নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা নির্বাচন বানচাল করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের নেতাদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অর্থবহ নির্বাচনের জন্য সরকারের কার্যক্রমকে সফল করতে হবে। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি প্রান্তে নির্বাচনের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
এ সময় বিগত ১৫ বছরে পাঠ্যপুস্তককেও দলীয়করণ করার চেষ্টা করা হয়েছিলো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের প্রতিটি প্রান্তে নির্বাচনের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, অর্থবহ নির্বাচনের জন্য সরকারের কার্যক্রমকে সফল করতে হবে।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, প্রকাশনা সংস্থাটিকে স্বৈরাচারী সরকার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। কোনো বই ছাপাতে হলে কলকাতা পাঠিয়ে দিতো তার বন্ধুর দেশে। সত্যিকার ঘটনাগুলো প্রকাশের সাহস এই প্রকাশনা পরিষদের ছিল না। পাঠ্যপুস্তককেও তারা (আ. লীগ) স্বৈরাচারী কায়দায় দলীকরণের যে হীন প্রচেষ্টা করেছিল তার প্রকাশ গত ১৬ বছরে আপনারা (জনগণ) দেখেছেন।
জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতের মতো সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ যেনো নিজেরাই নিজেদের প্রকাশনা না করে দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে কথা বলেন এবং লিখেন। তাহলে আপনারা অতীতে ১৬ বছর স্বৈরাচারী কায়দায় আপনাদের প্রকাশনা পরিষদকে যেভাবে দমিয়ে রাখা হয়েছে, সামনে সেটা হবে না। আপনাদের মধ্যেও গণতন্ত্র থাকতে হবে, গণতান্ত্রিক চর্চা করতে হবে, আপনাদেরই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সত্যিকার কথাগুলো লিখতে হবে।
সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফ্রেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে। আমরা আশা করব, আপনাদের (জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ) নবনির্বাচিত কমিটি লেখার মাধ্যমে সব পর্যায়ের জনগণের কাছে জানিয়ে দেবেন, স্বৈরাচার পালিয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো নির্বাচনকে ব্যাহত করার একটি হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য আগামীতে ঘোষিত যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন যেনো শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু হয় এবং আমার ভোট আমি দেব- এই পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারি, সে জন্য সরকারকে সব প্রকাশককে সহযোগিতা করতে হবে।
সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ফারুক বলেন, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে দোয়া ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করার জন্য এখানে এসেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত কমিটির সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের মুক্তচিন্তাকে গলা টিপে হত্যা করেছে ফ্যাসিবাদী সরকার, পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে, বাংলাদেশের বই কলকাতা থেকে চেপে এনে এই শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে, এ ধ্বংস হয়ে যাওয়া প্রকাশনা সেক্টরকে পূর্ণ জাগরণ ঘটাতে হবে এ দায়িত্ব জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশকদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা যে অবদান রেখেছে সেগুলো লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরাই হবে এই সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের কাজ আমি এই সৃজনশীল পরিষদের সফলতা কামনা করছি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী এই লড়াইকে লেখনীর মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এই দায়িত্ব জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশকদের ও লেখকদের।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, একুশে পদপ্রাপ্ত ছড়াকার আবু সালেহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর, সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল, সহসভাপতি মো. মনিরুল হক, সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দীপ্তি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হা. ন.ম শরীফুল হক শাহ্জী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.আমিনুর রহমান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক 























