Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বস্তির সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী, মুরগির দামও বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি রমজানের অন্যান্য সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে বাজার যতটা জমজমাট ছিল, এ সপ্তাহে তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। বাজারে ক্রেতা একদম নেই বললেই চলে। এ বছর রমজানের শুরু থেকেই লেবু, বেগুন ও শসার দাম বাড়তি ছিল। এই তিনটির তিন পণ্যের দাম ২০ রোজায় এসেও চড়া। এছাড়া ঈদের আগেই বেড়েছে মুরগির দাম।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আজকের বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজির মধ্যে রয়েছে শজিনা। যার প্রতি কেজির দাম ১৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছে, বাজারে একেবারে নতুন এই সবজি। কেবল উঠতে শুরু করেছে, যে কারণে সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি, সবমিলিয়ে এ সবজির দামই বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে। এছাড়া এখন মৌসুম না হওয়ায় বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকায়। এছাড়া নতুন করে বেড়েছে বেগুনের দাম। আগে ৮০ টাকা তে বিক্রি হলেও বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বেগুন। এগুলো ছাড়া অন্য সবধরনের সবজির দামই বাজারে কম যাচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, পেঁপে ৪০ টাকায়, শিম ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, গোল আলু ৩০ টাকা, ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০-৪০ টাকা, ক্ষীরা ৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ টাকায়।

প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকা, বেগুন প্রকারভেদে ৬০-৮০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, বুট ৯০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকায়। এছাড়াও আলু ২৩-২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, নতুন রসুন ১০০, রসুন আমদানি ২৪০ টাকা, আদা ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজকের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২১০-২২০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহেও ছিল দুইশো টাকার নিচে। তবে রোজার প্রথম দিনে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া আজকের বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহের বাজারেও ছিল ২৬০-২৭০ টাকা পর্যন্ত। আজকের বাজারে দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা পর্যন্ত, সাদা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকায়।

এদিকে আজকের বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও ৭৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিম ২১০ টাকা ও হাঁসের ডিম ২৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।

তবে আজকের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। ২০০ টাকার আশপাশেই বিক্রি হচ্ছে পাঙ্গাশ-তেলাপিয়া, সরপুঁটিসহ বেশ কয়েক জাতের মাছ। বাজারে প্রতি কেজি বড় আকৃতির রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত, তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত, সরপুঁটি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও কোরাল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চাষের কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা ও চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়। এ ছাড়া আজকের বাজারে প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি কৈ ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা ও দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ, জিরাশাইল সিদ্ধ, কাটারিভোগ আতপ ও সিদ্ধ- এ চার ধরনের চাল প্রতি ২৫ কেজির বস্তা চট্টগ্রামে চলতি সপ্তাহে বেড়েছে অন্তঃত ৫০ টাকা। তবে নিম্নমানের ও সাধারণ মানের চালের দাম বাড়েনি।

তথ্য অনুযায়ী, মধ্যবিত্তদের চাহিদা বেশি এমন চালের মধ্যে রজনী আতপ পাইজাম চালের দাম ছয় মাস আগে ছিল ৩ হাজার ৫০০ টাকা। ৫০ কেজির বস্তা সেই চালের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ১০০ টাকায়।

ছয় মাস ধরে প্রতি ১৫ দিন পর পর রজনী চালের দাম ৪০-৫০ টাকা করে বেড়েছে। ছয় মাস পর এখন ৫০ কেজি চালের বস্তায় ৫০০-৬০০ টাকা বেড়ে গেছে। এটা কি সাপ্লাই কম হওয়ার কারণে বাড়ছে, না কি মজুত করে রাখার কারণে বাড়ছে, আমরা জানি না। অবশ্য এটা দেশি চাল না, বিদেশ থেকে আমদানি করা চাল।

দাম বাড়ছে নাজিরশাইল, জিরাশাইল, কাটারিভোগ আতপ, কাটারিভোগ সিদ্ধ- এই চার-পাঁচ আইটেমের। নিম্নমানের সাধারণ চাল যেগুলো সেগুলোর দাম বাড়ছে না। ইন্ডিয়া থেকে যে চালগুলো এসেছে, সেগুলোর দাম একটু কম আছে। দেশি চালের দাম বেশি বেড়েছে।

বাজারে ২৫ কেজির বস্তা নাজিরশাইল সিদ্ধ (মজুমদার ব্র্যান্ড) ২ হাজার ২০০ টাকা, ভারতীয় নাজিরশাইল (হোয়াইট গোল্ড) ২ হাজার ৫০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ ৫০ কেজির বস্তা ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ২৫০ টাকা, ২৫ কেজির বস্তা কাটারিভোগ আতপ ২ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা এবং সাধারণ মানের পাইজাম আতপ ১ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কাটারিভোগ সিদ্ধ ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়।

তবে গরম মশলার মধ্যে অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, গোলমরিচ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, চিকন জিরা ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা থেকে ৬৮০ টাকায় আমরা বিক্রি করছি। এগুলোর দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র এলাচের দাম বাড়তি।

বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা, সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। দাম স্থিতিশীল আছে।

বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না রসুন প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা এবং চায়না আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য মুদিপণ্যের মধ্যে ছোট মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১২০ টাকা, মাষকলাইয়ের ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না : গয়েশ্বর

স্বস্তির সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী, মুরগির দামও বেড়েছে

প্রকাশের সময় : ০২:১৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি রমজানের অন্যান্য সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে বাজার যতটা জমজমাট ছিল, এ সপ্তাহে তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। বাজারে ক্রেতা একদম নেই বললেই চলে। এ বছর রমজানের শুরু থেকেই লেবু, বেগুন ও শসার দাম বাড়তি ছিল। এই তিনটির তিন পণ্যের দাম ২০ রোজায় এসেও চড়া। এছাড়া ঈদের আগেই বেড়েছে মুরগির দাম।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আজকের বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজির মধ্যে রয়েছে শজিনা। যার প্রতি কেজির দাম ১৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছে, বাজারে একেবারে নতুন এই সবজি। কেবল উঠতে শুরু করেছে, যে কারণে সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি, সবমিলিয়ে এ সবজির দামই বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে। এছাড়া এখন মৌসুম না হওয়ায় বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকায়। এছাড়া নতুন করে বেড়েছে বেগুনের দাম। আগে ৮০ টাকা তে বিক্রি হলেও বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বেগুন। এগুলো ছাড়া অন্য সবধরনের সবজির দামই বাজারে কম যাচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, পেঁপে ৪০ টাকায়, শিম ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, গোল আলু ৩০ টাকা, ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০-৪০ টাকা, ক্ষীরা ৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ টাকায়।

প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকা, বেগুন প্রকারভেদে ৬০-৮০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, বুট ৯০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকায়। এছাড়াও আলু ২৩-২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, নতুন রসুন ১০০, রসুন আমদানি ২৪০ টাকা, আদা ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজকের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২১০-২২০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহেও ছিল দুইশো টাকার নিচে। তবে রোজার প্রথম দিনে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া আজকের বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহের বাজারেও ছিল ২৬০-২৭০ টাকা পর্যন্ত। আজকের বাজারে দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা পর্যন্ত, সাদা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকায়।

এদিকে আজকের বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও ৭৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিম ২১০ টাকা ও হাঁসের ডিম ২৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।

তবে আজকের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। ২০০ টাকার আশপাশেই বিক্রি হচ্ছে পাঙ্গাশ-তেলাপিয়া, সরপুঁটিসহ বেশ কয়েক জাতের মাছ। বাজারে প্রতি কেজি বড় আকৃতির রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত, তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত, সরপুঁটি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও কোরাল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চাষের কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা ও চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়। এ ছাড়া আজকের বাজারে প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি কৈ ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা ও দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ, জিরাশাইল সিদ্ধ, কাটারিভোগ আতপ ও সিদ্ধ- এ চার ধরনের চাল প্রতি ২৫ কেজির বস্তা চট্টগ্রামে চলতি সপ্তাহে বেড়েছে অন্তঃত ৫০ টাকা। তবে নিম্নমানের ও সাধারণ মানের চালের দাম বাড়েনি।

তথ্য অনুযায়ী, মধ্যবিত্তদের চাহিদা বেশি এমন চালের মধ্যে রজনী আতপ পাইজাম চালের দাম ছয় মাস আগে ছিল ৩ হাজার ৫০০ টাকা। ৫০ কেজির বস্তা সেই চালের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ১০০ টাকায়।

ছয় মাস ধরে প্রতি ১৫ দিন পর পর রজনী চালের দাম ৪০-৫০ টাকা করে বেড়েছে। ছয় মাস পর এখন ৫০ কেজি চালের বস্তায় ৫০০-৬০০ টাকা বেড়ে গেছে। এটা কি সাপ্লাই কম হওয়ার কারণে বাড়ছে, না কি মজুত করে রাখার কারণে বাড়ছে, আমরা জানি না। অবশ্য এটা দেশি চাল না, বিদেশ থেকে আমদানি করা চাল।

দাম বাড়ছে নাজিরশাইল, জিরাশাইল, কাটারিভোগ আতপ, কাটারিভোগ সিদ্ধ- এই চার-পাঁচ আইটেমের। নিম্নমানের সাধারণ চাল যেগুলো সেগুলোর দাম বাড়ছে না। ইন্ডিয়া থেকে যে চালগুলো এসেছে, সেগুলোর দাম একটু কম আছে। দেশি চালের দাম বেশি বেড়েছে।

বাজারে ২৫ কেজির বস্তা নাজিরশাইল সিদ্ধ (মজুমদার ব্র্যান্ড) ২ হাজার ২০০ টাকা, ভারতীয় নাজিরশাইল (হোয়াইট গোল্ড) ২ হাজার ৫০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ ৫০ কেজির বস্তা ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ২৫০ টাকা, ২৫ কেজির বস্তা কাটারিভোগ আতপ ২ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা এবং সাধারণ মানের পাইজাম আতপ ১ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কাটারিভোগ সিদ্ধ ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়।

তবে গরম মশলার মধ্যে অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, গোলমরিচ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, চিকন জিরা ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা থেকে ৬৮০ টাকায় আমরা বিক্রি করছি। এগুলোর দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র এলাচের দাম বাড়তি।

বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা, সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। দাম স্থিতিশীল আছে।

বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না রসুন প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা এবং চায়না আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য মুদিপণ্যের মধ্যে ছোট মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১২০ টাকা, মাষকলাইয়ের ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।