নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রায় ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমস ভ্যালুয়েশন অ্যান্ড ইন্টারনাল অডিট বিভাগের বর্তমান কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৩১ জুলাই) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। রাজধানীর মগবাজারের ভ্যালুয়েশন অ্যান্ড ইন্টারনাল অডিট কমিশনারেটের কমিশনার অব কাস্টমস এনামুল হকের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৭ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কাস্টমসের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাড়ি ফেনী জেলার সোনাগাজী পৌরসভা এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তার বাবার নাম আহম্মদুর রহমান।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমস ভ্যালুয়েশন অ্যান্ড ইন্টারনাল অডিট বিভাগের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরপর ওই বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তার বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। রাজধানীর রামপুরা ও আফতাবনগরসহ বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে জমি ও ফ্ল্যাট কেনা এবং অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলমের দায়ের করা এজাহারে বলা হয়, এনামুল হক ১৯৯৩ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৭ কোটি ৭৬ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। এর মধ্যে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
মোহাম্মদ এনামুল হক রাজধানীর কাকরাইল ভুঁইয়া ট্রেড সেন্টারের দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরের সারা আফতাব টাওয়ারের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক স্পেস, বনানীর কে ব্লকের ২৮ নম্বর রোডের এক নম্বর প্লটে গ্লিডিয়া সাহিদা ভবনের এক নম্বর ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের ডি ব্লকে মোহাম্মদপুর হাউজিং স্টেটের ২২/১০ নম্বর প্লটের সাড়া সন্ধানী লাইফ টাওয়ারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার সম্পূর্ণ স্পেসসহ ঢাকার বসুন্ধরা ও ফেনীতে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।