Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীরা অবদান রাখতে পারে : শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একজন শিক্ষার্থী অবদান রাখতে পারবে।

শনিবার (১৭ জুন) চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে জেলার নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ-আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশ এগিয়ে গেছে। আগামীদিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। এ পথে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এখন গ্রামে বসেও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মিলছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। তবে এ দেশ গড়তে শিক্ষকরা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষকদের প্রচেষ্টার ফলে একটি শিক্ষার্থী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখতে পারবে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের বিকল্প নেই। তাই সামনের দিনে প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর ও আমাদের প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি স্তম্ভের মূল হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট নাগরিক না হলে স্মার্ট অর্থনীতি হবে না, স্মার্ট সরকার হবে না, স্মার্ট সমাজ হবে না। আর সেই স্মার্ট নাগরিক তৈরি করবেন শিক্ষকরা। যারা মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল হাতিয়ার।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের আগে ভয়াবহ লোডশেডিং ছিল। বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকতো না। ওই সময় মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ আসতো। অল্প কিছু বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল। এখন শতভাগ বাড়িতে বিদ্যুৎ আছে। চর অঞ্চলে সাব মেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। যার ফলে শিল্প কারখানা,  বিনিয়োগ, মানুষের কর্মসংস্থান, দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হয়েছে।

শিক্ষকরা স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের বিকল্প নেই। তাই সামনের দিনে প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর ও প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি-আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফলস্বরূপ দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে আমাদের। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল নাছেরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ দাস, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান ও জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীরা অবদান রাখতে পারে : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৯:০৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একজন শিক্ষার্থী অবদান রাখতে পারবে।

শনিবার (১৭ জুন) চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে জেলার নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ-আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশ এগিয়ে গেছে। আগামীদিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। এ পথে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এখন গ্রামে বসেও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মিলছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। তবে এ দেশ গড়তে শিক্ষকরা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষকদের প্রচেষ্টার ফলে একটি শিক্ষার্থী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখতে পারবে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের বিকল্প নেই। তাই সামনের দিনে প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর ও আমাদের প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি স্তম্ভের মূল হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট নাগরিক না হলে স্মার্ট অর্থনীতি হবে না, স্মার্ট সরকার হবে না, স্মার্ট সমাজ হবে না। আর সেই স্মার্ট নাগরিক তৈরি করবেন শিক্ষকরা। যারা মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল হাতিয়ার।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের আগে ভয়াবহ লোডশেডিং ছিল। বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকতো না। ওই সময় মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ আসতো। অল্প কিছু বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল। এখন শতভাগ বাড়িতে বিদ্যুৎ আছে। চর অঞ্চলে সাব মেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। যার ফলে শিল্প কারখানা,  বিনিয়োগ, মানুষের কর্মসংস্থান, দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হয়েছে।

শিক্ষকরা স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের বিকল্প নেই। তাই সামনের দিনে প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর ও প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি-আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফলস্বরূপ দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে আমাদের। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল নাছেরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ দাস, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান ও জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ।