নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্যাংশন নয়, প্রধানমন্ত্রীর মাথা ব্যথা নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (৪ জুন) দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতী দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শনিবার (৩ জুন) বলেছেন স্যাংশনের বিষয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নাই। উনার (প্রধানমন্ত্রীর) মাথাব্যথা শুধু নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললে ওনার মাথাব্যথা বেড়ে যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রিজভী আরো বলেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী এই দেশটাকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেন, তাহলে আপনার ছেলে-মেয়েকে দেশে রাখেন না কেন? আপনার ছেলে মেয়ে বিদেশে থাকে কেন? অনেক দেশই আপনার বন্ধু, সেসব দেশে আপনার ছেলেকে না রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাখলেন কেন?
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে শত্রু মনে করেন বলেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেন না বলেও দাবি করেন রিজভী। বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে দেন না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে। আর জনগণ তাকে ভোট দেবে না, এটা তিনি জানেন বলেই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আসতে দেন না।
রিজভী বলেন, আমাদের চলাচল, আমাদের কথা বলা, কোনোটারই স্বাধীনতা নেই। এক দানবীয় শক্তি, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে অদৃশ্য করে দিয়েছে। এদের পরাজিত করতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশে যে দুঃশাসন চলছে আর এই দুঃশাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কথাবার্তা বলছে এটা তিনি শেখ হাসিনা তোয়াক্কা করেন না। এটা যদি তিনি তোয়াক্কা করতেন তাহলে দেশে সুশাসন দিতে হতো। সুষ্ঠু ভোট দিতে হতো।
রিজভী বলেন, অবৈধ সরকার অবৈধ বাজেট দিয়েছে। সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। তবে শিশুসহ ভিক্ষুক রিকশাওয়ালাদের রক্ত চুষে নিতে বাজেটে কর ধার্য্য করা হয়েছে। কারণ চিকিৎসাসহ সরকারি সেবা নিতেই টিন লাগবে। ভিক্ষুক হলেও তাকে ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, ওলামা দলের নেতা শাহ মো: মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।