বিনোদন ডেস্ক :
অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন থেকে বাড়ি থেকেই এই অভিনেতার চিকিৎসা চলবে। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে।
ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. প্রতীত সামদানি বুধবার (১২ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে বলেন, সবার প্রার্থনা ও ভালোবাসায় ধর্মেন্দ্রজি সেরে উঠছেন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার পরবর্তী চিকিৎসা বাড়িতেই করা হবে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ থাকার পর ধর্মেন্দ্রর সুস্থতার খবর পেয়ে ভক্তদের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে। অভিনেতার পরিবারের পক্ষ থেকেও একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ধর্মেন্দ্র সাহেবকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন বাসায় থেকে চিকিৎসা ও বিশ্রাম নিচ্ছেন। এই সময়ে পরিবারের গোপনীয়তা বজায় রাখতে গণমাধ্যম ও জনসাধারণের কাছে বিনীত অনুরোধ রইল। আমরা সবার ভালোবাসা, প্রার্থনা ও শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞ।
প্রসঙ্গত গত ১০ নভেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তার অসুস্থতার খবরটি দ্রুত বলিউড পাড়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। এর মধ্যেই তার মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়লে তা আরও বেশি বিচলিত করে তোলে ভক্তদের।
পরবর্তীতে ধর্মেন্দ্রর পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত এই খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করা হয়। কিংবদন্তি এই তারকার দ্রুত আরোগ্য কামনা করতে এবং তাকে একনজর দেখতে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে যান বলিউডের অনেক সতীর্থ ও ভক্ত।
উল্লেখ্য, ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের নসরালি গ্রামে জন্ম ধর্মেন্দ্রর। ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল তার। পরিবারের দায়িত্ব সামলাতে তরুণ বয়সেই ভারতীয় রেলে কেরানির পদে চাকরি নেন। ওই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। তারপর প্রথম বিয়ে হয় প্রকাশ কৌরের সঙ্গে।
এ সময় ধর্মেন্দ্র বুঝতে পারেন, রেলের চাকরিতে তার মন টিকছে না। জায়গা করে নেন ক্যামেরার সামনে। তারপর স্বপ্ন পূরণের আশায় পাড়ি জমান মুম্বাইয়ে। সেখানেও ভাগ্যকে সহজে লক্ষ্যে নিতে পারছিলেন না। ধারাবাহিকভাবে অডিশন দিতে থাকেন। ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরা’ সিনেমায় সুযোগ পান।
এ অভিনেতা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘শোলে’, ‘ছুপকে ছুপকে’, ‘ধরমবীর’, ‘ফুল অউর পাথর’, ‘সত্যকাম’, ‘রাজা জানি’, ‘রাখওয়ালা’র মতো একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
বিনোদন ডেস্ক 
























