Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে বাবাকে রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর ছেলের মৃত্যু

সাঁথিয়া প্রতিনিধি : 

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় অসুস্থ বাবাকে রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর মজনু শেখ (৪২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মজনু পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের নজু শেখের ছেলে। তিনি পেশায় গাড়িচালক ছিলেন।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে শেখের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস মজনু।

মজনু শেখের মামা ইউনুস আলী মোল্লা জানান, মজনু ঢাকায় গাড়ি চালাতেন। তার বাবার অসুস্থতার কথা শুনে কয়েকদিন আগে গ্রামে আসেন। গুরুতর অসুস্থ বাবার চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন হয়।

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বাবাকে নিজেই রক্ত দেন তিনি। রক্ত দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি যান মজনু। বিশ্রাম না নিয়েই জমিতে পেঁয়াজ তুলতে যান। এরপর বিকেলে তিনি অসুস্থ বোধ করেন।

ইউনুস আলী আরও জানান, স্বজনরা তাকে বিকেলে আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহীতে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান মজনু।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

হাসপাতালে বাবাকে রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর ছেলের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৮:১৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

সাঁথিয়া প্রতিনিধি : 

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় অসুস্থ বাবাকে রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর মজনু শেখ (৪২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মজনু পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের নজু শেখের ছেলে। তিনি পেশায় গাড়িচালক ছিলেন।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে শেখের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস মজনু।

মজনু শেখের মামা ইউনুস আলী মোল্লা জানান, মজনু ঢাকায় গাড়ি চালাতেন। তার বাবার অসুস্থতার কথা শুনে কয়েকদিন আগে গ্রামে আসেন। গুরুতর অসুস্থ বাবার চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন হয়।

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বাবাকে নিজেই রক্ত দেন তিনি। রক্ত দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি যান মজনু। বিশ্রাম না নিয়েই জমিতে পেঁয়াজ তুলতে যান। এরপর বিকেলে তিনি অসুস্থ বোধ করেন।

ইউনুস আলী আরও জানান, স্বজনরা তাকে বিকেলে আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহীতে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান মজনু।