Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন ফখরুলের অন্যতম আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

ওইদিন আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ আইনজীবীরা শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।

এর আগে ২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। ওইদিনই আদালত শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

তবে ২০ নভেম্বর ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন শুনানির তারিখ পিছিয়ে ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডাকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরদিন হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দফায় দফায় অবরোধ ও হরতাল পালন করে আসছে বিএনপি ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন

প্রকাশের সময় : ১২:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন ফখরুলের অন্যতম আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

ওইদিন আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ আইনজীবীরা শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।

এর আগে ২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। ওইদিনই আদালত শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

তবে ২০ নভেম্বর ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন শুনানির তারিখ পিছিয়ে ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডাকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরদিন হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দফায় দফায় অবরোধ ও হরতাল পালন করে আসছে বিএনপি ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলো।