Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বৈরতন্ত্রের পতন তখনই সার্থক হবে, যখন গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্পন্ন হবে : দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন কবে হবে এ বিষয়টি ধোঁয়াশার মধ্যেই থেকে যাচ্ছে। কারণ স্বৈরতন্ত্রের পতন তখনই সার্থক হবে, যখন গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্পন্ন হবে। যদি গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্ভব না হয়, তাহলে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যাবে।

বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরম খাঁ হলে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা যেকোনো কারণে গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য যে নির্বাচন- সেই নির্বাচনকে বাঁধা দিচ্ছেন, তারা পক্ষান্তরে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষ নিচ্ছেন।

সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে উল্লেখ করে দুদু বলেন, বিএনপি প্রায় ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। যারা আজকে স্বৈরতন্ত্রের পতনে বিএনপির ভূমিকাকে খাটো করে দেখছেন, তাদের বলব, বিএনপি যখন আন্দোলন শুরু করেছিল, যাদের বয়স এখন ২৬ থেকে ২৮ এর মধ্যে, তারা তখন শিশু ছিল। হিসাব করলে দেখা যাবে, তাদের ভাতও মায়েরা খাইয়ে দিতেন। কিন্তু তারা যখন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে অস্বীকার করছেন, তখন বুঝতেই হবে, এরা অহংকারী হয়ে পড়েছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদেরকে একজন করে প্রতিনিধি রেখেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা ছেলে প্রতিনিধি হিসাবে পুলিশ নিয়ে গুলশানের একটি বাড়ি থেকে ৫০ লাখের ১০ লাখ টাকা নিয়ে এসেছে। যখন আরও ৪০ লাখ টাকা আনতে গেছিলো তখন সে ধরা পরে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে, পুলিশকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে, এটা তো আপনি জানেন। এই যে আপনি ছাত্রদেরকে আপনার মুরুব্বি বানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ বানিয়েছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা আপনি ধ্বংস করে ফেলেছেন, এর একটু দায় আপনারও নেওয়া উচিত।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) সমালোচনা করি, আপনি যাতে একটি ভালো নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উত্তরণের সহায়তা করেন। না হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এখনও পর্যন্ত আপনার পথ খোলা আছে। আপনি ভালো নির্বাচন দেবেন, এটা জাতি প্রত্যাশা করে, আমরাও প্রত্যাশা করি।

চাঁদাবাজদের উদ্দেশ্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, যারা চাঁদাবাজি করছেন, দল গঠন করছেন এবং বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছেন, তাদের আমি বলব, এই সময় সময় না, আরও সময় আছে। আপনাদের পরিণতি কি হবে সেটা যদি না ভাবেন, তাহলে ভুল হয়ে যাবে। এটা একবার মাথার মধ্যে নেন। এখন আপনাদেরকে ব্যবহার করে যারা উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য এবং ক্ষমতা ব্যবহার করছেন, তারা কিন্তু আপনাদেরকে সেই সময়ে সহায়তা করবে না, এটাই বাস্তব।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুক্তার আকন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সার লিংকন, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরসহ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

স্বৈরতন্ত্রের পতন তখনই সার্থক হবে, যখন গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্পন্ন হবে : দুদু

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন কবে হবে এ বিষয়টি ধোঁয়াশার মধ্যেই থেকে যাচ্ছে। কারণ স্বৈরতন্ত্রের পতন তখনই সার্থক হবে, যখন গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্পন্ন হবে। যদি গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্ভব না হয়, তাহলে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যাবে।

বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরম খাঁ হলে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা যেকোনো কারণে গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য যে নির্বাচন- সেই নির্বাচনকে বাঁধা দিচ্ছেন, তারা পক্ষান্তরে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষ নিচ্ছেন।

সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে উল্লেখ করে দুদু বলেন, বিএনপি প্রায় ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। যারা আজকে স্বৈরতন্ত্রের পতনে বিএনপির ভূমিকাকে খাটো করে দেখছেন, তাদের বলব, বিএনপি যখন আন্দোলন শুরু করেছিল, যাদের বয়স এখন ২৬ থেকে ২৮ এর মধ্যে, তারা তখন শিশু ছিল। হিসাব করলে দেখা যাবে, তাদের ভাতও মায়েরা খাইয়ে দিতেন। কিন্তু তারা যখন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে অস্বীকার করছেন, তখন বুঝতেই হবে, এরা অহংকারী হয়ে পড়েছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদেরকে একজন করে প্রতিনিধি রেখেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা ছেলে প্রতিনিধি হিসাবে পুলিশ নিয়ে গুলশানের একটি বাড়ি থেকে ৫০ লাখের ১০ লাখ টাকা নিয়ে এসেছে। যখন আরও ৪০ লাখ টাকা আনতে গেছিলো তখন সে ধরা পরে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে, পুলিশকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে, এটা তো আপনি জানেন। এই যে আপনি ছাত্রদেরকে আপনার মুরুব্বি বানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ বানিয়েছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা আপনি ধ্বংস করে ফেলেছেন, এর একটু দায় আপনারও নেওয়া উচিত।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) সমালোচনা করি, আপনি যাতে একটি ভালো নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উত্তরণের সহায়তা করেন। না হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এখনও পর্যন্ত আপনার পথ খোলা আছে। আপনি ভালো নির্বাচন দেবেন, এটা জাতি প্রত্যাশা করে, আমরাও প্রত্যাশা করি।

চাঁদাবাজদের উদ্দেশ্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, যারা চাঁদাবাজি করছেন, দল গঠন করছেন এবং বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছেন, তাদের আমি বলব, এই সময় সময় না, আরও সময় আছে। আপনাদের পরিণতি কি হবে সেটা যদি না ভাবেন, তাহলে ভুল হয়ে যাবে। এটা একবার মাথার মধ্যে নেন। এখন আপনাদেরকে ব্যবহার করে যারা উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য এবং ক্ষমতা ব্যবহার করছেন, তারা কিন্তু আপনাদেরকে সেই সময়ে সহায়তা করবে না, এটাই বাস্তব।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুক্তার আকন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সার লিংকন, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরসহ প্রমুখ।