Dhaka শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে পালালেন স্ত্রী

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৮৭ জন দেখেছেন
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি  : 
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্বামীকে ঘুষের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখে পালিয়েছেন স্ত্রী। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ভুক্তভোগী।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার দক্ষিণ বিলডগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগির নাম হায়দার আলী খান। তিনি উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলডগা গ্রামের মৃত ইদ্রিস খানের ছেলে।
হায়দার আলীর চাচা হাতেম আলী খান বলেন, প্রতিবন্ধী হায়দার আলী রেলওয়ে চাকরি নিয়ে জয়দেবপুরে কর্মরত ছিলেন। এরআগে বেলুয়ার একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা ও মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়শিলার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। প্রথম স্ত্রী থাকা পরও হায়দার আলী আবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকতেন। উভয় সংসারে একটি করে ছেলে হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে একটি গরু কিনে বাড়িতে আসলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। রাতের কোনো এক সময় ঘুমানোর আগে প্রথম স্ত্রী তার স্বামীকে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। স্বামী অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাতের কোনো এক সময় গোপনাঙ্গের মাঝামাঝি অংশে ব্লেড দিয়ে কেটে দ্বিখণ্ডিত করে এবং সন্তান রেখে পালিয়ে যায়।
এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে পুরো ঘরে রক্ত ছিটিয়ে থাকতে দেখে তিনি চিৎকার শুরু করেন। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে তাকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এদিকে ঘটনার পর রাতেই প্রথম স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজি বলেন, গোপনাঙ্গ কাটা অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনে স্বজনরা। রক্তক্ষরণের কারণে রোগীর অবস্থা গুরুতর। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয়েছে। বিশেষ অঙ্গটি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ নিয়ে ওই ব্যক্তির পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ভুক্তভোগীর স্ত্রীর মা ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়েছে।
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশে যেন উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে : তারেক রহমান

স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে পালালেন স্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি  : 
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্বামীকে ঘুষের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখে পালিয়েছেন স্ত্রী। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ভুক্তভোগী।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার দক্ষিণ বিলডগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগির নাম হায়দার আলী খান। তিনি উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলডগা গ্রামের মৃত ইদ্রিস খানের ছেলে।
হায়দার আলীর চাচা হাতেম আলী খান বলেন, প্রতিবন্ধী হায়দার আলী রেলওয়ে চাকরি নিয়ে জয়দেবপুরে কর্মরত ছিলেন। এরআগে বেলুয়ার একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা ও মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়শিলার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। প্রথম স্ত্রী থাকা পরও হায়দার আলী আবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকতেন। উভয় সংসারে একটি করে ছেলে হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে একটি গরু কিনে বাড়িতে আসলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। রাতের কোনো এক সময় ঘুমানোর আগে প্রথম স্ত্রী তার স্বামীকে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। স্বামী অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাতের কোনো এক সময় গোপনাঙ্গের মাঝামাঝি অংশে ব্লেড দিয়ে কেটে দ্বিখণ্ডিত করে এবং সন্তান রেখে পালিয়ে যায়।
এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে পুরো ঘরে রক্ত ছিটিয়ে থাকতে দেখে তিনি চিৎকার শুরু করেন। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে তাকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এদিকে ঘটনার পর রাতেই প্রথম স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজি বলেন, গোপনাঙ্গ কাটা অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনে স্বজনরা। রক্তক্ষরণের কারণে রোগীর অবস্থা গুরুতর। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয়েছে। বিশেষ অঙ্গটি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ নিয়ে ওই ব্যক্তির পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ভুক্তভোগীর স্ত্রীর মা ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়েছে।