Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাজিদের জাহাজকে প্রমোদতরী বানিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হজযাত্রীদের জন্য বঙ্গবন্ধুর কেনা জাহাজ হিজবুল বাহারকে জিয়াউর রহমান প্রমোদতরী বানিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ১৪৪৪ হিজরি/২০২৩ সনের ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ উদ্বোধন ও হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাবা সরকারে এসেই হজ ব্যবস্থা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় তার ব্যবস্থা নেন। ওই সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। রিজার্ভ মানি নেই, কারেন্সি নোট নেই, গোলায় খাবার নেই। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সৌদির বাদশাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন যাতে আমাদের দেশের মানুষ হজে যেতে পারেন। সৌদির বাদশাহও সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অল্প খরচে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন। হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করে হজের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ’৭৫ পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ওই জাহাজটিকে প্রমোদতরীতে পরিণত করে। তখন আর হজ যাত্রা হতো না। এটা দুঃখজনক।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ছিলেন খাঁটি মুসলমান। মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে তিনি ইসলামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন। জাতির পিতা মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আরব বিশ্বের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং সাহায্য প্রেরণ করেন। তার কূটনৈতিক দূরদর্শীতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।

হজ কার্যক্রম উদ্বোধন, দেশবাসীর জন্য দোয়া চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

ইসলামের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন। তাবলীগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদে জমি দান করেন। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কুরআন তিলাওয়াতের প্রচলন করেন। তিনিই প্রথম আইন করে মদ নিষিদ্ধ করেন; ঘোড়দৌড় ও জুয়া বন্ধ করেন। যে মদের লাইসেন্স বঙ্গবন্ধু বন্ধ করে দিয়েছিলেন তা জিয়ার আমলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ইসলামের নামে স্বার্থন্বেষী মহলের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এক ঐতিহাসিক বেতার ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা ইনসাফের ইসলামে বিশ্বাসী। আমাদের ইসলাম হযরত নবী করীম (সা:)-এর ইসলাম, যে ইসলাম জগতবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে হজ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে তা সহজতর এবং উন্নত হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১০ সালে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথমবারের মত জেদ্দা হজ টার্মিনালে প্লাজা ভাড়া করি। ২০০৯ সালে আমরা জেদ্দায় পৃথক হজ অফিস স্থাপন করে সেখানে একজন কাউন্সিলর ও একজন কনসাল জেনারেল নিয়োগ দিই। এর ফলে গত ১৪ বছরে হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের সেবা প্রদান অনেক সহজতর ও উন্নততর হয়েছে।

হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ই-হেলথ প্রোফাইল প্রবর্তনের কথা জানি তিনি বলেন, সৌদি আরবে অসুস্থ হজযাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে সেবা প্রদানে কিউ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম চালু করা হয়েছে। হজযাত্রীরা কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই সৌদি ই-ভিসা সিস্টেমের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করে ভিসা সংগ্রহ করতে পারছেন। মক্কা রোড সার্ভিস-এর আওতায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা এ বছর থেকে শতভাগ হজযাত্রী সৌদি পর্বের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সম্পন্ন করতে পারবেন ফলে জেদ্দা হজ টার্মিনালে দীর্ঘ অপেক্ষা দূর হবে।

তিনি বলেন, হজের জন্য বাংলাদেশের আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আমাদের প্রাক-নিবন্ধনের প্রক্রিয়া বছরব্যাপী চলতে থাকে। প্রাক-নিবন্ধনের পর আবেদনকারীরা ন্যায্যতার ভিত্তিতে ক্রমানুযায়ী হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। কেউ প্রাক-নিবন্ধনের পর তা বাতিল করতে চাইলে অনলাইনে আবেদন করে সহজেই ইএফটির মাধ্যমে অর্থ ফেরত পাচ্ছেন। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হজযাত্রীরা ডিজিটালভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করে থাকেন।

‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১’ প্রণয়নের ফলে হজ কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রতিকার সহজ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, হজযাত্রীদের সাথে প্রতারণা ও হয়রানি করেছে এমন এজেন্সিসমূহকে লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত ও আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন ফৌজদারী শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমলের সব অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। অতীতে হজ পালনে দুর্ভোগ, হজের অব্যবস্থাপনা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, হজযাত্রীদের হয়রানি, ভিসা জটিলতা, ফ্লাইট বিপর্যয় ইত্যাদি সমস্যা ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক। আমরা এ সমস্যা দূর করতে ই-হজ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করেছি। ই-হজ ব্যবস্থাপনার আওতায় হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, রিফান্ড, মক্কা রোড সার্ভিস, ই-হেলথ, ই-ভিসা, ফ্লাইট, হেল্পডেস্ক, কল সেন্টার, মোবাইল অ্যাপ, এজেন্সি প্রোফাইল ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদিত হয়েছে। হজ বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল এবং হজযাত্রীদের সেবা প্রদানকারী মোবাইল অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। এর ফলে হজযাত্রীরা তাদের ভিসা, পাসপোর্ট, আবাসন, মেডিকেল সুবিধা, সৌদি আরব গমন, প্রত্যাগমন ইত্যাদি বিষয়ে সহজে সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। ২০২২ সালে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির সাথে কাবার পথে’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণের ফলে সেবা প্রদানকারী ও গ্রহণকারীর সাথে সরাসরি ডিজিটাল সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। মধ্যসত্ত্বভোগী-প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য হ্রাস পেয়েছে। আমরা জনগণকে সময়োচিত, দায়িত্বশীল, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দিতে পেরেছি।

তিনি বলেন, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা ই-হেলথ প্রোফাইল প্রবর্তন করেছি। সৌদি আরবে অসুস্থ হজযাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে সেবা প্রদানে কিউ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম চালু করা হয়েছে। হজযাত্রীরা কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই সৌদি ই-ভিসা সিস্টেমের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করে ভিসা সংগ্রহ করতে পারছেন। মক্কা রোড সার্ভিসের আওতায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা এ বছর থেকে শতভাগ হজযাত্রী সৌদি পর্বের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে সম্পন্ন করতে পারবেন। ফলে জেদ্দা হজ টার্মিনালে দীর্ঘ অপেক্ষা দূর হবে।

তিনি আরও বলেন, হজ ফ্লাইট ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং-এর মাধ্যমে ফ্লাইট বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। হজযাত্রীদের লাগেজ হারানো এবং এ বিষয়ক অব্যবস্থাপনা আমরা দূর করেছি। প্রত্যেক হজযাত্রীকে এসএমএস-এর মাধ্যমে হজ বিষয়ক নোটিফিকেশন প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে হজ বিষয়ক কল সেন্টার ১৬১৩৬। এই নম্বরে কল দিলে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম সকলের কল্যাণের ধর্ম। ইসলাম সকলের অধিকার নিশ্চিত করে। সামান্য কিছু মানুষের জন্য ইসলাম ধর্মের বদনাম হয়। যারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, আসলে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস যারা করে তাদের কোনো ধর্ম নাই। এবং জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সব ধর্মের লোকের মধ্যেই আছে। কাজেই কেউ যদি মনে করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে বেহেশতে যাবে। এটা কোনো দিন হয় না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তা কোনদিন বলেননি। নবী করিম (সা.) কোনো দিন একথা বলেননি। কাজেই পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।

19-05-23-PM_Inauguration Of Haj Activities-5

শেখ হাসিনা আরো বলেন, এই আন্ডারপাস হবে খুবই আধুনিক। এতে মালপত্র ঘাড়ে করে টানতে হবে না। সে ধরনের ব্যবস্থা আমরা করে দেব। সেখানে র‌্যাম্পের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে মালপত্র টানার ব্যবস্থা থাকবে। যাত্রীরা যাতে নিজেরা চলাচলসহ মালপত্র সহজে আনা-নেয়া করতে পারেন, এমন সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। আমি নিজে প্ল্যানটা দেখে দিয়েছি। আপনাদের জন্য সে ব্যবস্থাটা দ্রুতই আমরা করে দেব।

সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২০০টি মসজিদ করা হয়ে গেছে। বাকিগুলোও ধীরে ধীরে আমরা করে দিচ্ছি। সেখানেও ইমাম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে, হজযাত্রীরা হজ সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য, ট্রেনিং এবং করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন, লাইব্রেরিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সেখানে থাকবে।

হজযাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, আপনারা হজে গিয়ে আল্লাহর কাছে সেই দোয়া করবেন।

তিনি বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, বাংলাদেশের মানুষকে যেন আর দুঃখ, কষ্ট ভোগ করতে না হয় সেই দোয়াটা আপনারা আল্লাহর কাছে করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ-দুর্বিপাক অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সেই সঙ্গে আমাদের দেশে আবার মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগও হয়, অগ্নিসন্ত্রাস হয়, বাসের মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ মারে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারে এ ধরনের মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কোনো দুর্যোগ যেন বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে আপনারা সেই দোয়াটা করবেন। আপনাদের কাছে দেশের মানুষের জন্য দোয়া চাই।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজকে অন্তত বাংলাদেশের মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছে সেই ব্যবস্থা করতে পেরেছি। বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দিচ্ছি।

হাজিদের সুস্থতা কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা আল্লাহর মেহমান হিসেবে আল্লাহর ঘরে যাবেন। মক্কা-মদিনা শরিফে যাবেন। আপনারা যেন নিরাপদে, সুস্থ-সুন্দরভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন, সুস্থভাবে দেশে আপনজনের কাছে ফিরে আসতে পারেন আমরা সেই দোয়া করি।

ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষের কল্যাণের ধর্ম। ইসলাম সবার অধিকার নিশ্চিত করে। সামান্য কিছু মানুষের জন্য ইসলাম ধর্মের বদনাম হয়। যারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তাদের জন্য ইসলামের বদনাম হয়। যারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস করে তাদের কোনো ধর্ম নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান, ধর্ম বিষয়ক সচিক কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আফতাবনগর-বনশ্রী সংযোগে নির্মাণ হবে দুই সেতু : ডিএনসিসি প্রশাসক

হাজিদের জাহাজকে প্রমোদতরী বানিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:২৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হজযাত্রীদের জন্য বঙ্গবন্ধুর কেনা জাহাজ হিজবুল বাহারকে জিয়াউর রহমান প্রমোদতরী বানিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ১৪৪৪ হিজরি/২০২৩ সনের ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ উদ্বোধন ও হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাবা সরকারে এসেই হজ ব্যবস্থা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় তার ব্যবস্থা নেন। ওই সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। রিজার্ভ মানি নেই, কারেন্সি নোট নেই, গোলায় খাবার নেই। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সৌদির বাদশাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন যাতে আমাদের দেশের মানুষ হজে যেতে পারেন। সৌদির বাদশাহও সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অল্প খরচে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন। হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করে হজের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ’৭৫ পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ওই জাহাজটিকে প্রমোদতরীতে পরিণত করে। তখন আর হজ যাত্রা হতো না। এটা দুঃখজনক।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ছিলেন খাঁটি মুসলমান। মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে তিনি ইসলামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন। জাতির পিতা মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আরব বিশ্বের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং সাহায্য প্রেরণ করেন। তার কূটনৈতিক দূরদর্শীতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।

হজ কার্যক্রম উদ্বোধন, দেশবাসীর জন্য দোয়া চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

ইসলামের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন। তাবলীগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদে জমি দান করেন। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কুরআন তিলাওয়াতের প্রচলন করেন। তিনিই প্রথম আইন করে মদ নিষিদ্ধ করেন; ঘোড়দৌড় ও জুয়া বন্ধ করেন। যে মদের লাইসেন্স বঙ্গবন্ধু বন্ধ করে দিয়েছিলেন তা জিয়ার আমলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ইসলামের নামে স্বার্থন্বেষী মহলের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এক ঐতিহাসিক বেতার ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা ইনসাফের ইসলামে বিশ্বাসী। আমাদের ইসলাম হযরত নবী করীম (সা:)-এর ইসলাম, যে ইসলাম জগতবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে হজ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে তা সহজতর এবং উন্নত হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১০ সালে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথমবারের মত জেদ্দা হজ টার্মিনালে প্লাজা ভাড়া করি। ২০০৯ সালে আমরা জেদ্দায় পৃথক হজ অফিস স্থাপন করে সেখানে একজন কাউন্সিলর ও একজন কনসাল জেনারেল নিয়োগ দিই। এর ফলে গত ১৪ বছরে হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের সেবা প্রদান অনেক সহজতর ও উন্নততর হয়েছে।

হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ই-হেলথ প্রোফাইল প্রবর্তনের কথা জানি তিনি বলেন, সৌদি আরবে অসুস্থ হজযাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে সেবা প্রদানে কিউ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম চালু করা হয়েছে। হজযাত্রীরা কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই সৌদি ই-ভিসা সিস্টেমের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করে ভিসা সংগ্রহ করতে পারছেন। মক্কা রোড সার্ভিস-এর আওতায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা এ বছর থেকে শতভাগ হজযাত্রী সৌদি পর্বের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সম্পন্ন করতে পারবেন ফলে জেদ্দা হজ টার্মিনালে দীর্ঘ অপেক্ষা দূর হবে।

তিনি বলেন, হজের জন্য বাংলাদেশের আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আমাদের প্রাক-নিবন্ধনের প্রক্রিয়া বছরব্যাপী চলতে থাকে। প্রাক-নিবন্ধনের পর আবেদনকারীরা ন্যায্যতার ভিত্তিতে ক্রমানুযায়ী হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। কেউ প্রাক-নিবন্ধনের পর তা বাতিল করতে চাইলে অনলাইনে আবেদন করে সহজেই ইএফটির মাধ্যমে অর্থ ফেরত পাচ্ছেন। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হজযাত্রীরা ডিজিটালভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করে থাকেন।

‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১’ প্রণয়নের ফলে হজ কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রতিকার সহজ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, হজযাত্রীদের সাথে প্রতারণা ও হয়রানি করেছে এমন এজেন্সিসমূহকে লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত ও আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন ফৌজদারী শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমলের সব অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। অতীতে হজ পালনে দুর্ভোগ, হজের অব্যবস্থাপনা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, হজযাত্রীদের হয়রানি, ভিসা জটিলতা, ফ্লাইট বিপর্যয় ইত্যাদি সমস্যা ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক। আমরা এ সমস্যা দূর করতে ই-হজ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করেছি। ই-হজ ব্যবস্থাপনার আওতায় হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, রিফান্ড, মক্কা রোড সার্ভিস, ই-হেলথ, ই-ভিসা, ফ্লাইট, হেল্পডেস্ক, কল সেন্টার, মোবাইল অ্যাপ, এজেন্সি প্রোফাইল ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদিত হয়েছে। হজ বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল এবং হজযাত্রীদের সেবা প্রদানকারী মোবাইল অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। এর ফলে হজযাত্রীরা তাদের ভিসা, পাসপোর্ট, আবাসন, মেডিকেল সুবিধা, সৌদি আরব গমন, প্রত্যাগমন ইত্যাদি বিষয়ে সহজে সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। ২০২২ সালে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির সাথে কাবার পথে’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণের ফলে সেবা প্রদানকারী ও গ্রহণকারীর সাথে সরাসরি ডিজিটাল সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। মধ্যসত্ত্বভোগী-প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য হ্রাস পেয়েছে। আমরা জনগণকে সময়োচিত, দায়িত্বশীল, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দিতে পেরেছি।

তিনি বলেন, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা ই-হেলথ প্রোফাইল প্রবর্তন করেছি। সৌদি আরবে অসুস্থ হজযাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে সেবা প্রদানে কিউ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম চালু করা হয়েছে। হজযাত্রীরা কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই সৌদি ই-ভিসা সিস্টেমের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করে ভিসা সংগ্রহ করতে পারছেন। মক্কা রোড সার্ভিসের আওতায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা এ বছর থেকে শতভাগ হজযাত্রী সৌদি পর্বের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে সম্পন্ন করতে পারবেন। ফলে জেদ্দা হজ টার্মিনালে দীর্ঘ অপেক্ষা দূর হবে।

তিনি আরও বলেন, হজ ফ্লাইট ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং-এর মাধ্যমে ফ্লাইট বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। হজযাত্রীদের লাগেজ হারানো এবং এ বিষয়ক অব্যবস্থাপনা আমরা দূর করেছি। প্রত্যেক হজযাত্রীকে এসএমএস-এর মাধ্যমে হজ বিষয়ক নোটিফিকেশন প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে হজ বিষয়ক কল সেন্টার ১৬১৩৬। এই নম্বরে কল দিলে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম সকলের কল্যাণের ধর্ম। ইসলাম সকলের অধিকার নিশ্চিত করে। সামান্য কিছু মানুষের জন্য ইসলাম ধর্মের বদনাম হয়। যারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, আসলে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস যারা করে তাদের কোনো ধর্ম নাই। এবং জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সব ধর্মের লোকের মধ্যেই আছে। কাজেই কেউ যদি মনে করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে বেহেশতে যাবে। এটা কোনো দিন হয় না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তা কোনদিন বলেননি। নবী করিম (সা.) কোনো দিন একথা বলেননি। কাজেই পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।

19-05-23-PM_Inauguration Of Haj Activities-5

শেখ হাসিনা আরো বলেন, এই আন্ডারপাস হবে খুবই আধুনিক। এতে মালপত্র ঘাড়ে করে টানতে হবে না। সে ধরনের ব্যবস্থা আমরা করে দেব। সেখানে র‌্যাম্পের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে মালপত্র টানার ব্যবস্থা থাকবে। যাত্রীরা যাতে নিজেরা চলাচলসহ মালপত্র সহজে আনা-নেয়া করতে পারেন, এমন সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। আমি নিজে প্ল্যানটা দেখে দিয়েছি। আপনাদের জন্য সে ব্যবস্থাটা দ্রুতই আমরা করে দেব।

সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২০০টি মসজিদ করা হয়ে গেছে। বাকিগুলোও ধীরে ধীরে আমরা করে দিচ্ছি। সেখানেও ইমাম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে, হজযাত্রীরা হজ সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য, ট্রেনিং এবং করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন, লাইব্রেরিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সেখানে থাকবে।

হজযাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, আপনারা হজে গিয়ে আল্লাহর কাছে সেই দোয়া করবেন।

তিনি বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, বাংলাদেশের মানুষকে যেন আর দুঃখ, কষ্ট ভোগ করতে না হয় সেই দোয়াটা আপনারা আল্লাহর কাছে করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ-দুর্বিপাক অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সেই সঙ্গে আমাদের দেশে আবার মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগও হয়, অগ্নিসন্ত্রাস হয়, বাসের মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ মারে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারে এ ধরনের মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কোনো দুর্যোগ যেন বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে আপনারা সেই দোয়াটা করবেন। আপনাদের কাছে দেশের মানুষের জন্য দোয়া চাই।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজকে অন্তত বাংলাদেশের মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছে সেই ব্যবস্থা করতে পেরেছি। বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দিচ্ছি।

হাজিদের সুস্থতা কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা আল্লাহর মেহমান হিসেবে আল্লাহর ঘরে যাবেন। মক্কা-মদিনা শরিফে যাবেন। আপনারা যেন নিরাপদে, সুস্থ-সুন্দরভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন, সুস্থভাবে দেশে আপনজনের কাছে ফিরে আসতে পারেন আমরা সেই দোয়া করি।

ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষের কল্যাণের ধর্ম। ইসলাম সবার অধিকার নিশ্চিত করে। সামান্য কিছু মানুষের জন্য ইসলাম ধর্মের বদনাম হয়। যারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তাদের জন্য ইসলামের বদনাম হয়। যারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস করে তাদের কোনো ধর্ম নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান, ধর্ম বিষয়ক সচিক কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।