Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হেসেখেলে পাকিস্তানকে হারালো ভারত

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  • ২১৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ভারত ৮: ০ পাকিস্তান। বিশ্বকাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই এতটাই একপেশে, এর আগে সাতবারের দেখায়ও ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। অষ্টমবারও একই পরিণতি হলো।

আহমেদাবাদে শনিবার (১৪ অক্টোবর) পাকিস্তানকে গুড়িয়ে ৭ উইকেট আর ১১৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় ম্যাচে জিতলো রোহিত শর্মার দল, উঠে গেলো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর পাকিস্তান পেলো হারের স্বাদ।

এই জয়ে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল ভারত। তাদের মতোই প্রথম দুই ম্যাচে জিতে আহমেদাবাদে এসেছিল পাকিস্তান। কিন্তু আজকের এমন হার বড়ই ধাক্কা দিল তাদের। বিশ্বকাপে অষ্টমবারের দেখাতেও চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বীদের কাছে পাত্তা পেল না তারা।

ছোট লক্ষ্যে নেমেই আগ্রাসী রোহিত শর্মা। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে তার চারে ভারত রানের খাতা খোলে। ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে এদিন একাদশে জায়গা পান শুবমান গিল। তারও শুরুটা দারুণ ছিল। ইনিংসের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মারেন। পরের ওভারে হাসান আলী তার কাছে তিনটি চার হজম করেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি ইষান কিষাণের স্থলাভিষিক্ত এই ব্যাটার। ১১ বলে চারটি চারে ১৬ রানে থামেন ভারতীয় ওপেনার। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে শাদাব খানের ক্যাচ হন গিল।

দুই নম্বরে নেমে রোহিতের ঝড়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি বিরাট কোহলি। ৪২ বলে ৫৬ রানের জুটিতে তার অবদান ছিল কেবল ১৬ রান। ১৮ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার, যার সবগুলো ছিল আফ্রিদির বলে।

ডাক মেরে বিশ্বকাপ শুরু করা রোহিত ৩৬ বলে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার পঞ্চাশ ছোঁন। তিনটি চার ও চারটি ছয় মারেন হাফ সেঞ্চুরি করতে। টানা দ্বিতীয় ও বিশ্বকাপের অষ্টম শতক হাঁকানোর পথে ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু পারেননি। শাহীনের বলে মিডউইকেটে ইফতিখার আহমেদের ক্যাচ হন তিনি। দারুণ এক ইনিংস খেললেও আফসোস নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। রোহিতের ৮৬ রানের ইনিংস ছিল ৬৩ বলের, ছয়টি করে চার ও ছয় মারেন। সবচেয়ে বেশি চড়াও হন তিনি হারিস রউফের ওপর। ছয় ছক্কার মধ্যে তিনটিই মেরেছেন পাকিস্তানি পেসারের বলে। শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন রোহিত।

আইয়ারকে সঙ্গ দিতে নামেন লোকেশ রাহুল। দুজনে মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। শেষ দিকে এসে আইয়ারের হাফ সেঞ্চুরির জন্য রাহুল রক্ষণাত্মক খেলেছেন। তার দেওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি আইয়ার। ৩১তম ওভারের তৃতীয় বলের মোকাবিলার আগে হাফ সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন ছিল ১ রান এবং জয়ের জন্য ৪ রান। লং অফ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি ও জয় দুটোই আদায় করেন ডানহাতি ব্যাটার। ৬২ বলে তিন চার ও দুই ছয়ে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আইয়ার।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাটিং করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন ইমামুল হক ও আবদুল্লাহ শফিক। শুরু থেকে ভারতের বোলারদের উপর চাড়াও দুই পাক ওপেনার।

কিন্তু ইনিংসের অষ্টম ওভারে আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো আব্দুল্লাহ শফিক মোহাম্মদ সিরাজের বলে লেগ বি ফোরের ফাঁদে পড়েন। দলীয় ৪১ রানের প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তান ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৯ রান তুলে। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক বাবর আজম। তাকে নিয়ে ইনিংস বড় করার আভাস দিলেও দ্রুত আউট হন ইমামুল হক। দলীয় ৭৩ রানে ৩৮ বলে ৩৬ রানে আউট হন তিনি।

গত দুই ম্যাচে রান পাননি বাবর আজম। বলা যায় ব্যর্থই ছিলেন। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে দলের সেরা ব্যাটারের এমন অফফর্ম টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তার কারণ ছিল। তবে আজ ভারতের বিপক্ষে ঠিকই স্বরূপে ফিরলেন এই ব্যাটার। দুই ওপেনার দ্রুত সাজঘরে ফেরার পর রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন বাবর। তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরিও।

চলমান বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম ফিফটি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক। মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পরই পথ হারায় দল। ৩৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেগ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন কুলদীপ। টার্ন করে ভেতররের দিকে ঢোকা বলে লাইন মিস করেছেন সউদ শাকিল। বল পায়ে আঘাত হানলে আম্পায়ার আউট দেননি। তবে রিভিউ নেনে রোহিত। তাতে দেখা যায় বল লেগ ও মিডল স্টাম্পে আঘাত হানতো। ফলে সাজঘরে ফিরতে হয় শাকিলকে।

তিন বল পর ফিরেছেন ইফতিখার আহমেদও। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে সুইপ করতে গিয়ে ইনসাইড এডজে বোল্ড হয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪ রান।

পরের ওভারেই ফিরেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ৪৯ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহরা বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। এক ওভার পর আক্রমণে ফিরে শাদাব খানকেও বোল্ড করেছেন এই ডানহাতি পেসার। একই সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদন্ড ভেঙে দেন বুমরাহ।

এরপর আর দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। বলার মতো স্কোর করতে পারেননি লোয়ার মিডল অর্ডারের কোনো ব্যাটার। মাত্র ৩৬ রান যোগ করতেই শেষের ৮ উইকেট হারিয়েছে বাবরের দল। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বোলারদের তোপে ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন পাঁচ জন বোলার। পাকিস্তানের হয়ে ৫০ রান করেন অধিনায়ক বাবর।

এই জয়ে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল ভারত। তাদের মতোই প্রথম দুই ম্যাচে জিতে আহমেদাবাদে এসেছিল পাকিস্তান। কিন্তু আজকের এমন হার বড়ই ধাক্কা দিল তাদের। বিশ্বকাপে অষ্টমবারের দেখাতেও চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বীদের কাছে পাত্তা পেল না তারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

হেসেখেলে পাকিস্তানকে হারালো ভারত

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ভারত ৮: ০ পাকিস্তান। বিশ্বকাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই এতটাই একপেশে, এর আগে সাতবারের দেখায়ও ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। অষ্টমবারও একই পরিণতি হলো।

আহমেদাবাদে শনিবার (১৪ অক্টোবর) পাকিস্তানকে গুড়িয়ে ৭ উইকেট আর ১১৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় ম্যাচে জিতলো রোহিত শর্মার দল, উঠে গেলো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর পাকিস্তান পেলো হারের স্বাদ।

এই জয়ে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল ভারত। তাদের মতোই প্রথম দুই ম্যাচে জিতে আহমেদাবাদে এসেছিল পাকিস্তান। কিন্তু আজকের এমন হার বড়ই ধাক্কা দিল তাদের। বিশ্বকাপে অষ্টমবারের দেখাতেও চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বীদের কাছে পাত্তা পেল না তারা।

ছোট লক্ষ্যে নেমেই আগ্রাসী রোহিত শর্মা। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে তার চারে ভারত রানের খাতা খোলে। ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে এদিন একাদশে জায়গা পান শুবমান গিল। তারও শুরুটা দারুণ ছিল। ইনিংসের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মারেন। পরের ওভারে হাসান আলী তার কাছে তিনটি চার হজম করেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি ইষান কিষাণের স্থলাভিষিক্ত এই ব্যাটার। ১১ বলে চারটি চারে ১৬ রানে থামেন ভারতীয় ওপেনার। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে শাদাব খানের ক্যাচ হন গিল।

দুই নম্বরে নেমে রোহিতের ঝড়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি বিরাট কোহলি। ৪২ বলে ৫৬ রানের জুটিতে তার অবদান ছিল কেবল ১৬ রান। ১৮ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার, যার সবগুলো ছিল আফ্রিদির বলে।

ডাক মেরে বিশ্বকাপ শুরু করা রোহিত ৩৬ বলে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার পঞ্চাশ ছোঁন। তিনটি চার ও চারটি ছয় মারেন হাফ সেঞ্চুরি করতে। টানা দ্বিতীয় ও বিশ্বকাপের অষ্টম শতক হাঁকানোর পথে ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু পারেননি। শাহীনের বলে মিডউইকেটে ইফতিখার আহমেদের ক্যাচ হন তিনি। দারুণ এক ইনিংস খেললেও আফসোস নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। রোহিতের ৮৬ রানের ইনিংস ছিল ৬৩ বলের, ছয়টি করে চার ও ছয় মারেন। সবচেয়ে বেশি চড়াও হন তিনি হারিস রউফের ওপর। ছয় ছক্কার মধ্যে তিনটিই মেরেছেন পাকিস্তানি পেসারের বলে। শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন রোহিত।

আইয়ারকে সঙ্গ দিতে নামেন লোকেশ রাহুল। দুজনে মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। শেষ দিকে এসে আইয়ারের হাফ সেঞ্চুরির জন্য রাহুল রক্ষণাত্মক খেলেছেন। তার দেওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি আইয়ার। ৩১তম ওভারের তৃতীয় বলের মোকাবিলার আগে হাফ সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন ছিল ১ রান এবং জয়ের জন্য ৪ রান। লং অফ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি ও জয় দুটোই আদায় করেন ডানহাতি ব্যাটার। ৬২ বলে তিন চার ও দুই ছয়ে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আইয়ার।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাটিং করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন ইমামুল হক ও আবদুল্লাহ শফিক। শুরু থেকে ভারতের বোলারদের উপর চাড়াও দুই পাক ওপেনার।

কিন্তু ইনিংসের অষ্টম ওভারে আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো আব্দুল্লাহ শফিক মোহাম্মদ সিরাজের বলে লেগ বি ফোরের ফাঁদে পড়েন। দলীয় ৪১ রানের প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তান ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৯ রান তুলে। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক বাবর আজম। তাকে নিয়ে ইনিংস বড় করার আভাস দিলেও দ্রুত আউট হন ইমামুল হক। দলীয় ৭৩ রানে ৩৮ বলে ৩৬ রানে আউট হন তিনি।

গত দুই ম্যাচে রান পাননি বাবর আজম। বলা যায় ব্যর্থই ছিলেন। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে দলের সেরা ব্যাটারের এমন অফফর্ম টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তার কারণ ছিল। তবে আজ ভারতের বিপক্ষে ঠিকই স্বরূপে ফিরলেন এই ব্যাটার। দুই ওপেনার দ্রুত সাজঘরে ফেরার পর রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন বাবর। তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরিও।

চলমান বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম ফিফটি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক। মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পরই পথ হারায় দল। ৩৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেগ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন কুলদীপ। টার্ন করে ভেতররের দিকে ঢোকা বলে লাইন মিস করেছেন সউদ শাকিল। বল পায়ে আঘাত হানলে আম্পায়ার আউট দেননি। তবে রিভিউ নেনে রোহিত। তাতে দেখা যায় বল লেগ ও মিডল স্টাম্পে আঘাত হানতো। ফলে সাজঘরে ফিরতে হয় শাকিলকে।

তিন বল পর ফিরেছেন ইফতিখার আহমেদও। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে সুইপ করতে গিয়ে ইনসাইড এডজে বোল্ড হয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪ রান।

পরের ওভারেই ফিরেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ৪৯ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহরা বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। এক ওভার পর আক্রমণে ফিরে শাদাব খানকেও বোল্ড করেছেন এই ডানহাতি পেসার। একই সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদন্ড ভেঙে দেন বুমরাহ।

এরপর আর দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। বলার মতো স্কোর করতে পারেননি লোয়ার মিডল অর্ডারের কোনো ব্যাটার। মাত্র ৩৬ রান যোগ করতেই শেষের ৮ উইকেট হারিয়েছে বাবরের দল। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বোলারদের তোপে ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন পাঁচ জন বোলার। পাকিস্তানের হয়ে ৫০ রান করেন অধিনায়ক বাবর।

এই জয়ে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল ভারত। তাদের মতোই প্রথম দুই ম্যাচে জিতে আহমেদাবাদে এসেছিল পাকিস্তান। কিন্তু আজকের এমন হার বড়ই ধাক্কা দিল তাদের। বিশ্বকাপে অষ্টমবারের দেখাতেও চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বীদের কাছে পাত্তা পেল না তারা।