Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের সহযোগিতা করেছে জাপা : রিজভী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জাতীয় পার্টি দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করেছে, তাই তাদের আইন অনুযায়ী বিচার হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আওয়ামী স্বেচ্ছাতন্ত্রের অন্যতম সহযোগী ছিল। শেখ হাসিনার আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে কারা রক্ষা করেছিল? কারা ১৬ বছর জনগণের লক্ষ কোটি টাকা পাচারের সুবিধা করে দিয়েছিল? কারা এই দেশকে আওয়ামী স্বেচ্ছাতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার সিল দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেছিল? তার মধ্যে একটি হচ্ছে জাতীয় পার্টি।

রিজভী বলেন, দেশটা ছিল শেখ হাসিনার বাপের সম্পত্তি। যখন যা মনে করেছেন তাই করেছেন তিনি। দেশে আজ টাকা নেই। তারা টাকা লোপাট করেছেন। সেই লুটের নিদর্শন এখনো মাঝে মাঝে আমরা পাচ্ছি। তার কাছে সমস্ত প্রাইভেট ব্যাংক তুলে দেওয়া হয়েছিল।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটার পর একটা ব্যাংক দিয়ে দেওয়া হয়েছিল এস আলমকে। সেই এস আলম এখন দিল্লিতে শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকা দিচ্ছেন যে সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের মধ্যে কিছু ঘটাবেন। এই কাজ তিনি করবেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আরও ২ হাজার কোটি টাকা দেবেন।

তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে রিজভী বলেন, দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেন তাৎপর্যপূর্ণ? এখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনেক বিষয় এর মধ্যে জড়িয়ে আছে। কারণ তারেক রহমান হচ্ছে জাতীয়তাবাদী শক্তির সেই ধারাবাহিক নেতৃত্ব, তিনি প্রতিষ্ঠিত হোক তারা এটিকে মেনে নিতে পারেনি।

জাতীয় পার্টি ও জিএম কাদেরের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, জিএম কাদের ইন্ডিয়ায় গেলেন। এখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করল আপনার সঙ্গে কি কথা হয়েছে। সেই বিষয়ে তিনি বললেন না। তিনি বললেন, তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে আমি তাদের পারমিশন ছাড়া কথা বলতে পারবো না। জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তারা নির্দেশ দিয়েছে এটা সবাই জানে। সেটাও আপনি তাদের অনুমতি ছাড়া বলতে পারবেন না। আপনি কী ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল না বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল। এই আপনাদের মেরুদণ্ড, এই আপনাদের নীতি, এই আপনাদের আদর্শ।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিবের এক বক্তব্যকে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, জাতীয় পার্টির দায় এখন বিএনপিকে নিতে হবে। বিএনপি তো এখন রাষ্ট্রক্ষমতায় নেই। এখনো তো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। তাহলে আপনি (জাতীয় পার্টির মহাসচিব) কিসের দায়ের কথা বলছেন! নুরুল হক নুর ডাকসুর সাবেক ভিপি। তাকে একটি কার্যালয়ের মধ্যে আক্রমণ করা হলো। আমরা প্রথমে শুনেছিলাম জাতীয় পার্টির সঙ্গে গোলমাল। কিন্তু তাকে (নুর) যে আঘাত করছেন, সেই লাল শার্ট পরা লোকটা কে? যে কেউ কারো বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে, এটা গণতন্ত্রের স্বীকৃত একটা পন্থা।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা রাজনীতির কথা বলছেন, তারা বিএনপির সমালোচনা করতে পারেন। বিএনপির যদি কোথাও সমালোচনা করার থাকে, তাহলে বিএনপি নিজেই তা করবে। কিন্তু আপনি কেন বিএনপির দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছেন? বিএনপি কি আপনাদের দায়িত্ব নেবে নাকি? আপনারা কারা? যখন ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম এবং সাইফুল ইসলাম হিরু গুম হন, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? যখন ছাত্র এবং যুব নেতারা গুম হন, তখনও জাতীয় পার্টিকে দেখা যায়নি।’

রিজভী বলেন, যখন ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার নেই, সেখানে কুকুর-বিড়াল এবং গরু-ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেই নির্বাচনে যাবো না, যাবো না করতে করতে আপনারা (জাতীয় পার্টি) গেলেন। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর, প্রায় ৪৫ জন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হলো। বিএনপি নির্বাচনে আসুক, সেটা শেখ হাসিনা চায়নি। সেদিন জাতীয় পার্টি কী ভূমিকা রেখেছে?

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা কোনো মব সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। কে রাজনীতি করবে কি করবে না, সেটা আইনের ব্যাপার। এটা সরকারের ব্যাপার। বিএনপি কোথাও কোনো মব সংস্কৃতি তৈরি করেনি এবং বিএনপি উশৃঙ্খল জনতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। কিন্তু বিএনপির তো একটা এনালাইসিস আছে, জাতীয় পার্টির ভূমিকা কি ছিল। আরও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ভূমিকা কি ছিল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, রক্তপিপাসু শেখ হাসিনার আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে কারা রক্ষা করেছে, কারা ১৬ বছর জনগণের লক্ষ-কোটি টাকা পাচারের সুবিধা করে দিয়েছে। কারা এই দেশকে আওয়ামী ভয়ংকর স্বেচ্ছাতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব পালন করেছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে জাতীয় পার্টি। আপনারা একটা কুলিং টাইম চান। ২০০৮-২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা ২ বছরের একটা কুলিং টাইম দিয়েছেন। তার পরে টর্চার করেছেন। বিএনপি কখনো টর্চারে বিশ্বাস করে না। বিএনপি কোনো অবস্থাতেই বেআইনিভাবে কোনো নির্যাতন, অত্যাচারে বিশ্বাসী নয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা প্রত্যেকে ভুক্তভোগী। সবাই সর্বনিম্ন ৫০০ মামলায় আক্রান্ত। আমরা যারা আক্রান্ত, কিন্তু আমাদের সামনে অন্য কেউ লাঞ্ছিত হোক, সেটা চাই না। কিন্তু, যারা ফ্যাসিবাদকে সমর্থন ও ফ্যাসিবাদের বয়ানে সুর মিলিয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। জনগণ তাদের বিচার দেখতে চায়।

উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরীসহ আরও অনেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

হাসিনার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের সহযোগিতা করেছে জাপা : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৮:১২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জাতীয় পার্টি দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করেছে, তাই তাদের আইন অনুযায়ী বিচার হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আওয়ামী স্বেচ্ছাতন্ত্রের অন্যতম সহযোগী ছিল। শেখ হাসিনার আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে কারা রক্ষা করেছিল? কারা ১৬ বছর জনগণের লক্ষ কোটি টাকা পাচারের সুবিধা করে দিয়েছিল? কারা এই দেশকে আওয়ামী স্বেচ্ছাতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার সিল দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেছিল? তার মধ্যে একটি হচ্ছে জাতীয় পার্টি।

রিজভী বলেন, দেশটা ছিল শেখ হাসিনার বাপের সম্পত্তি। যখন যা মনে করেছেন তাই করেছেন তিনি। দেশে আজ টাকা নেই। তারা টাকা লোপাট করেছেন। সেই লুটের নিদর্শন এখনো মাঝে মাঝে আমরা পাচ্ছি। তার কাছে সমস্ত প্রাইভেট ব্যাংক তুলে দেওয়া হয়েছিল।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটার পর একটা ব্যাংক দিয়ে দেওয়া হয়েছিল এস আলমকে। সেই এস আলম এখন দিল্লিতে শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকা দিচ্ছেন যে সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের মধ্যে কিছু ঘটাবেন। এই কাজ তিনি করবেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আরও ২ হাজার কোটি টাকা দেবেন।

তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে রিজভী বলেন, দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেন তাৎপর্যপূর্ণ? এখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনেক বিষয় এর মধ্যে জড়িয়ে আছে। কারণ তারেক রহমান হচ্ছে জাতীয়তাবাদী শক্তির সেই ধারাবাহিক নেতৃত্ব, তিনি প্রতিষ্ঠিত হোক তারা এটিকে মেনে নিতে পারেনি।

জাতীয় পার্টি ও জিএম কাদেরের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, জিএম কাদের ইন্ডিয়ায় গেলেন। এখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করল আপনার সঙ্গে কি কথা হয়েছে। সেই বিষয়ে তিনি বললেন না। তিনি বললেন, তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে আমি তাদের পারমিশন ছাড়া কথা বলতে পারবো না। জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তারা নির্দেশ দিয়েছে এটা সবাই জানে। সেটাও আপনি তাদের অনুমতি ছাড়া বলতে পারবেন না। আপনি কী ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল না বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল। এই আপনাদের মেরুদণ্ড, এই আপনাদের নীতি, এই আপনাদের আদর্শ।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিবের এক বক্তব্যকে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, জাতীয় পার্টির দায় এখন বিএনপিকে নিতে হবে। বিএনপি তো এখন রাষ্ট্রক্ষমতায় নেই। এখনো তো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। তাহলে আপনি (জাতীয় পার্টির মহাসচিব) কিসের দায়ের কথা বলছেন! নুরুল হক নুর ডাকসুর সাবেক ভিপি। তাকে একটি কার্যালয়ের মধ্যে আক্রমণ করা হলো। আমরা প্রথমে শুনেছিলাম জাতীয় পার্টির সঙ্গে গোলমাল। কিন্তু তাকে (নুর) যে আঘাত করছেন, সেই লাল শার্ট পরা লোকটা কে? যে কেউ কারো বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে, এটা গণতন্ত্রের স্বীকৃত একটা পন্থা।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা রাজনীতির কথা বলছেন, তারা বিএনপির সমালোচনা করতে পারেন। বিএনপির যদি কোথাও সমালোচনা করার থাকে, তাহলে বিএনপি নিজেই তা করবে। কিন্তু আপনি কেন বিএনপির দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছেন? বিএনপি কি আপনাদের দায়িত্ব নেবে নাকি? আপনারা কারা? যখন ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম এবং সাইফুল ইসলাম হিরু গুম হন, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? যখন ছাত্র এবং যুব নেতারা গুম হন, তখনও জাতীয় পার্টিকে দেখা যায়নি।’

রিজভী বলেন, যখন ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার নেই, সেখানে কুকুর-বিড়াল এবং গরু-ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেই নির্বাচনে যাবো না, যাবো না করতে করতে আপনারা (জাতীয় পার্টি) গেলেন। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর, প্রায় ৪৫ জন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হলো। বিএনপি নির্বাচনে আসুক, সেটা শেখ হাসিনা চায়নি। সেদিন জাতীয় পার্টি কী ভূমিকা রেখেছে?

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা কোনো মব সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। কে রাজনীতি করবে কি করবে না, সেটা আইনের ব্যাপার। এটা সরকারের ব্যাপার। বিএনপি কোথাও কোনো মব সংস্কৃতি তৈরি করেনি এবং বিএনপি উশৃঙ্খল জনতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। কিন্তু বিএনপির তো একটা এনালাইসিস আছে, জাতীয় পার্টির ভূমিকা কি ছিল। আরও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ভূমিকা কি ছিল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, রক্তপিপাসু শেখ হাসিনার আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে কারা রক্ষা করেছে, কারা ১৬ বছর জনগণের লক্ষ-কোটি টাকা পাচারের সুবিধা করে দিয়েছে। কারা এই দেশকে আওয়ামী ভয়ংকর স্বেচ্ছাতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব পালন করেছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে জাতীয় পার্টি। আপনারা একটা কুলিং টাইম চান। ২০০৮-২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা ২ বছরের একটা কুলিং টাইম দিয়েছেন। তার পরে টর্চার করেছেন। বিএনপি কখনো টর্চারে বিশ্বাস করে না। বিএনপি কোনো অবস্থাতেই বেআইনিভাবে কোনো নির্যাতন, অত্যাচারে বিশ্বাসী নয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা প্রত্যেকে ভুক্তভোগী। সবাই সর্বনিম্ন ৫০০ মামলায় আক্রান্ত। আমরা যারা আক্রান্ত, কিন্তু আমাদের সামনে অন্য কেউ লাঞ্ছিত হোক, সেটা চাই না। কিন্তু, যারা ফ্যাসিবাদকে সমর্থন ও ফ্যাসিবাদের বয়ানে সুর মিলিয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। জনগণ তাদের বিচার দেখতে চায়।

উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরীসহ আরও অনেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।