Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯৪ জন দেখেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক : 
নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ এবং এই সংক্রান্ত আলোচনার মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে এসে পদত্যাগ করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন সিইসি। রাষ্ট্রপতি বরাবর এ পদত্যাগপত্র তিনি নিবাচন কমিশনের সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানান।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়া বর্তমান কমিশনের বাকি চার সদস্য হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে ইসি রাশেদা ও আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছিল, পদত্যাগের আগে এটিই হয়তো কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাবিবুল আউয়াল কমিশনের শেষ বৈঠক।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকলেও মাত্র আড়াই বছরেই বিদায় নিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২০২২ সালে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের পর সেই আইনের অধীনে প্রথম নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেন কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচজন। ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
তারা নিয়োগের একদিন পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে শপথ নেন। ওই কমিশনের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনটি বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করে। ভোট শেষে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
বিগত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয় অন্তর্র্বতী সরকার। এ সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলোপ করে নতুন কমিশন গঠনেরও দাবি ওঠে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজেদের অবস্থান ও করণীয় জানতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় আউয়াল কমিশন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো ইসির সংস্কার করা হবে বলে নিশ্চিত করছেন তারা। সে জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা অফিস করলেও তাদের বিদায়ের প্রস্তুতিই প্রাধান্য পায়। শেষ সময়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় জরুরি কাগজপত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে নেন তারা।
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

স্বাধীনতা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে জাতিকে আর বিভক্ত করা যাবে না : সালাহউদ্দিন

হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ

প্রকাশের সময় : ১২:৩০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক : 
নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ এবং এই সংক্রান্ত আলোচনার মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে এসে পদত্যাগ করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন সিইসি। রাষ্ট্রপতি বরাবর এ পদত্যাগপত্র তিনি নিবাচন কমিশনের সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানান।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়া বর্তমান কমিশনের বাকি চার সদস্য হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে ইসি রাশেদা ও আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছিল, পদত্যাগের আগে এটিই হয়তো কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাবিবুল আউয়াল কমিশনের শেষ বৈঠক।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকলেও মাত্র আড়াই বছরেই বিদায় নিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২০২২ সালে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের পর সেই আইনের অধীনে প্রথম নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেন কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচজন। ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
তারা নিয়োগের একদিন পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে শপথ নেন। ওই কমিশনের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনটি বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করে। ভোট শেষে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
বিগত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয় অন্তর্র্বতী সরকার। এ সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলোপ করে নতুন কমিশন গঠনেরও দাবি ওঠে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজেদের অবস্থান ও করণীয় জানতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় আউয়াল কমিশন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো ইসির সংস্কার করা হবে বলে নিশ্চিত করছেন তারা। সে জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা অফিস করলেও তাদের বিদায়ের প্রস্তুতিই প্রাধান্য পায়। শেষ সময়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় জরুরি কাগজপত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে নেন তারা।