Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামাসের হামলায় ৬০০ ইসরায়েলি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজায় হামাসের নজিরবিহীন হামলায় এবং পাল্টা হামলায় ৬ শতাধিক ছাড়িয়েছে ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।নিহতদের মধ্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যও রয়েছে।

সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতির তত অবনতি হচ্ছে। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও নিশ্চিত করেছে, হাসপাতালে আহতের সংখ্যা ২০৪৮ এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর এবং ৩৩০ জন গুরুতর আহত। হামলার ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পরেও সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় বন্দুকধারীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আমাদের লক্ষ্য হলো গাজার আশপাশে বসবাসকারী সব নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া।

এদিকে সাধারণ মানুষকে চলমান লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা।

ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াই অব্যাহত থাকায়, আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা একটি নতুন বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি জনগণকে এই যুদ্ধে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জনবসতি সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ, গাজার সীমান্ত এলাকার ইসরায়েলি নাগরিকদের তাদের বাড়ি-ঘর খালি করতে বলা হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, প্রাথমিকভাবে গাজার সীমান্ত বেড়া সংলগ্ন বসতিগুলো খালি করা হচ্ছে। ওই জনবসতিগুলোর নাম – নাহাল ওজ, এরেজ, নির আম, মাফালসিম, কেফার গাজা, গাভিম, অর হানার, আইভিম, নাতিভ হাথারা, ইয়াদ মোর্দেচাই, কারমিয়া, জিকিম, কেরেম। শালোম, কিসুফিম, হোলিট, সোফা, নিরিম, নির ওজ, এইন হাসলোশা, নির ইতজাক, বারি, ম্যাগেন, রিম, সাদ এবং আলুমিম।

ইসরায়েলি সেনারা টুইট করে বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ইসরায়েলি নাগরিকদের তাদের বাড়ি-ঘর খালি করতে বলা হয়েছিল। আরও জনবসতি খালি করা হতে পারে।

তাদের সামরিক বাহিনী এর আগে বলেছিল, গাজার সীমান্ত বেড়া সংলগ্ন শহরে বসবাসকারী সমস্ত বাসিন্দাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে।

এর আগে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাঁচ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতেই থেমে থাকেনি হামাস যোদ্ধারা। সীমানা প্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও ঢুকে পড়ে তারা।

এরপরই শুরু হয় দুই পক্ষের লড়াই। ইসরায়েলের মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় লড়াই চলছে। তাছাড়া গাজার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামালা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে বেশ কয়েকটি মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর জেরে পাল্টা গোলা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হামাসের হামলায় ৬০০ ইসরায়েলি নিহত

প্রকাশের সময় : ০৬:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজায় হামাসের নজিরবিহীন হামলায় এবং পাল্টা হামলায় ৬ শতাধিক ছাড়িয়েছে ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।নিহতদের মধ্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যও রয়েছে।

সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতির তত অবনতি হচ্ছে। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও নিশ্চিত করেছে, হাসপাতালে আহতের সংখ্যা ২০৪৮ এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর এবং ৩৩০ জন গুরুতর আহত। হামলার ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পরেও সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় বন্দুকধারীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আমাদের লক্ষ্য হলো গাজার আশপাশে বসবাসকারী সব নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া।

এদিকে সাধারণ মানুষকে চলমান লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা।

ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াই অব্যাহত থাকায়, আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা একটি নতুন বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি জনগণকে এই যুদ্ধে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জনবসতি সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ, গাজার সীমান্ত এলাকার ইসরায়েলি নাগরিকদের তাদের বাড়ি-ঘর খালি করতে বলা হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, প্রাথমিকভাবে গাজার সীমান্ত বেড়া সংলগ্ন বসতিগুলো খালি করা হচ্ছে। ওই জনবসতিগুলোর নাম – নাহাল ওজ, এরেজ, নির আম, মাফালসিম, কেফার গাজা, গাভিম, অর হানার, আইভিম, নাতিভ হাথারা, ইয়াদ মোর্দেচাই, কারমিয়া, জিকিম, কেরেম। শালোম, কিসুফিম, হোলিট, সোফা, নিরিম, নির ওজ, এইন হাসলোশা, নির ইতজাক, বারি, ম্যাগেন, রিম, সাদ এবং আলুমিম।

ইসরায়েলি সেনারা টুইট করে বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ইসরায়েলি নাগরিকদের তাদের বাড়ি-ঘর খালি করতে বলা হয়েছিল। আরও জনবসতি খালি করা হতে পারে।

তাদের সামরিক বাহিনী এর আগে বলেছিল, গাজার সীমান্ত বেড়া সংলগ্ন শহরে বসবাসকারী সমস্ত বাসিন্দাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে।

এর আগে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাঁচ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতেই থেমে থাকেনি হামাস যোদ্ধারা। সীমানা প্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও ঢুকে পড়ে তারা।

এরপরই শুরু হয় দুই পক্ষের লড়াই। ইসরায়েলের মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় লড়াই চলছে। তাছাড়া গাজার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামালা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে বেশ কয়েকটি মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর জেরে পাল্টা গোলা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।