Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হকির ওস্তাদ ফজলু মারা গেছেন

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২২৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পুরো নাম ফজলুল ইসলাম। তবে হকি আঙিনায় তিনি ‘ওস্তাদ ফজলু’ নামেই পরিচিত। তৃণমূলের কোচ হিসেবে তার বেশ খ্যাতি আছে। যার হাত ধরে রাসেল মাহমুদ জিমিসহ অনেকেই হকিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন। জিমিদের সেই ওস্তাদ আর নেই।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মারা গেছেন তিনি।

ওস্তাদ ফজলুর মৃত্যু নিয়ে কোচ আজিজুল্লাহ হায়দার জামাল বলেন, মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার আগে আরমানিটোলা সরকারী স্কুল মাঠ থেকে তাকে বাসায় দিয়ে এসেছিলাম। মনে হচ্ছিল, কী নিয়ে যেন দুশ্চিন্তা করছিলেন। আমি বারবার জানতে চেয়েছিলাম কী হয়েছে। বলেনি। ছোট থেকে আমরা এক সাথে বড় হয়েছি, এক সাথে খেলেছি। আজ সে চলে গেলো।

বাংলাদেশের হকির পাইপলাইন ছিল বিকেএসপি ও পুরান ঢাকা। এই দুই জায়গা থেকেই মূলত হকি খেলোয়াড় উঠে আসত। পুরান ঢাকায় বছরের পর বছর হকি নিয়ে কাজ করেছেন ফজুল । অসংখ্য খেলোয়াড় তার হাতে তৈরি যারা এখন ও বিগত সময়ে জাতীয় দলে খেলেছেন।

হকির অন্যতম সুতিকাগার আরমানিটোলা স্কুল। সেই স্কুলের মাঠে প্রায় প্রতিদিনই তিনি হকি খেলা শেখাতেন। আরমানিটোলা স্কুল ছাড়াও পুরান ঢাকার অনেক শিশু-কিশোরই ফজলুর হাতে হকি খেলা শিখেছেন। ফজলুর চলে যাওয়া হকির বড় শূন্যতা। এই অভাব অপূরণীয় মনে করছেন সাবেক জাতীয় তারকা খেলোয়াড় রফিকুল ইসলাম কামাল, ‘ফজলু ওস্তাদ নিঃস্বার্থভাবে হকি শেখাতেন। তার মতো আর কেউ নেই আর হবেও না। পুরান ঢাকার অনেকেই তার কাছ থেকে শিখে বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছে। আবার কেউ লিগে খেলে জাতীয় দলে এসেছে।’

সাধারণ বীমা, ওয়ান্ডারার্সে খেলেছেন ফজলু। খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়ে এসেই পরিচিতি পেয়েছেন। জাতীয় দল বা জুনিয়র দলের কোচের দায়িত্ব না পেলেও কোনো আফসোস ছিল না তার।

খুবই সাদাসিধে জীবনযাপন ছিল ফজলুর। হকি খেলা শিখিয়ে যৎসামান্য আয় হতো তার। এতেই চলতেন। আর্থিক অনটনের চিন্তা-ভাবনা ছিল প্রতিনিয়ত। কয়েক বছর আগে ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন। কয়েক দিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে আবার হকি শেখানোর কাজ শুরু করেন। স্বাভাবিক জীবনযাপনের মধ্যেই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ফজলু। তৃণমূলে কাজের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন হকির এই নিবেদিত প্রাণ।

দেশের হকি সব সময় সংকটের মধ্যেই থাকে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও বিরাজ করছে সংকট। এর মধ্যে ফজলুর চলে যাওয়া আরো বড় সংকট। ফজলুর প্রয়াণে হকি অঙ্গন কাঁদছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

হকির ওস্তাদ ফজলু মারা গেছেন

প্রকাশের সময় : ০১:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পুরো নাম ফজলুল ইসলাম। তবে হকি আঙিনায় তিনি ‘ওস্তাদ ফজলু’ নামেই পরিচিত। তৃণমূলের কোচ হিসেবে তার বেশ খ্যাতি আছে। যার হাত ধরে রাসেল মাহমুদ জিমিসহ অনেকেই হকিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন। জিমিদের সেই ওস্তাদ আর নেই।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মারা গেছেন তিনি।

ওস্তাদ ফজলুর মৃত্যু নিয়ে কোচ আজিজুল্লাহ হায়দার জামাল বলেন, মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার আগে আরমানিটোলা সরকারী স্কুল মাঠ থেকে তাকে বাসায় দিয়ে এসেছিলাম। মনে হচ্ছিল, কী নিয়ে যেন দুশ্চিন্তা করছিলেন। আমি বারবার জানতে চেয়েছিলাম কী হয়েছে। বলেনি। ছোট থেকে আমরা এক সাথে বড় হয়েছি, এক সাথে খেলেছি। আজ সে চলে গেলো।

বাংলাদেশের হকির পাইপলাইন ছিল বিকেএসপি ও পুরান ঢাকা। এই দুই জায়গা থেকেই মূলত হকি খেলোয়াড় উঠে আসত। পুরান ঢাকায় বছরের পর বছর হকি নিয়ে কাজ করেছেন ফজুল । অসংখ্য খেলোয়াড় তার হাতে তৈরি যারা এখন ও বিগত সময়ে জাতীয় দলে খেলেছেন।

হকির অন্যতম সুতিকাগার আরমানিটোলা স্কুল। সেই স্কুলের মাঠে প্রায় প্রতিদিনই তিনি হকি খেলা শেখাতেন। আরমানিটোলা স্কুল ছাড়াও পুরান ঢাকার অনেক শিশু-কিশোরই ফজলুর হাতে হকি খেলা শিখেছেন। ফজলুর চলে যাওয়া হকির বড় শূন্যতা। এই অভাব অপূরণীয় মনে করছেন সাবেক জাতীয় তারকা খেলোয়াড় রফিকুল ইসলাম কামাল, ‘ফজলু ওস্তাদ নিঃস্বার্থভাবে হকি শেখাতেন। তার মতো আর কেউ নেই আর হবেও না। পুরান ঢাকার অনেকেই তার কাছ থেকে শিখে বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছে। আবার কেউ লিগে খেলে জাতীয় দলে এসেছে।’

সাধারণ বীমা, ওয়ান্ডারার্সে খেলেছেন ফজলু। খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়ে এসেই পরিচিতি পেয়েছেন। জাতীয় দল বা জুনিয়র দলের কোচের দায়িত্ব না পেলেও কোনো আফসোস ছিল না তার।

খুবই সাদাসিধে জীবনযাপন ছিল ফজলুর। হকি খেলা শিখিয়ে যৎসামান্য আয় হতো তার। এতেই চলতেন। আর্থিক অনটনের চিন্তা-ভাবনা ছিল প্রতিনিয়ত। কয়েক বছর আগে ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন। কয়েক দিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে আবার হকি শেখানোর কাজ শুরু করেন। স্বাভাবিক জীবনযাপনের মধ্যেই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ফজলু। তৃণমূলে কাজের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন হকির এই নিবেদিত প্রাণ।

দেশের হকি সব সময় সংকটের মধ্যেই থাকে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও বিরাজ করছে সংকট। এর মধ্যে ফজলুর চলে যাওয়া আরো বড় সংকট। ফজলুর প্রয়াণে হকি অঙ্গন কাঁদছে।