নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন শেষ করে হঠাৎ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওবায়দুল কাদের। সংবাদ সম্মেলন শেষে দলের দফতর সম্পাদকের কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এতে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
ধানমন্ডি কার্যালয় সূত্র জানায়, দফতর সম্পাদকের কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সেখানে যান সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে বৈঠকে যোগ দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি।
সূত্র মতে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নানা দিক ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধা, আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন দেওয়া, শিক্ষকদের আন্দোলনও একই সময় হওয়া, পরিস্থিতির পর্যালোচনা এবং ইস্যুটি কোন দিকে যেতে পারে— এসব বিষয় আলোচনায় উঠেছে। তবে এ নিয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়া কেউ কোনও কথা বলেননি। বৈঠক শেষে একে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বেরিয়ে গেলেও কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু জানাননি।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যে বিষয়গুলো আলোচনা করেছি, আসলে সেগুলো এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় না।
কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করবো না। সেটা আদালতের বিষয়। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করবো না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করবো না।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকেদের তিনি বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। এটা রুটিন একটা বিষয়।
কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচলা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন, এই বসাটা নিয়মিত। একটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।