আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার জানাজা বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। হানিয়ার জানাজা পড়ালেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
ইরানের পার্লামেন্টে স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফের ভাষণের মাধ্যমে জানাজার কার্যক্রম শুরু হয়।
গালিবাফ বলেন, সারা বিশ্বের ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর ছিলেন শহীদ ইসমাইল হানিয়া। তিনি কেবল একজন নেতা ছিলেন না, তিনি একজন জ্ঞানীও ছিলেন।
গালিবাফ আরও বলেন, বুধবার তেহরানে হানিয়ার হত্যার জবাব না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে না। আমরা এর জবাব দেব। সঠিক সময়ে ও সঠিক জায়গায়। আমাদের মাটিতে আমাদের অতিথিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে। আমাদের জন্য এটা মেনে নেওয়া কঠিন।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইরানে গিয়েছিলেন হানিয়া। গত মঙ্গলবার তেহরানে এ অনুষ্ঠান হয়।
হানিয়ার ওপর হামলায় কারা জড়িত সেটা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা না গেলেও হামাসের দাবি, জায়নবাদীর হামলায় হানিয়া নিহত হয়েছেন। হানিয়া হত্যার জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
এদিকে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে গুপ্তহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পর ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া দেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, হামাস প্রধান হানিয়া নিহত হয়েছেন বলে ইরান ঘোষণা দেয়ার পরপরই খামেনি বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে ইসরায়েলি সরাসরি হামলার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রেভল্যুশনারি গার্ডের দুই সদস্যসহ তিনজন ইরানি কর্মকর্তা। তারা তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। কারণ এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার জন্য তারা অনুমোদিত কেউ নন।