Dhaka মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতাবিরোধীরা সাধারণ ক্ষমার সম্মান দিতে জানেনি : এ্যানি

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ছিল। স্বাধীনতার পর তারা যে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পেয়েছিল—কী কারণে, সাধারণ ক্ষমা হিসেবে। কিন্তু ওই সাধারণ ক্ষমাকে তারা সম্মান দিতে জানেনি, অবমূল্যায়ন করেছিল। কখনো সেই আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সাথে, কখনো আওয়ামীবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঝুমুর এলাকার বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে জনগণের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান যদি সেইদিন ঐতিহাসিক ঘোষণা না দিতেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের যদি নেতৃত্ব না দিতেন, রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে যদি যুদ্ধ না করতেন তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ আজকে পর্যন্ত হয়তোবা প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যেত। এই যে ঐতিহাসিক ঘোষণা, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, একজন সৈনিক তিনি সে সময়ে তরুণ বয়সে দেশের আপামর জনসাধারণের পক্ষে পাকহানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যে ঘোষণা দিয়েছেন, আজকে আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করছি।

এ্যানি বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতা এবং স্বার্বভৌমত্বকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তার শাহাদাত বরণের পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশের হাল ধরেছিলেন। পরপর তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। জিয়া ছিলেন জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ও খালেদা জিয়া ছিলেন জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের আগে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ছিল। সেদিন শুধু মুক্তিযোদ্ধা না, মুক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, দেশ স্বাধীন করার সংগ্রামে-লড়াইয়ে অবতরণ হয়েছিলেন, বাংলাদেশের শিক্ষক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বুদ্ধিজীবীদেরকে গণহত্যা করা হয়েছিল পাকহানাদার বাহিনীর নেতৃত্বে। ওই আলবদর রাজাকারদের সহযোগিতায় এ গণহত্যা হয়েছিল। যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর তারা (রাজাকার) রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পেয়েছিল সাধারণ ক্ষমা হিসেবে। কিন্তু ওই সাধারণ ক্ষমাকে তারা সম্মান দিতে জানেনি, অবমূল্যায়ন করেছিল। কখনো সেই আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সাথে ও কখনো আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশের জন্য যে লড়াই করা, দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তারা নিজেদেরকে সেভাবে দৃশ্যমান, বাস্তবে জনগণের সামনে, জনগণের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে তুলে ধরতে পারেননি। কখনো এগিয়ে আসেননি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহবায়ক হাছিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, সদর উপজলা (পূর্ব) বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন ও জেলা ওলামা দলের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ এমরানসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গুলশানে ফেলানী অ্যাভিনিউয়ের নামফলক উন্মোচন

স্বাধীনতাবিরোধীরা সাধারণ ক্ষমার সম্মান দিতে জানেনি : এ্যানি

প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ছিল। স্বাধীনতার পর তারা যে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পেয়েছিল—কী কারণে, সাধারণ ক্ষমা হিসেবে। কিন্তু ওই সাধারণ ক্ষমাকে তারা সম্মান দিতে জানেনি, অবমূল্যায়ন করেছিল। কখনো সেই আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সাথে, কখনো আওয়ামীবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঝুমুর এলাকার বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে জনগণের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান যদি সেইদিন ঐতিহাসিক ঘোষণা না দিতেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের যদি নেতৃত্ব না দিতেন, রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে যদি যুদ্ধ না করতেন তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ আজকে পর্যন্ত হয়তোবা প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যেত। এই যে ঐতিহাসিক ঘোষণা, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, একজন সৈনিক তিনি সে সময়ে তরুণ বয়সে দেশের আপামর জনসাধারণের পক্ষে পাকহানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যে ঘোষণা দিয়েছেন, আজকে আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করছি।

এ্যানি বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতা এবং স্বার্বভৌমত্বকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তার শাহাদাত বরণের পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশের হাল ধরেছিলেন। পরপর তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। জিয়া ছিলেন জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ও খালেদা জিয়া ছিলেন জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের আগে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ছিল। সেদিন শুধু মুক্তিযোদ্ধা না, মুক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, দেশ স্বাধীন করার সংগ্রামে-লড়াইয়ে অবতরণ হয়েছিলেন, বাংলাদেশের শিক্ষক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বুদ্ধিজীবীদেরকে গণহত্যা করা হয়েছিল পাকহানাদার বাহিনীর নেতৃত্বে। ওই আলবদর রাজাকারদের সহযোগিতায় এ গণহত্যা হয়েছিল। যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর তারা (রাজাকার) রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পেয়েছিল সাধারণ ক্ষমা হিসেবে। কিন্তু ওই সাধারণ ক্ষমাকে তারা সম্মান দিতে জানেনি, অবমূল্যায়ন করেছিল। কখনো সেই আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সাথে ও কখনো আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশের জন্য যে লড়াই করা, দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তারা নিজেদেরকে সেভাবে দৃশ্যমান, বাস্তবে জনগণের সামনে, জনগণের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে তুলে ধরতে পারেননি। কখনো এগিয়ে আসেননি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহবায়ক হাছিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, সদর উপজলা (পূর্ব) বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন ও জেলা ওলামা দলের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ এমরানসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।