Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মাণাধীন সেতু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের ভাগলপুরে গঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন চার লেনের একটি সেতু তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। রোববার (৪ জুন) নির্মাণাধীন এই সেতু নদীতে ভেঙে পড়ার ঘটনায় কোনও হতাহত হয়নি বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

২০১৪ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার রাজ্যের সুলতানগঞ্জ ও খাগরিয়া জেলার মাঝে সংযোগকারী এই সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন।

নির্মাণাধীন সেতুটির ৩২৮ ফুট উঁচু অংশ পুরোপুরি গঙ্গায় ধসে গেছে। সেতুটির হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেছেন স্থানীয়রা।

রাজ্যের শীর্ষ এক জেলা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, রোববার (৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নির্মাণাধীন সেতু ধসের এই ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে। আমরা ‘পুল নির্মাণ নিগমের’ কাছে সেতু ধসের ঘটনায় প্রতিবেদন চেয়েছি।

ভাগলপুর প্রশাসনের কর্মকর্তা ধনঞ্জয় কুমার বলেছেন, রোববার (৪ জুন) ছুটির দিন থাকায় আগুওয়ানি-সুলতানগঞ্জ সেতুটির নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ সেতুটির তিনটি স্তম্ভ ভেঙে পড়ে। এতে মুহূর্তের মধ্যে গোটা সেতুটিই নদীতে ধসে পড়ে।

ধনঞ্জয় বলেন, আমরা সেতুটির একাংশসহ স্তম্ভগুলি ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। ভাগলপুরের পরবত্তা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে নির্মাণকাজের জড়িত ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনো সম্পত্তি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

সেতু ভেঙে পড়ার দৃশ্যটি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করেছেন এলাকায় উপস্থিত বেশ কয়েক জন। তাতে দেখা গেছে, তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে সেতুটি ভেঙে পড়ছে। এই দুর্ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন সুলতানগঞ্জের বিধায়ক ললিতকুমার মণ্ডল।

তিনি বলেন, এটা বড়সড় গাফিলতির ফল। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার গঙ্গায় সেতু ধসের এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে বিহারের বেগুসারাই জেলার বুরখি গন্দক নদীতে নির্মিত একটি সেতু দ্বিখণ্ডিত হয়ে নদীতে পড়ে যায়। সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় তখন পর্যন্ত সেতুটি বন্ধ ছিল। যে কারণে সেই সময় এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। সূত্র: এনডিটিভি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মাণাধীন সেতু

প্রকাশের সময় : ০১:৫০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের ভাগলপুরে গঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন চার লেনের একটি সেতু তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। রোববার (৪ জুন) নির্মাণাধীন এই সেতু নদীতে ভেঙে পড়ার ঘটনায় কোনও হতাহত হয়নি বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

২০১৪ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার রাজ্যের সুলতানগঞ্জ ও খাগরিয়া জেলার মাঝে সংযোগকারী এই সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন।

নির্মাণাধীন সেতুটির ৩২৮ ফুট উঁচু অংশ পুরোপুরি গঙ্গায় ধসে গেছে। সেতুটির হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেছেন স্থানীয়রা।

রাজ্যের শীর্ষ এক জেলা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, রোববার (৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নির্মাণাধীন সেতু ধসের এই ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে। আমরা ‘পুল নির্মাণ নিগমের’ কাছে সেতু ধসের ঘটনায় প্রতিবেদন চেয়েছি।

ভাগলপুর প্রশাসনের কর্মকর্তা ধনঞ্জয় কুমার বলেছেন, রোববার (৪ জুন) ছুটির দিন থাকায় আগুওয়ানি-সুলতানগঞ্জ সেতুটির নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ সেতুটির তিনটি স্তম্ভ ভেঙে পড়ে। এতে মুহূর্তের মধ্যে গোটা সেতুটিই নদীতে ধসে পড়ে।

ধনঞ্জয় বলেন, আমরা সেতুটির একাংশসহ স্তম্ভগুলি ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। ভাগলপুরের পরবত্তা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে নির্মাণকাজের জড়িত ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনো সম্পত্তি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

সেতু ভেঙে পড়ার দৃশ্যটি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করেছেন এলাকায় উপস্থিত বেশ কয়েক জন। তাতে দেখা গেছে, তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে সেতুটি ভেঙে পড়ছে। এই দুর্ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন সুলতানগঞ্জের বিধায়ক ললিতকুমার মণ্ডল।

তিনি বলেন, এটা বড়সড় গাফিলতির ফল। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার গঙ্গায় সেতু ধসের এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে বিহারের বেগুসারাই জেলার বুরখি গন্দক নদীতে নির্মিত একটি সেতু দ্বিখণ্ডিত হয়ে নদীতে পড়ে যায়। সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় তখন পর্যন্ত সেতুটি বন্ধ ছিল। যে কারণে সেই সময় এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। সূত্র: এনডিটিভি।