Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু ৫ দিনের রিমান্ডে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৭৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বাস্থ্য খাতে ‘সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে’ জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে দুদকের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর তাকে দুদকে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে দুদক ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বরের জন্য রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে মিঠুর পক্ষে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ও বোরহান উদ্দিন জামিন ও রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। তবে দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এর বিরোধিতা করে রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে যুক্তি দেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুদকের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, মিঠু অসৎ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৭৫ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, মিঠুর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে মালামাল সরবরাহ ও উন্নয়ন কাজের নামে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগসহ দেশে-বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগও অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য তাকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিঠুর মালিকানাধীন লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইস ও টেকনোক্রেট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি কৃষিজমি, প্লট, ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া শেয়ার, গাড়ি, ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ তার নামে পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

এছাড়া মিঠুর নামে পারিবারিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সম্পদ ও ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের হিসাব দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অন্যদিকে অনুসন্ধানে বৈধ উৎস পাওয়া গেছে ৭১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৭৫ কোটি ৮০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নুরকে দেখতে বাসায় গেলেন বিএনপি নেতা আমির খসরু

স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বাস্থ্য খাতে ‘সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে’ জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে দুদকের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর তাকে দুদকে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে দুদক ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বরের জন্য রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে মিঠুর পক্ষে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ও বোরহান উদ্দিন জামিন ও রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। তবে দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এর বিরোধিতা করে রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে যুক্তি দেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুদকের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, মিঠু অসৎ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৭৫ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, মিঠুর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে মালামাল সরবরাহ ও উন্নয়ন কাজের নামে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগসহ দেশে-বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগও অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য তাকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিঠুর মালিকানাধীন লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইস ও টেকনোক্রেট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি কৃষিজমি, প্লট, ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া শেয়ার, গাড়ি, ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ তার নামে পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

এছাড়া মিঠুর নামে পারিবারিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সম্পদ ও ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের হিসাব দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অন্যদিকে অনুসন্ধানে বৈধ উৎস পাওয়া গেছে ৭১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৭৫ কোটি ৮০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।