Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হানিমুনে মালদ্বীপ গেলেন ফারিণ

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ২০২ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

দীর্ঘ সাড়ে আট বছরের প্রেমের পর প্রেমিক শেখ রেজওয়ানকে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তার বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আসার পর তার ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ব্যাপক কৌতূলের জন্ম দেয়। ফারিণ বিয়ের সংবাদ দিতে গিয়ে তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তাতে তার স্বামীর পুরো ছবি প্রকাশ করেননি।

অবশেষে জানালেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে হানিমুনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন তিনি এবং তাঁর স্বামী। কোথায় গেলেন হানিমুনে? ফারিণের জবাব, মালদ্বীপে।

ফারিণ বলেন, আমি এত দিন ধরে প্রেম করেছি। অনেক শান্তিতে ছিলাম। এখন বিয়ে হলো আমাদের। আমার চাওয়া, যত দিন বাঁচব, তত দিন যেন এমন শান্তিতেই জীবনটা পার করতে পারি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকে স্পিডবোটে সমুদ্রে প্রায় ৪০ মিনিটের পথ। চারদিকে সমুদ্রঘেরা একটি দ্বীপ। সেই দ্বীপে বসে সমুদ্রের নীল জলে পা ভিজিয়ে গল্প করে, কখনো আবার নীল জলে সাঁতার কেটে একান্ত সময় পার করছেন সদ্য বিবাহিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ও শেখ রেজওয়ান রাফিদ আহমেদ।

ফারিণ বলেন, সুন্দর সময় কাটছে আমাদের দুজনের। জায়গাটি সুন্দর। এখানে সমুদ্রঘেরা অনেকগুলো রিসোর্ট। প্রাইভেট একটি রিসোর্টে আছি আমরা। কী সুন্দর জায়গাটি! মালদ্বীপ আমার পছন্দের জায়গা। বলতে পারেন, বিয়ের পর এ কারণেই এখানে আসা। এর আগেও একবার ভাইকে সঙ্গে করে মালদ্বীপে এসেছিলাম। আর এবারকার আসাটা ভিন্ন। অন্যরকম ভালো লাগা ও আনন্দের।

প্রেমের দিনগুলো বিনোদনজগতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন ফারিণ। প্রেমিক রাফিদের পক্ষ থেকে কোনো বাধানিষেধ ছিল না। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনো বাধানিষেধ বা কাজের কোনো ছন্দপতন হবে কি না, জানতে চাইলে ফারিণ বলেন, রাফিদের পক্ষ থেকে তো কোনো সমস্যা নাই। একধরনের ভালোবাসা থেকেই মিডিয়াতে কাজ করি। শ্বশুরবাড়ি থেকে বিষয়টি তাঁরা সবাই জানেন। আমার কাজের ভালোবাসার প্রতি তাঁদের সমর্থন আছে।

বেশি দিন মালদ্বীপে থাকবেন না ফারিণ ও রাফিদ। দুজনেরই তাড়াতাড়ি কাজে ফিরতে হবে, জানালেন ফারিণ।

তিনি বলেন, রাফিদ যুক্তরাজ্য থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করল। সেপ্টেম্বর থেকে চাকরিতে যোগ দেবে সেখানে। তা ছাড়া এর মধ্যে আমারও দুটি ওয়েব ফিল্মের শিডিউল দেওয়া আছে। দুটি কাজের অংশবিশেষের শুটিং অস্ট্রেলিয়াতে হবে। ১৭ বা ১৮ আগস্ট সেখানে যাওয়ার কথা আছে। সুতরাং তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে।

মজার ব্যাপার হলো, ফারিণের প্রায় সাড়ে আট বছরের প্রেমের সম্পর্ক শেখ রেজওয়ানের সঙ্গে। কিন্তু তাকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠানে কখনো যাননি বলা চলে। তবে একবার ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ শিরোনামের একটি সিনেমার পার্টিতে ফারিণের সঙ্গে শেখ রেজওয়ানকে দেখা গিয়েছিল। তবে ফারিণের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ শেখ রেজওয়ানকে চিনতো এবং জানতো।

২০১৫ সালেই প্রেমিকের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি প্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানেই স্বামী শেখ রেজওয়ানের প্রতি ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বিয়ের পর সেই ছবিই পুনরায় প্রকাশ করলেন ফেসবুকে।

এর আগে সোমবার (১৪ আগস্ট) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের বিয়ের খবর জানান তাসনিয়া ফারিণ। ১১ আগস্ট রাতে রাজধানীর একটা পাঁচ তারকা হোটেলে পারিবারিকভাবে তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর ১৩ আগস্ট হানিমুনের সময় কাটাতে মালদ্বীপে গিয়েছেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা তাঁদের।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হানিমুনে মালদ্বীপ গেলেন ফারিণ

প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

দীর্ঘ সাড়ে আট বছরের প্রেমের পর প্রেমিক শেখ রেজওয়ানকে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তার বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আসার পর তার ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ব্যাপক কৌতূলের জন্ম দেয়। ফারিণ বিয়ের সংবাদ দিতে গিয়ে তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তাতে তার স্বামীর পুরো ছবি প্রকাশ করেননি।

অবশেষে জানালেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে হানিমুনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন তিনি এবং তাঁর স্বামী। কোথায় গেলেন হানিমুনে? ফারিণের জবাব, মালদ্বীপে।

ফারিণ বলেন, আমি এত দিন ধরে প্রেম করেছি। অনেক শান্তিতে ছিলাম। এখন বিয়ে হলো আমাদের। আমার চাওয়া, যত দিন বাঁচব, তত দিন যেন এমন শান্তিতেই জীবনটা পার করতে পারি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকে স্পিডবোটে সমুদ্রে প্রায় ৪০ মিনিটের পথ। চারদিকে সমুদ্রঘেরা একটি দ্বীপ। সেই দ্বীপে বসে সমুদ্রের নীল জলে পা ভিজিয়ে গল্প করে, কখনো আবার নীল জলে সাঁতার কেটে একান্ত সময় পার করছেন সদ্য বিবাহিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ও শেখ রেজওয়ান রাফিদ আহমেদ।

ফারিণ বলেন, সুন্দর সময় কাটছে আমাদের দুজনের। জায়গাটি সুন্দর। এখানে সমুদ্রঘেরা অনেকগুলো রিসোর্ট। প্রাইভেট একটি রিসোর্টে আছি আমরা। কী সুন্দর জায়গাটি! মালদ্বীপ আমার পছন্দের জায়গা। বলতে পারেন, বিয়ের পর এ কারণেই এখানে আসা। এর আগেও একবার ভাইকে সঙ্গে করে মালদ্বীপে এসেছিলাম। আর এবারকার আসাটা ভিন্ন। অন্যরকম ভালো লাগা ও আনন্দের।

প্রেমের দিনগুলো বিনোদনজগতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন ফারিণ। প্রেমিক রাফিদের পক্ষ থেকে কোনো বাধানিষেধ ছিল না। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনো বাধানিষেধ বা কাজের কোনো ছন্দপতন হবে কি না, জানতে চাইলে ফারিণ বলেন, রাফিদের পক্ষ থেকে তো কোনো সমস্যা নাই। একধরনের ভালোবাসা থেকেই মিডিয়াতে কাজ করি। শ্বশুরবাড়ি থেকে বিষয়টি তাঁরা সবাই জানেন। আমার কাজের ভালোবাসার প্রতি তাঁদের সমর্থন আছে।

বেশি দিন মালদ্বীপে থাকবেন না ফারিণ ও রাফিদ। দুজনেরই তাড়াতাড়ি কাজে ফিরতে হবে, জানালেন ফারিণ।

তিনি বলেন, রাফিদ যুক্তরাজ্য থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করল। সেপ্টেম্বর থেকে চাকরিতে যোগ দেবে সেখানে। তা ছাড়া এর মধ্যে আমারও দুটি ওয়েব ফিল্মের শিডিউল দেওয়া আছে। দুটি কাজের অংশবিশেষের শুটিং অস্ট্রেলিয়াতে হবে। ১৭ বা ১৮ আগস্ট সেখানে যাওয়ার কথা আছে। সুতরাং তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে।

মজার ব্যাপার হলো, ফারিণের প্রায় সাড়ে আট বছরের প্রেমের সম্পর্ক শেখ রেজওয়ানের সঙ্গে। কিন্তু তাকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠানে কখনো যাননি বলা চলে। তবে একবার ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ শিরোনামের একটি সিনেমার পার্টিতে ফারিণের সঙ্গে শেখ রেজওয়ানকে দেখা গিয়েছিল। তবে ফারিণের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ শেখ রেজওয়ানকে চিনতো এবং জানতো।

২০১৫ সালেই প্রেমিকের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি প্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানেই স্বামী শেখ রেজওয়ানের প্রতি ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বিয়ের পর সেই ছবিই পুনরায় প্রকাশ করলেন ফেসবুকে।

এর আগে সোমবার (১৪ আগস্ট) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের বিয়ের খবর জানান তাসনিয়া ফারিণ। ১১ আগস্ট রাতে রাজধানীর একটা পাঁচ তারকা হোটেলে পারিবারিকভাবে তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর ১৩ আগস্ট হানিমুনের সময় কাটাতে মালদ্বীপে গিয়েছেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা তাঁদের।