Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিরো আলম ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী নেই: রিজভী

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

হিরো আলম ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজশাহীর ভুবন মোহন শহীদ মিনার পার্কে রাজশাহীতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, এখন ভোটকেন্দ্রে ভোটার থাকে না। কেন্দ্রের সামনে কুকুর ঘুমায়। আরাফাত ভোটার বিহীন ঢাকা-১৭ এর উপ-নির্বাচনের পর জয়ের চিহ্ন দেখায়। আওয়ামী লীগের দুঃসময় এসে গেছে। হিরো আলমের মতো অর্ধ-পাগলকে পেটাতে হয়। কারণ আওয়ামী লীগের হিরো আলম ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। কারণ এই সরকারের অধীনে কেউ নির্বাচন করতে চায় না।

তিনি বলেন, সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। এক দফার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করা হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার শুধু বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমমনা দলের নেতাকর্মীদেরই নয়, সাধারণ জনগণকেও ধরে ধরে জেলে দিচ্ছে। ডিজিটাল আইন করে জনগণের কণ্ঠরোধ করছে। কেউ কিছু বলতে পারছেন না। এ ডিজিটাল আইন বাতিল করতে হবে। সরকার আর জনগণের সরকার নেই। এ সরকার দেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। তাই সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের জন্য সবাইকে সব ধরনের নির্যাতন সহ্য করে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। সরকার রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। সামান্য হিরো আলমের ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাকে মেরে আহত করেছে। তার অপরাধ তিনি ঢাকা-১৭ আসনে উপ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যার কোনো দল নেই। তারপরেও ভয়ে এ বিনা ভোটের সরকার তাকে নির্বাচনের দিনে মেরে আহত করেছে। সেন্টার থেকে বের করে দিয়েছে। একতরফা নির্বাচন করেছে।

বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর আন্দোলন দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। এখন দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য সময় গুণছে। আজ দেশের অন্য অন্য স্থানে পদযাত্রায় সরকারি পেটোয়া বাহিনী ও দলীয় ক্যাডাররা বাধা এবং লাঠিপেটা করেও কোনো কিছুই করতে পারেনি। বিএনপি সব বাধা উপেক্ষা করে পদযাত্রা করেছে। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবিতে পদযাত্রার আগে এ কর্মসূচি করা হয়।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুনের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া বিএনপির আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, জয়নাল আবেদিন শিবলী, শাফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, রায়হানুল আলম রায়হান, গোলাম মোস্তফা মামুন, তোফায়েল হোসেন রাজু প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

হিরো আলম ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী নেই: রিজভী

প্রকাশের সময় : ১২:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

হিরো আলম ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজশাহীর ভুবন মোহন শহীদ মিনার পার্কে রাজশাহীতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, এখন ভোটকেন্দ্রে ভোটার থাকে না। কেন্দ্রের সামনে কুকুর ঘুমায়। আরাফাত ভোটার বিহীন ঢাকা-১৭ এর উপ-নির্বাচনের পর জয়ের চিহ্ন দেখায়। আওয়ামী লীগের দুঃসময় এসে গেছে। হিরো আলমের মতো অর্ধ-পাগলকে পেটাতে হয়। কারণ আওয়ামী লীগের হিরো আলম ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। কারণ এই সরকারের অধীনে কেউ নির্বাচন করতে চায় না।

তিনি বলেন, সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। এক দফার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করা হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার শুধু বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমমনা দলের নেতাকর্মীদেরই নয়, সাধারণ জনগণকেও ধরে ধরে জেলে দিচ্ছে। ডিজিটাল আইন করে জনগণের কণ্ঠরোধ করছে। কেউ কিছু বলতে পারছেন না। এ ডিজিটাল আইন বাতিল করতে হবে। সরকার আর জনগণের সরকার নেই। এ সরকার দেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। তাই সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের জন্য সবাইকে সব ধরনের নির্যাতন সহ্য করে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। সরকার রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। সামান্য হিরো আলমের ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাকে মেরে আহত করেছে। তার অপরাধ তিনি ঢাকা-১৭ আসনে উপ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যার কোনো দল নেই। তারপরেও ভয়ে এ বিনা ভোটের সরকার তাকে নির্বাচনের দিনে মেরে আহত করেছে। সেন্টার থেকে বের করে দিয়েছে। একতরফা নির্বাচন করেছে।

বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর আন্দোলন দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। এখন দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য সময় গুণছে। আজ দেশের অন্য অন্য স্থানে পদযাত্রায় সরকারি পেটোয়া বাহিনী ও দলীয় ক্যাডাররা বাধা এবং লাঠিপেটা করেও কোনো কিছুই করতে পারেনি। বিএনপি সব বাধা উপেক্ষা করে পদযাত্রা করেছে। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবিতে পদযাত্রার আগে এ কর্মসূচি করা হয়।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুনের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া বিএনপির আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, জয়নাল আবেদিন শিবলী, শাফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, রায়হানুল আলম রায়হান, গোলাম মোস্তফা মামুন, তোফায়েল হোসেন রাজু প্রমুখ।