হাতিয়া উপজেলা প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আফাজিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে সব পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এতে ১৪টি দোকানের মালামাল ও দুটি বসতঘর পুড়ে প্রায় দেড় কোনটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে আফাজিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ী আব্দুল্লা আল মামুনের কসমেটিকস দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।
ব্যবসায়ী সুজন চন্দ্র দেবনাথ জানান, রাত ১২টার দিকে আগুন লাগে। এতে মুহূর্তের মধ্যে তার মুদি দোকান, গুদামঘর ও নিজের ১০টি দোকানসহ মোট ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একইসঙ্গে দুটি বসতঘরও পুড়ে যায়।
আগুন লাগার অনেকক্ষণ পরে ফায়ার সার্ভিস আসে জানিয়ে তিনি বলেন, ততক্ষণে সব শেষ।
ধারণা করে এই ব্যবসায়ী বলেন, তার ভাড়াটিয়া কসমেটিকস দোকানদার আব্দুল্লা আল মামুনের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। এটি কেউ না কেউ শত্রুতা করে ঘটিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সব হারিয়ে হতবিহবল সুজন চন্দ্র জানান, তার প্রায় ৬০ লাখ টাকার শুধু মালামাল পুড়ে যায়। দুটি বসতঘরসহ বাজারের ১৪টি দোকানঘর পুড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আব্দুর রশিদসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগুন লাগার মুহূর্তের মধ্যে সবগুলো দোকান পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে কিছু অংশে পানি ছিটায়।
হাতিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব-অফিসার জসিম উদ্দিন জানান, আগুন লাগার ১০ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় সোয়া কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কমান্ডর জসিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তাতে ১৪টি দোকান পুড়ে গেছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় সোয়া কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা আবেদন করলে কিছু দান অনুদান দেওয়া হবে এবং পরিকল্পিত কিছুর আভাস পাওয়া গেলে তদন্তের ব্যবস্থা করা হবে।