আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তার দেশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
বুধবার ( ৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে এ কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
বৃহস্পতিবার ( ১০ এপ্রিল) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফরাসি সম্প্রচারমাধ্যম ফ্রান্স ফাইভ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আসছে জুন মাসে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে ফ্রান্স। একই সময় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। কাউকে খুশি করতে আমরা এটি করছি না। আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ কোনও এক সময় এটিই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। এছাড়া, এই পদক্ষেপের কারণ ফিলিস্তিনের পক্ষে যারা আছেন তারাও হয়তো ইসরায়েলকে পাল্টা স্বীকৃতি দেবেন। আমি সেই সমষ্টিগত প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চাই।
ইতোমধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক সার্বভৌম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেনসহ অধিকাংশ প্রভাবশালী পশ্চিমাদেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হলো, জুন মাসের মধ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করা, যেখানে পারস্পরিক স্বীকৃতির পথে বিভিন্ন দেশের অগ্রগতি চূড়ান্ত করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, এর আগে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে প্রায় ১৫০টি দেশ ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে বেশিরভাগ পশ্চিমা শক্তি এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি। এছাড়া এশিয়ার মধ্যে রয়েছে জাপান।
অন্যদিকে, ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া দেশের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, সিরিয়া, ইরান, ইরাক এবং ইয়েমেন।
তবে, ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে আলাদা দুটি রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে মতামত দিয়ে আসছে। তবে, এবার যদি ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে এটি তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে এক বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।