বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এখান থেকে হিমালয় কাছেই। আকাশ পরিস্কার থাকলে দূর থেকে চোখে ভাসে হিমালয়। হেমন্তের শুরুতেই হাতছানি দিচ্ছে হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো পরিষ্কারভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে গত বৃহস্পতিবার ভোরে।
বিদেশ গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সামর্থ্য কিংবা সুযোগ যাদের নেই, তাদের জন্য পঞ্চগড় একমাত্র বিকল্প জায়গা।
কেবল মেঘমুক্ত ও কুয়াশামুক্ত গাঢ় নীল আকাশ থাকলেই খালি চোখে দেখা দেয় হিমালয়ের এই পর্বতশৃঙ্গ। কাঞ্চনজঙ্ঘার একটা অংশ পড়েছে ভারতের সিকিমে; বাকিটা নেপালে।
এর সৌন্দর্য উপভোগের সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল। কেউ কেউ নেপাল গিয়েও এই সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন : বেড়িবাঁধে আশার আলো দেখছে পদ্মা তীরের মানুষ
পঞ্চগড়ের প্রায় সব এলাকার ফাঁকা জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। সবচেয়ে ভালো দেখা যায় তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর-এই সময়টুকুতেই মেঘমুক্ত ও কুয়াশামুক্ত আকাশের বুকে ভেসে ওঠে কাঞ্চনজঙ্ঘা।
দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলও কালো মেঘের মতো ভেসে ওঠে। সূর্যের আলো পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কখনো শুভ্র, কখনো গোলাপি আবার কখনো লাল রং নিয়ে হাজির এই পর্বত চূড়া। শীত এলেই পঞ্চগড়ে ছুটে আসে প্রকৃতিপ্রেমীরা। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য মোক্ষম সময় হলো ভোর ও বিকেল।
তেঁতুলিয়ার লেখক হাফিজ উদ্দীন বলেন, ঘর থেকে বের হয়ে উত্তরে তাকালেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এত সুন্দর দৃশ্য দেশের আর কোথাও থেকে আপনি উপভোগ করতে পারবেন না।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক পঞ্চগড় আসেন পর্বত চূড়াটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এ ছাড়া সমতলের সবুজ চাবাগানসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রও ঘুরে দেখে তারা। পঞ্চগড়ের পর্যটনকে আরো সমৃদ্ধ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।