খুলনা জেলা প্রতিনিধি :
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনে কৃষ্ণ নন্দীকেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী।
এজন্য ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত’ দাকোপ-বটিয়াঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।
কৃষ্ণ নন্দী দলটির ডুমুরিয়া উপজেলা কমিটির হিন্দু শাখার সভাপতি। তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ডুমুরিয়া, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা- এই তিন উপজেলাতেই রাজনৈতিক মহল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিল।
দলটির নেতাকর্মীরা জানান, প্রথম দফায় খুলনা-৪, খুলনা-৫ ও খুলনা-৬ আসনে প্রাথমিকভাবে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বাকি তিন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি। এর মধ্যে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে বটিয়াঘাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা শেখ আবু ইউসুফের নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রার্থিতা পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বলেন, সোমবার (১ ডিসেম্বর) খুলনায় আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে এসে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। পরে আজ বিকালে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকে এটি আলোচিত হয় এবং সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।”
এ বিষয়ে শেখ আবু ইউসুফ বলেন, “খুলনা-১ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে জামায়াতে ইসলামীর ডুমুরিয়া উপজেলা কমিটির হিন্দু শাখার সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এটা দলের আমির শফিকুর রহমান আমাকে জানিয়েছেন। কৃষ্ণ নন্দীর পক্ষে আমি প্রচার শুরু করেছি। আমি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করব।
কৃষ্ণ নন্দী বলেন, “সোমবার আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমি কাজ শুরু করেছি।”
স্থানীয়রা জানান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গত বছরের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কৃষ্ণ নন্দী ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার নেতা হন এবং সেখানে দলের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে তাকে দেখা গেছে।
খুলনা জেলা প্রতিনিধি 





















