নিজস্ব প্রতিবেদক :
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে দলীয় প্রধান হিসেবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর এটি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এর আগে, ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
এসময় তাদের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। সস্ত্রীক তিনি স্মৃতিসৌধে উপস্থিত থেকে প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এসময় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
প্রতি বছর ২৬ মার্চ ইতিহাসের সবচেয়ে করুণ স্মৃতি নিয়ে আসে ২৫ মার্চের কালরাত। ১৯৭১ সালের এ রাত থেকে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী অগ্নিপরীক্ষার সূচনা হয়েছিল। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমনপীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বরে তার বাসভবন থেকে তৎকালীন ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) ওয়ারলেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি অর্জন করে বাংলাদেশ। জন্ম লাভ করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।