Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন রাজউক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্লট বরাদ্দ নিয়ে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে পালন না করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন রাজউক চেয়ারম্যান। ভবিষ্যতে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি অ্যাডভোকেট শেখ গোলাম রসূল ও ব্যারিস্টার নুরুল আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

এর আগে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করায় গত মঙ্গলবার (১৬ মে) হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রাজউক চেয়ারম্যানকে তলব করেন। তাকে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। তলবের আদেশটি বিশেষ বার্তার মাধ্যমে রাজউক চেয়ারম্যানকে পাঠাতে বলা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৮ মে) আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন রাজউক চেয়ারম্যান।

আইনজীবী ব্যারিস্টার নুরুল আজিম বলেন, ২০০৪ সালে ফরিদা বেগম নামের এক ব্যক্তি রাজউক থেকে নিকুঞ্জ এলাকায় প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। পরে তিনি (ফরিদা বেগম) তার নামে নেওয়া নিকুঞ্জ আবাসিক মডেল টাউনের ফারুক স্মরণি রোডের প্লট নং ১৯ প্লটটি (২ কাঠা ৮ ছটাক জমি) অপর একজনের নামে (খালেদ মাহমুদকে) হস্তান্তর (বিক্রি) করেন। এরপর খালেদ মাহমুদ সব নিয়ম মেনে রাজউকের সমুদয় পাওনা অর্থ পরিশোধ করেন। ওই সময় রাজউক একটি চিঠি দিয়ে ১১ জনের প্লট বরাদ্দ বাতিল করেন। বাতিল করা ওই ১১ প্লটের মধ্যে খালেদ মাহমুদের প্লটটি ছিল। এরপর রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে হাইকোর্টে রিট করেন খালিদ মাহমুদ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ৩০ মার্চ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ওই প্লট বরাদ্দ বাতিলের বিষয়ে রাজউকের দেওয়া চিঠির সিদ্ধান্ত ও কার্যকারিতা স্থগিত করেন। সাথে রুলও জারি করেন আদালত।

ওই রুলের শুনানিতে ২০২২ সালে ১২ ডিসেম্বর রাজউক চেয়ারম্যানকে প্লট বরাদ্দ বাতিল সংক্রান্ত চিঠির নথির বিষয়ে প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের ওই আদেশ প্রতিপালন না করায় রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে আবারও হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রাজউক চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক, তিন উপজেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ

হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন রাজউক চেয়ারম্যান

প্রকাশের সময় : ০২:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্লট বরাদ্দ নিয়ে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে পালন না করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন রাজউক চেয়ারম্যান। ভবিষ্যতে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি অ্যাডভোকেট শেখ গোলাম রসূল ও ব্যারিস্টার নুরুল আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

এর আগে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করায় গত মঙ্গলবার (১৬ মে) হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রাজউক চেয়ারম্যানকে তলব করেন। তাকে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। তলবের আদেশটি বিশেষ বার্তার মাধ্যমে রাজউক চেয়ারম্যানকে পাঠাতে বলা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৮ মে) আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন রাজউক চেয়ারম্যান।

আইনজীবী ব্যারিস্টার নুরুল আজিম বলেন, ২০০৪ সালে ফরিদা বেগম নামের এক ব্যক্তি রাজউক থেকে নিকুঞ্জ এলাকায় প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। পরে তিনি (ফরিদা বেগম) তার নামে নেওয়া নিকুঞ্জ আবাসিক মডেল টাউনের ফারুক স্মরণি রোডের প্লট নং ১৯ প্লটটি (২ কাঠা ৮ ছটাক জমি) অপর একজনের নামে (খালেদ মাহমুদকে) হস্তান্তর (বিক্রি) করেন। এরপর খালেদ মাহমুদ সব নিয়ম মেনে রাজউকের সমুদয় পাওনা অর্থ পরিশোধ করেন। ওই সময় রাজউক একটি চিঠি দিয়ে ১১ জনের প্লট বরাদ্দ বাতিল করেন। বাতিল করা ওই ১১ প্লটের মধ্যে খালেদ মাহমুদের প্লটটি ছিল। এরপর রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে হাইকোর্টে রিট করেন খালিদ মাহমুদ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ৩০ মার্চ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ওই প্লট বরাদ্দ বাতিলের বিষয়ে রাজউকের দেওয়া চিঠির সিদ্ধান্ত ও কার্যকারিতা স্থগিত করেন। সাথে রুলও জারি করেন আদালত।

ওই রুলের শুনানিতে ২০২২ সালে ১২ ডিসেম্বর রাজউক চেয়ারম্যানকে প্লট বরাদ্দ বাতিল সংক্রান্ত চিঠির নথির বিষয়ে প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের ওই আদেশ প্রতিপালন না করায় রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে আবারও হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রাজউক চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন।