নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সবাইকে হত্যা করে হলেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে চায়। তাই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সব রাজনৈতিক দলকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ব্যাপারে সবাইকে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে হবে। শেখ হাসিনা আজকেও বলেছেন, জুলাইয়ের আন্দোলনকারী সবাই সন্ত্রাসী। ১৮ কোটি মানুষকে সন্ত্রাসী বলে ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ। সন্ত্রাসী বলে দেশের মানুষকে হত্যাযজ্ঞ করতে চায়। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টামণ্ডলী নির্বাচনের জন্য কাজ করছেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
শফিকুল আলম বলেন, সারাদেশে ইলেকশনের জোয়ার এসেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টাসহ সবাই দিনরাত কাজ করছেন।
মানুষ সুশাসন চায় উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, কিন্তু সেটি একদিনে আলোচনা করে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন দেশে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আলোচনা চলে। নির্বাচনের পর আবারও সংলাপ হতে পারে। নেপালে এমন সংস্কার করতে ৯ বছর লেগেছে। আমাদের দেশে নির্বাচন শেষে সংলাপ ও আলোচনা অব্যাহত থাকবে, যা সুষ্ঠু ভোট প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে।
তিনি দেশে নারী ও শ্রমিকদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। শফিকুল আলম বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন, নারী ও শ্রমিকদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নেই জুলাই সনদে। তবে এটি সঠিক নয়। রাজনৈতিক দলগুলো কি সব শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিত্ব করে না? সনদে সব বিষয়ই প্রতিফলিত আছে।
কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গেও তিনি সতর্ক করে বলেন, আগামী সরকারের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। সরকারকে এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
প্রেস সচিব বলেন, রেল প্রকল্পে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে এসব প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেন, এই ধরনের বিনিয়োগ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব, তবে আগামী সরকারের জন্য এগুলো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
গণভোট ইস্যু নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, এখন যদি পলিটিক্যাল পার্টিগুলো ডিসিশন না নিতে পারে তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিসিশন নেবে। অনকেই বলছেন জুলাই চার্টার করতে কৃষক, নারী, লেবারদের সঙ্গে কথা হয়নি। তাহলে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো কি এসব মানুষদের রিপ্রেজেন্ট করে না?
তিনি বলেন, জুলাই চার্টারে সব বিষয়ই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















