মহাসড়কে আবারও ঝরল ৮টি প্রাণ। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে একটি বিআরটিসির বাস ও দুটি সিএনজি অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের পর বিআরটিসি বাস ও একটি সিএনজি অটোরিকশা মহাসড়কের পাশে গভীর খাদে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এতে মা-মেয়ে ও একই পরিবারের ৩ জনসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৫ টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ফুলতলী বাজারের শাহ মুশকিল আহসান (র.) মাজারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় এক ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল।
নিহতরা হলেন -উপজেলার মুরাউড়া গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী সবিরুন (৩৫), তাদের শিশু কন্যা মারিয়া (২), আবু তাহেরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ছালিমা আক্তার (২৫), অন্তর মিয়া (১৮), সিএনজি চালক উপজেলার লতিফপুর গ্রামের কিতাব আলী (২২), সাতাইহাল গ্রামের লিজা আক্তার (১৭), সাতাইহাল গ্রামের ছুরত আলীর পুত্র লিটন মিয়া (৩০) ও অজ্ঞাত পুরুষ (২৮)।
জানা যায়, কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী বিআরটিসি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ঢাকা পরিবহনের বাসের সঙ্গে আউশকান্দি হতে পানিউমদাগামী যাত্রীবাহী দুটি সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
আরও পড়ুন : ডাক্তার দেখাতে গিয়ে একই পরিবারের ৬জন নিহত
একটি অটোরিকশাসহ বাসটি মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাসের যাত্রীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা, শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ, নবীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ স্থানীয় জনসাধারণ উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা শিমুল মোহাম্মদ পলাশ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী। তবে লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে বলে আশঙ্কা করছি।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান আটজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।