লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার একটি শালবনে নিয়ে গিয়ে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার ওই কলেজছাত্রীকে সঙ্গে দক্ষিণ গোতামারী এলাকার আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে আব্দুস সাত্তার। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সাত্তার ও তার আরেক বন্ধু ধর্ষণ করে। শুক্রবার ওই কলেজছাত্রীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে হাতীবান্ধা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর (৩২), দইখাওয়া বাজার এলাকার সুলতান আহম্মেদের ছেলে রোকন (৩০), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আইয়ুব আলীর ছেলে রাকিবুল (১৯), একই এলাকার খবির আলীর ছেলে আল আমিন (১৯), নজিমুদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া সাবু (২৮), নওদাবাস এলাকার ওছমান গনির ছেলে সুলতান হোসেন (৪০)।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন-নবী বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ওই কলেজছাত্রীকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার করা ওই ছয় ব্যক্তিকে আগামীকাল (রোববার) সকালে লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হবে।
এরপর বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ওই ছাত্রীকে উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের শালবনে নিয়ে যায় সাত্তার। সেখানে সাত্তার ও তার বন্ধুরা পালক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। এ সময় ভুক্তভোগী অসুস্থ হলে সবাই পালিয়ে যায়।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা আমলে নিয়ে থানা-পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।