নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ এবং তার ভাই এ বি এম শাহারিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশনা দেন।
পিপি আরও বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে করার জন্য আয়কর নথি জব্দ করার প্রয়োজন রয়েছে বিধায় আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জব্দ করার অনুমতি দিয়েছেন।
এদিন দুদকের পক্ষে পৃথক দুটি আবেদনে আসামিদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ চাওয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এসব আবেদন করেন।
হারুনের আবেদনে বলা হয়, আসামি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৭ কোটি ৫১ লাখ ১৭ হাজার ৮০৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির সকল আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
অপর আবেদনে বলা হয়, আসামি এ বি এম শাহারিয়ার ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। আসামি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাইকে অপরাধে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির সকল আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান শুনানি করেন। পরে আদালত তাদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন।