেনি প্রত্যাশা মতো।

ঘরোয়া ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে দলে ফিরে এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে নামা সাথি চেষ্টা করেছেন আগ্রাসী শট খেলতে। কিন্তু টাইমিং ঠিকঠাক করতে পারেননি। ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ৫৫।

সাথি চেষ্টা করে গেছেন রানের গতিতে দম দিতে। ক্যাথেরিন ফ্রেজারের বলে একটি বাউন্ডারি আদায় করেন তিনি। ওই ওভারেই উড়িয়ে মারার চেষ্টায় তার ইনিংস থামে ৩২ বলে ২৯ রান করে। তার ছয় ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস এটি।

ইনিংসের সেটি দ্বাদশ ওভার। নিগার ক্রিজে যাননি তখনও। বরং চারে পাঠানো হয় অভিষিক্ত তাজ নেহারকে। তবে জন্মদিনে কোনো রান না করেই রান আউট হয়ে যান ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার।

নিগার ক্রিজে যান এরপর। ততক্ষণে উইকেটে জমে গেছেন সোবহানা। অনেক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পেরে সমালোচনার মধ্যে থাকা এই ব্যাটার এ দিন খুব খারাপ করেননি। তবে বলপ্রতি রান তুললেও থিতু হওয়ার পর পারেননি ইনিংসকে আরও গতিময় করতে।

বড় শটের চেষ্টাতেই সোবহানার ইনিংস থামে ১৫ ওভারের পর। স্টাম্পড হয়ে যান তিনি অলিভিয়া বেলের বলে। ৩৬ রান করতে ৩৮ রান করেন এই ব্যাটার। ৩৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৩০ রান ছাড়াতে পারলেন তিনি।

এরপর স্বর্ণা আক্তার ও রিতু মনি পারেননি সময়ের দাবি মেটাতে। একটি বাউন্ডারি ছাড়া দ্রুততায় রান তুলতে পারেননি নিগারও (১৮ বলে ১৮)। শেষ ওভারের প্রথম বলে জীবন পেয়ে আউট হয়ে যান তিনি পঞ্চম বলে।

শেষ দিকে স্কুপ শটে ফাহিমা খাতুনের দুটি বাউন্ডারিতে ১২০ রানের কাছে যেতে পারে বাংলাদেশ।

মাঝবিরতিতে টিভি সাক্ষাৎকারে সোবহানা মোস্তারি বলেন, ১৪০ রানের লক্ষ্য ছিল তাদের। তবে নিজেদের বোলিং সামর্থ্যে প্রবল আস্থার কথাও বলেন তিনি। বোলাররা সেই ভরসার প্রতিদান দেন দারুণভাবেই।

রান তাড়ায় নামা স্কটল্যান্ডের প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন তৃতীয় ওভারে আক্রমণে আসা লেগ স্পিনার ফাহিম খাতুন। তার প্রথম বলেই সাসকিয়া হর্লির ক্যাচ ছাড়েন নিগার। তবে এক বল পরই হর্লিকে স্টাম্পড করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১২ বলে ৮ রান করেছিলেন তিনি। এরপরও পাওয়ার প্লেটা ভালোই কাটছিল স্কটিশ মেয়েদের।

ছয় ওভারে তারা তোলে ৩১ রান। যদিও মারুফার করা পাওয়ার প্লের শেষ বলে বোল্ড হন ক্যাথরিন ব্রাইস। ১১ বলে ১১ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে স্কটিশরা।

স্কটল্যান্ডের বড় দুই ভরসা দুই বোন সারাহ ব্রাইস ও ক্যাথরিন ব্রাইসের জুটি লম্বা হতে দেননি মারুফা আক্তার। পাওয়ার প্লের শেষ বলে নিচু হওয়া ইনসুইঙ্গারে ক্যাথরিনকে বোল্ড করে দেন এই পেসার।

বোলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করে স্কটিশদের রানের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। লেগ স্পিনার রাবেয়া খানের বলে ক্যাচ দিয়ে ৩ রানে স্বর্ণার হাতে জীবন পান আইলসা লিস্টার।

পরের ওভারে আক্রমণে এসেই লিস্টারকে ১১ রানে থামান রিতু মনি। প্রিয়ানাজ চ্যাটার্জি দ্রুতই ফেরেন রান আউটে। রিতুর বলেই একটু পরে সীমানায় ফাহিমার দারুণ এক ক্যাচে বিদায় নেন ডার্সি কার্টার।

এক প্রান্ত আগলে রাখা সারাহ ব্রাইসকে ২৯ রানে স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন নিগার। পরে আরও দুই দফায় জীবন পান তিনি। কিন্তু বাংলাদেশকে ভুগতে হয়নি এজন্য। ওপেন করতে নেমে ৫২ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি স্রেফ একটি চার মেরে। স্কটল্যান্ডের গোটা ইনিংসে চার ছিল মোটে পাঁচটি। ১১ ওভারের পর চার হয়নি একটিও।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পেয়েছেন রিতু মনি। এ ছাড়া একটি করে শিকার ধরেছেন মারুফা, রাবেয়া, ফাহিমা ও নাহিদা। স্বর্ণা আক্তার বাদে বাকি সবাই মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। এই মাঠেই ম্যাচটি শনিবার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

১০ বছর পর বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৯:২৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশের মাটিতেই এবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এ টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানেই উদ্বোধনী ম্যাচে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) স্কটিশদের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। শারজায় আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ১১৯ রানের সংগ্রহ পায়। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগ্রেস বোলারদের তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে থামে স্কটল্যান্ড। তাতে ১৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা।

এতে ১০ বছর বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। বাংলাদেশের মেয়েরা বিশ্বকাপে মঞ্চে ২০১৪ থেকে শুরু করে, সেই বছরই দুইটি জয়ের দেখা পায়। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর জয়ের দেখা পায়নি টাইগ্রেসরা। অবশেষ নবম আসরে এসে সেই খরা কাটিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছে। এদিকে এই ম্যাচে টস করতে নেমেই শততম ম্যাচের মাইলফলক ছুয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

২০১৪ আসরে দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দুটি জয়ের পর টানা চার বিশ্বকাপে ১৬ ম্যাচ হেরে অবশেষে আবার জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এবারের ম্যাচের একাদশে থাকা ফাহিমা ও স্কোয়াডে থাকা জাহানারা আলম কেবল ছিলেন ১০ বছর আগের সেই জয়ে। দেশের বাইরে বিশ্বকাপে জয় এটি প্রথম।

বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে একশ টি-টোয়েন্টি পূর্ণ করার ম্যাচে নিগার ব্যাট হাতে দারুণ কিছু করতে না পারলেও উপলক্ষ তার জন্য স্মরণীয় হয়ে রইল দলের জয়ে।

এক উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ১০০ টি-টোয়েন্টি উইকেট পূর্ণ করেন নাহিদা। এক উইকেট নিয়ে ফাহিমা খাতুন ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন দশের পঞ্চম বোলার হিসেবে। তবে চার ওভারে ১৫ রানে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা রিতু মনি।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটায় ছিল ভালো কিছুর ইঙ্গিত। প্রথম দুই ওভারে সাথি রানি বর্মনের দুটি ও পরের ওভারে মুর্শিদা খাতুনের একটি বাউন্ডারিতে তিন ওভারে রান আসে ২০।

এরপরই রানের গতি কমে আসে। উইকেটও হারাতে হয়। ১২ রানে সহজ ক্যাচ দিয়ে রক্ষা পেলেও কোনো রান যোগ না করেই আবার ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুর্শিদা। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তুলতে পারে ৩৫ রান।

সাথি রানির সঙ্গে জুটি গড়ে ওঠে তিনে নামা সোবহানা মোস্তারির। তবে দ্রুত রান তুলতে পারেননি কেউ। বাউন্ডারি আসেনি প্রত্যাশা মতো।

ঘরোয়া ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে দলে ফিরে এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে নামা সাথি চেষ্টা করেছেন আগ্রাসী শট খেলতে। কিন্তু টাইমিং ঠিকঠাক করতে পারেননি। ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ৫৫।

সাথি চেষ্টা করে গেছেন রানের গতিতে দম দিতে। ক্যাথেরিন ফ্রেজারের বলে একটি বাউন্ডারি আদায় করেন তিনি। ওই ওভারেই উড়িয়ে মারার চেষ্টায় তার ইনিংস থামে ৩২ বলে ২৯ রান করে। তার ছয় ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস এটি।

ইনিংসের সেটি দ্বাদশ ওভার। নিগার ক্রিজে যাননি তখনও। বরং চারে পাঠানো হয় অভিষিক্ত তাজ নেহারকে। তবে জন্মদিনে কোনো রান না করেই রান আউট হয়ে যান ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার।

নিগার ক্রিজে যান এরপর। ততক্ষণে উইকেটে জমে গেছেন সোবহানা। অনেক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পেরে সমালোচনার মধ্যে থাকা এই ব্যাটার এ দিন খুব খারাপ করেননি। তবে বলপ্রতি রান তুললেও থিতু হওয়ার পর পারেননি ইনিংসকে আরও গতিময় করতে।

বড় শটের চেষ্টাতেই সোবহানার ইনিংস থামে ১৫ ওভারের পর। স্টাম্পড হয়ে যান তিনি অলিভিয়া বেলের বলে। ৩৬ রান করতে ৩৮ রান করেন এই ব্যাটার। ৩৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৩০ রান ছাড়াতে পারলেন তিনি।

এরপর স্বর্ণা আক্তার ও রিতু মনি পারেননি সময়ের দাবি মেটাতে। একটি বাউন্ডারি ছাড়া দ্রুততায় রান তুলতে পারেননি নিগারও (১৮ বলে ১৮)। শেষ ওভারের প্রথম বলে জীবন পেয়ে আউট হয়ে যান তিনি পঞ্চম বলে।

শেষ দিকে স্কুপ শটে ফাহিমা খাতুনের দুটি বাউন্ডারিতে ১২০ রানের কাছে যেতে পারে বাংলাদেশ।

মাঝবিরতিতে টিভি সাক্ষাৎকারে সোবহানা মোস্তারি বলেন, ১৪০ রানের লক্ষ্য ছিল তাদের। তবে নিজেদের বোলিং সামর্থ্যে প্রবল আস্থার কথাও বলেন তিনি। বোলাররা সেই ভরসার প্রতিদান দেন দারুণভাবেই।

রান তাড়ায় নামা স্কটল্যান্ডের প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন তৃতীয় ওভারে আক্রমণে আসা লেগ স্পিনার ফাহিম খাতুন। তার প্রথম বলেই সাসকিয়া হর্লির ক্যাচ ছাড়েন নিগার। তবে এক বল পরই হর্লিকে স্টাম্পড করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১২ বলে ৮ রান করেছিলেন তিনি। এরপরও পাওয়ার প্লেটা ভালোই কাটছিল স্কটিশ মেয়েদের।

ছয় ওভারে তারা তোলে ৩১ রান। যদিও মারুফার করা পাওয়ার প্লের শেষ বলে বোল্ড হন ক্যাথরিন ব্রাইস। ১১ বলে ১১ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে স্কটিশরা।

স্কটল্যান্ডের বড় দুই ভরসা দুই বোন সারাহ ব্রাইস ও ক্যাথরিন ব্রাইসের জুটি লম্বা হতে দেননি মারুফা আক্তার। পাওয়ার প্লের শেষ বলে নিচু হওয়া ইনসুইঙ্গারে ক্যাথরিনকে বোল্ড করে দেন এই পেসার।

বোলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করে স্কটিশদের রানের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। লেগ স্পিনার রাবেয়া খানের বলে ক্যাচ দিয়ে ৩ রানে স্বর্ণার হাতে জীবন পান আইলসা লিস্টার।

পরের ওভারে আক্রমণে এসেই লিস্টারকে ১১ রানে থামান রিতু মনি। প্রিয়ানাজ চ্যাটার্জি দ্রুতই ফেরেন রান আউটে। রিতুর বলেই একটু পরে সীমানায় ফাহিমার দারুণ এক ক্যাচে বিদায় নেন ডার্সি কার্টার।

এক প্রান্ত আগলে রাখা সারাহ ব্রাইসকে ২৯ রানে স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন নিগার। পরে আরও দুই দফায় জীবন পান তিনি। কিন্তু বাংলাদেশকে ভুগতে হয়নি এজন্য। ওপেন করতে নেমে ৫২ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি স্রেফ একটি চার মেরে। স্কটল্যান্ডের গোটা ইনিংসে চার ছিল মোটে পাঁচটি। ১১ ওভারের পর চার হয়নি একটিও।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পেয়েছেন রিতু মনি। এ ছাড়া একটি করে শিকার ধরেছেন মারুফা, রাবেয়া, ফাহিমা ও নাহিদা। স্বর্ণা আক্তার বাদে বাকি সবাই মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। এই মাঠেই ম্যাচটি শনিবার।