স্পোর্টস ডেস্ক : 

জাতীয় সংসদে হুইপের দায়িত্বর কারণে বিপিএল থেকে সাময়িক বিরতিতে যাচ্ছেন সিলেট স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিতর্ক ও প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে আসছিলেন নন্দিত এই ক্রিকেটার।

আপাতত জাতীয় সংসদে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হুইপের দায়িত্ব পেয়েছেন মাশরাফি।

‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত এই তারকার এবারের বিপিএলে খেলা নিয়ে নানা বিতর্ক চলছিল। এ ছাড়া তার দল সিলেট স্ট্রাইকার্স এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে সবকটিতে হেরেছে। দলের যখন এই অবস্থা, তখন সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

এদিকে মাশরাফির অনুপস্থিতিকালীন দলের নেতৃত্ব দেবেন সহ-অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

তবে পুরো আসরের জন্যই বিপিএল ছাড়তে হচ্ছে না মাশরাফিকে। দলটির প্রত্যাশা, নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পর সুযোগ পেলে আবারও দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন তিনি। বিজ্ঞপ্তিতে দলের পক্ষ থেকে মাশরাফির এতদিনের নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ বার্তাও দেওয়া হয়েছে।

চলতি বিপিএলে অবশ্য শুরু থেকেই চাপে আছেন মাশরাফি। নিজে পারফর্ম করছেন নিজের ছায়া হয়ে। বোলিংয়ে রানআপ কমিয়ে হয়েছেন অফ-স্পিনার। ব্যাটার হিসেবে রানিংয়ে ব্যাপক আকারে ভুগছেন। আবার তার দলও ভুগছে। ৫ ম্যাচের মধ্যে সবকটিতেই দেখতে হয়েছে হারের মুখ। মাশরাফি এরমাঝে জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দলকে যিনি একসুতোয় বেঁধে রাখার কারিগর, তিনিই হয়তো খানিকটা চাপের মধ্যেই আছেন।

এর আগে ব্রডকাস্টিং পার্টনারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফিরই সাবেক সতীর্থ মোহাম্মদ আশরাফুল প্রশ্ন তুলেছিলেন মাশরাফির ফিটনেস নিয়ে। সত্যিই খেলার মতো অবস্থায় তিনি আছেন কিনা অথবা নিজ থেকে খেলতে আগ্রহী কিনা সেসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। মাশরাফি নিজেও জানিয়েছেন, ‘ফিট না হয়ে খেলা আদর্শ না। কিন্তু সিলেট দলের ম্যানেজার স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজ মালিকপক্ষের চাওয়াতেই ম্যাশ নামছেন মাঠে।’

আবার মঙ্গলবার থেকে জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হলেও মাশরাফি খেলার মাঠে ছিলেন। সব মিলিয়ে এই বিদায় সবার জন্যই কিছুটা প্রত্যাশিত ছিল। মাশরাফিকে নিয়ে ধুঁকতে থাকা সিলেট এবার কেমন পারফর্মেন্স করে- সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিপিএলের চলতি সংস্করণে এ পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১টি উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি। তার সিলেটও ৫ ম্যাচ খেলে এখনও জয় তুলতে পারেনি।