নিজস্ব প্রতিবেদক :
বহুল আলোচিত সাংবাদিক সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময়সীমা আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে ১০৩ বারের মতো এই মামলার প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।
চলতি বছরের ৭ আগস্ট একই আদালত র্যাবকে আজকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন।
এর আগে, দুটি পৃথক আদালত তদন্ত এবং হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য উদঘাটন এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারে তদন্তকারীদের ব্যর্থতার জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন। অন্য আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় হতাশ সাগর-রুনির পরিবার।
মামলার বাদী নওশের আলম রোমান বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ১১ বছর হয়ে গেলো। এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি তদন্তকারী সংস্থা। এতদিনে প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় আমরা হতাশ। গত সাড়ে ১১ বছরে আমার চোখের সামনে অনেক আলোচিত হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়েছে। সেসব মামলার আসামিদের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত আটকে আছে? সরকারের কাছে আমাদের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য যেন দ্রুত উদ্ঘাটন করা হয়।