আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পদত্যাগ করেছেন হাইতির অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি। গায়ানার প্রেসিডেন্ট এবং ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির (করিকম) বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইরফান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে সহিংসতা চলছিল। সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আসছে গ্যাং দলগুলো।
হাইতিতে রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার জ্যামাইকায় আঞ্চলিক নেতারা মিলিত হন। কেরিকমের জরুরি শীর্ষ সম্মেলন চলার সময় এরিয়েল হেনরির পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইরফান আলী।
বৈঠকের পর জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে ক্যারিকমের চেয়ারম্যান ইরফান আলী বলেন, ‘হাইতিতে একটি অন্তর্র্বতীকালীন প্রেসিডেন্ট পরিষদ প্রতিষ্ঠা ও অন্তর্র্বতী প্রধানমন্ত্রীর নামকরণে হেনরির পদত্যাগ নিশ্চিত করছি আমরা।’ হেনরি বর্তমানে পুয়ের্তো রিকোতে আটকে আছেন। মূলত সশস্ত্র গ্যাংগুলোর বাঁধার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে হাইতির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তার পর থেকে হেনরি হাইতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সম্প্রতি হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের সড়কগুলো নিয়ন্ত্রণে নেয় ভারী অস্ত্রধারী গ্যাংগুলো। তারা হাইতির অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগের দাবি করে আসছিল। এমনকি তাঁরা তাঁর পদত্যাগের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল।
কয়েক দশক ধরেই দারিদ্র্য, সহিংসতা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতি। ২০২১ সালে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসকে হত্যা করা হয়। এরপর দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ে আরও বড় আকারের বিশৃঙ্খলা। এরপর ক্ষমতায় আসেন এরিয়েল হেনরি। গত ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করে নির্বাচন দেওয়ার কথা ছিল তার।
কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্যাংগুলো শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও আধিপত্য বিস্তর করেছে। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকেও করে ফেলেছে কোণঠাসা। এমন অবস্থায় হেনরি বলছেন, দেশে নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই। দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য জাতিসংঘ সমর্থিত বহুজাতিক পুলিশ মিশন মোতায়েন করার আহ্বান জানিয়েছে তিনি।
																			
										
																আন্তর্জাতিক ডেস্ক								 
























