Dhaka সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না ঢাকা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

অ্যালেক্স রস শেষ অবধি লড়াই চালালেন, কিন্তু দুর্দান্ত ঢাকাকে জয় এনে দিতে পারেননি। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালের ফিফটি এবং শেষের দিকে নামা সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়া ১৮৬ রানের পাওয়া লক্ষ্যে যেতে পেরেছে ১৫৯ রান পর্যন্ত। বরিশালের ২১ রানের জয়ে তাসকিন আহমেদের ঢাকার হারের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১০ ম্যাচের নয়টিতে।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান তোলে বরিশাল।

বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ঢাকা। ১৭ রানেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। সেই ধারা বজায় রেখেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৮০ রানেই ৭ উইকেট হারায় দলটি। সেখান থেকে দ্রুতই গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলেও অ্যালেক্স রসের ব্যাটে চড়ে সম্মানজনক হার বরণ করে ঢাকা। ৪৯ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ম্যাচের সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন এই অজি ব্যাটার।

এদিকে ব্যাট হাতে শেষে দারুণ এক ক্যামিও ইনিংসের পর বল হাতেও দারুণ ফর্মে ছিলেন সাইফুদ্দিন। ৪ ওভার বল করে ৩১ রান খরচ করে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এদিকে খালেদ আহমেদও নিয়েছেন ৩ উইকেট। বোলার সৌম্যর দিনটি অবশ্য ভালো যায়নি মোটেও, ৩ ওভারেই দিয়ে ফেলেছেন ৫৪ রান।

টসে জিতে বরিশালের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও পাকিস্তান তারকা আহমেদ শেহজাদ। এ দুই জুটিতে দারুন সূচনা এনে দেন বরিশালকে। ব্যাক্তিগত ২৪ রানে শেহজাদ ফিরলে ভাঙে ৭৬ রানের জুটি।

এরপর সৌম্য সরকার ২৮ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিলের মাঝে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে ৩৪ বলে অর্ধশতকে পৌঁছান তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৫ বলে ৭১ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

শেষদিকে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন বরিশালের ব্যাটাররা। মুশফিক ও মিরাজও ফেরেন অল্প রানে। তবে সাইফউদ্দিন নেমে ঝড় তোলেন ঢাকার বোলারদের ওপর। মাত্র ৬ বল খেলার সুযোগ পাওয়া সাইফউদ্দিন ছিলেন ২৩ রানে অপরাজিত। যেখানে দুইটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

এছাড়া ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব মালিক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের সংগ্রহ পায় তামিমের দল। ঢাকার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ আলাউদ্দিন বাবু নেন তিনটি উইকেট।

এই জয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টপকে তিনে উঠে এসেছে তামিমের দল। ৯ ম্যাচে দুদলেরই সমান ১০ পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে এখন চট্টগ্রামের (-০.৮৮৪) চেয়ে এগিয়ে বরিশাল (০.৪৭৫)। প্রথম ৪ ম্যাচে ৩টি হারের পর সর্বশেষ ৪ ম্যাচে ৩টি জিতল তারা। অন্যদিকে বিপিএলের নতুন দল ঢাকার ভাগ্য বদলাচ্ছেই না। টানা হারের রেকর্ড আগেই গড়েছে, এবার সে ধারাই লম্বা হলো আরেকটু। টানা ৯টি ম্যাচ হারা ঢাকা এবার চূড়ান্তভাবেই শিরোপা লড়াই থেকে বাদ পড়ল। মৌসুমের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে হারিয়ে চমক দিয়ে শুরু করা ঢাকা জয়ের অনুভূতিই ভুলতে বসেছে। ম্যাচের পর তাসকিন একটু হাসার চেষ্টা করে শুধু বলেছেন, ‘পরাজয় সবসময়ই কঠিন।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না ঢাকা

প্রকাশের সময় : ০৬:০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

অ্যালেক্স রস শেষ অবধি লড়াই চালালেন, কিন্তু দুর্দান্ত ঢাকাকে জয় এনে দিতে পারেননি। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালের ফিফটি এবং শেষের দিকে নামা সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়া ১৮৬ রানের পাওয়া লক্ষ্যে যেতে পেরেছে ১৫৯ রান পর্যন্ত। বরিশালের ২১ রানের জয়ে তাসকিন আহমেদের ঢাকার হারের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১০ ম্যাচের নয়টিতে।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান তোলে বরিশাল।

বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ঢাকা। ১৭ রানেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। সেই ধারা বজায় রেখেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৮০ রানেই ৭ উইকেট হারায় দলটি। সেখান থেকে দ্রুতই গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলেও অ্যালেক্স রসের ব্যাটে চড়ে সম্মানজনক হার বরণ করে ঢাকা। ৪৯ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ম্যাচের সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন এই অজি ব্যাটার।

এদিকে ব্যাট হাতে শেষে দারুণ এক ক্যামিও ইনিংসের পর বল হাতেও দারুণ ফর্মে ছিলেন সাইফুদ্দিন। ৪ ওভার বল করে ৩১ রান খরচ করে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এদিকে খালেদ আহমেদও নিয়েছেন ৩ উইকেট। বোলার সৌম্যর দিনটি অবশ্য ভালো যায়নি মোটেও, ৩ ওভারেই দিয়ে ফেলেছেন ৫৪ রান।

টসে জিতে বরিশালের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও পাকিস্তান তারকা আহমেদ শেহজাদ। এ দুই জুটিতে দারুন সূচনা এনে দেন বরিশালকে। ব্যাক্তিগত ২৪ রানে শেহজাদ ফিরলে ভাঙে ৭৬ রানের জুটি।

এরপর সৌম্য সরকার ২৮ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিলের মাঝে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে ৩৪ বলে অর্ধশতকে পৌঁছান তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৫ বলে ৭১ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

শেষদিকে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন বরিশালের ব্যাটাররা। মুশফিক ও মিরাজও ফেরেন অল্প রানে। তবে সাইফউদ্দিন নেমে ঝড় তোলেন ঢাকার বোলারদের ওপর। মাত্র ৬ বল খেলার সুযোগ পাওয়া সাইফউদ্দিন ছিলেন ২৩ রানে অপরাজিত। যেখানে দুইটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

এছাড়া ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব মালিক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের সংগ্রহ পায় তামিমের দল। ঢাকার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ আলাউদ্দিন বাবু নেন তিনটি উইকেট।

এই জয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টপকে তিনে উঠে এসেছে তামিমের দল। ৯ ম্যাচে দুদলেরই সমান ১০ পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে এখন চট্টগ্রামের (-০.৮৮৪) চেয়ে এগিয়ে বরিশাল (০.৪৭৫)। প্রথম ৪ ম্যাচে ৩টি হারের পর সর্বশেষ ৪ ম্যাচে ৩টি জিতল তারা। অন্যদিকে বিপিএলের নতুন দল ঢাকার ভাগ্য বদলাচ্ছেই না। টানা হারের রেকর্ড আগেই গড়েছে, এবার সে ধারাই লম্বা হলো আরেকটু। টানা ৯টি ম্যাচ হারা ঢাকা এবার চূড়ান্তভাবেই শিরোপা লড়াই থেকে বাদ পড়ল। মৌসুমের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে হারিয়ে চমক দিয়ে শুরু করা ঢাকা জয়ের অনুভূতিই ভুলতে বসেছে। ম্যাচের পর তাসকিন একটু হাসার চেষ্টা করে শুধু বলেছেন, ‘পরাজয় সবসময়ই কঠিন।’