Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ সুসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মার্কিন নির্বাচনে জয়ের পর তার চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। এটিই হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের দেওয়া প্রথম নিয়োগ।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রচারাভিযানের ব্যবস্থাপক সুসি ওয়াইলসকে হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ করার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

রিপাবলিকানদের নির্বাচনে জয়ী হতে সাহায্য করেছেন এমন একজন রাজনৈতিক কর্মীকে শীর্ষ পদের দায়িত্ব অর্পণ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশের আগে নিজের প্রশাসনে যাদের যুক্ত করবেন ট্রাম্প তাদের মধ্যে প্রথম সুসির নিয়োগ ঘোষণা করলেন। সুসি হোয়াইট হাউসে নিয়োগ পাওয়া প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ হবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জানা গেছে, হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সাধারণত প্রতিটি প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা মূলত হোয়াইট হাউসের ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন এবং প্রেসিডেন্টের কর্মীদের একত্রিত করার দায়িত্ব থাকে তাদের ওপর। একজন প্রধান প্রেসিডেন্টের এক্সিকিউটিভ অফিসের মাধ্যমে কর্মীদের নেতৃত্ব দেন এবং সমস্ত দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং কর্মীদের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন। তারা নীতিগত বিষয়ে প্রেসিডেন্টদের পরামর্শও দিয়ে থাকেন এবং নীতি উন্নয়নের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করেন।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, সুসি একজন কঠোর, স্মার্ট, উদ্ভাবনী এবং সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আমেরিকাকে আবার গ্রেট করার জন্য সুসি অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘সুসি ওয়াইলস আমাকে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিজয়গুলোর মধ্যে অন্যতম এক বিজয়কে অর্জন করতে সাহায্য করেছেন ।’

এছাড়া সুসি সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সুসি দলকে নেতৃত্ব দিতে এবং আমেরিকা ফার্স্ট এজেন্ডা প্রদানে সহায়তা করার জন্য অসাধারণভাবে কাজ করবেন।’

ওয়াইলস ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার সিনিয়র উপদেষ্টা ছিলেন এবং মঙ্গলবার নির্বাচনের দিন অনুষ্ঠিত রাতের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প সুসির প্রশসংসা করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সুসি নেপথ্যে থেকে কাজ করতে পছন্দ করেন।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে সুসি একজন ‘ভয়ঙ্কর পরিচালক’ হিসেবে পরিচিত। এ ব্যাপারে গত এপ্রিলে পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুসি বলেছিলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে শিষ্টাচারের মতো বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অনেকেই মনে করেন, আমি খুব ভয়ঙ্কর ও কঠোর। আসলে তা নয়। আমি খুবই ভদ্র।’

১৯৮০ সালে রোনাল্ড রিগানের নির্বাচনি প্রচারশিবিরে কাজ করার মধ্য দিয়ে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সুসি। ২০১০ সালে তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর হন। সুসি ওয়ইলস ২০১৫ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রাইমারির সময় ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার ফ্লোরিডা প্রচারণার সহসভাপতি হন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ সুসি

প্রকাশের সময় : ০১:০১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মার্কিন নির্বাচনে জয়ের পর তার চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। এটিই হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের দেওয়া প্রথম নিয়োগ।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রচারাভিযানের ব্যবস্থাপক সুসি ওয়াইলসকে হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ করার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

রিপাবলিকানদের নির্বাচনে জয়ী হতে সাহায্য করেছেন এমন একজন রাজনৈতিক কর্মীকে শীর্ষ পদের দায়িত্ব অর্পণ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশের আগে নিজের প্রশাসনে যাদের যুক্ত করবেন ট্রাম্প তাদের মধ্যে প্রথম সুসির নিয়োগ ঘোষণা করলেন। সুসি হোয়াইট হাউসে নিয়োগ পাওয়া প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ হবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জানা গেছে, হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সাধারণত প্রতিটি প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা মূলত হোয়াইট হাউসের ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন এবং প্রেসিডেন্টের কর্মীদের একত্রিত করার দায়িত্ব থাকে তাদের ওপর। একজন প্রধান প্রেসিডেন্টের এক্সিকিউটিভ অফিসের মাধ্যমে কর্মীদের নেতৃত্ব দেন এবং সমস্ত দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং কর্মীদের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন। তারা নীতিগত বিষয়ে প্রেসিডেন্টদের পরামর্শও দিয়ে থাকেন এবং নীতি উন্নয়নের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করেন।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, সুসি একজন কঠোর, স্মার্ট, উদ্ভাবনী এবং সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আমেরিকাকে আবার গ্রেট করার জন্য সুসি অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘সুসি ওয়াইলস আমাকে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিজয়গুলোর মধ্যে অন্যতম এক বিজয়কে অর্জন করতে সাহায্য করেছেন ।’

এছাড়া সুসি সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সুসি দলকে নেতৃত্ব দিতে এবং আমেরিকা ফার্স্ট এজেন্ডা প্রদানে সহায়তা করার জন্য অসাধারণভাবে কাজ করবেন।’

ওয়াইলস ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার সিনিয়র উপদেষ্টা ছিলেন এবং মঙ্গলবার নির্বাচনের দিন অনুষ্ঠিত রাতের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প সুসির প্রশসংসা করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সুসি নেপথ্যে থেকে কাজ করতে পছন্দ করেন।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে সুসি একজন ‘ভয়ঙ্কর পরিচালক’ হিসেবে পরিচিত। এ ব্যাপারে গত এপ্রিলে পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুসি বলেছিলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে শিষ্টাচারের মতো বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অনেকেই মনে করেন, আমি খুব ভয়ঙ্কর ও কঠোর। আসলে তা নয়। আমি খুবই ভদ্র।’

১৯৮০ সালে রোনাল্ড রিগানের নির্বাচনি প্রচারশিবিরে কাজ করার মধ্য দিয়ে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সুসি। ২০১০ সালে তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর হন। সুসি ওয়ইলস ২০১৫ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রাইমারির সময় ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার ফ্লোরিডা প্রচারণার সহসভাপতি হন।