নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে অনিয়ম নিয়ে কোনো ছাড় নয়। সারা জীবন অন্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনও আছি। স্বাস্থ্য খাতে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, অবহেলা সহ্য করা হবে না।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদীতে অবস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাসাধক শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম পরিদর্শন ও পূজা অর্চনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালে বার্ন ইউনিট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। চিকিৎসকদের বার্ন চিকিৎসা সম্পর্কে ট্রেনিং দেওয়া হবে। সারাদেশের প্রতিটি জেলায় বার্ন ইউনিট কেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ বা বিশ্ব থেকে এখনো করোনা শেষ হয়ে যায়নি। যারা অসুস্থ রোগী, বৃদ্ধ তারা জনসমাগম এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত মাস্ক পরিধান করবেন।
প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করাই প্রধান লক্ষ্য। প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে পারলে শহরে রোগীর চাপ কমে আসবে। বাংলাদেশের অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। সেখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবস্থা দেখেছি।’
সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশের অনেক ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই, অনুমতি নেই, ক্লিনিকের মতো অবকাঠামো নেই; সেগুলোকে বন্ধ করতে হবে। এসব এক দিনে আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি কিন্তু পাঁচ বেড থেকে ৫০০ বেডে উন্নত করেছি। আমার ওপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে আস্থা সেটা যেন রক্ষা করতে পারি।
তিনি বলেন, ডাক্তারের অবহেলায় কোনো রোগীর মৃত্যু হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রোগীর স্বজনদেরও মাথায় রাখতে হবে- কোনো মৃত্যু হলে হাসপাতাল এসে ভাঙচুর করা সেটিও কাম্য নয়। কী কারণে রোগীর মৃত্যু হলো সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের যে কোনও ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি কোনও চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রোগীর স্বজনদের সচেতন হতে হবে, তারা যেন কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না করেন।
শীতের সময় বার্ন রোগীর সংখ্যা বাড়তি থাকে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালগুলোকে সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
করোনা মহামারির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবার মান বৃদ্ধি পেলে শহরে রোগীর চাপ কমবে। আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। একদিনেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ থেকে এখনও প্রান্তিক পর্যায়ে করোনা যায়নি। যারা বয়স্ক আছেন তারা লোকসমাগম এড়িয়ে চলবেন এবং মাস্ক ব্যবহার করবেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামশুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।