ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি :
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যে কেউ নির্বাচনে আসতে পারে। তবে তাকে আচরণবিধি শতভাগ মেনে চলতে হবে। না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রোপার অ্যাকশন নেবে। এটা আইন ও বিধির বিষয়। যাচাই-বাছাইয়ের সময় তার কাগজপত্রে বলবে সে যোগ্য নাকি অযোগ্য প্রার্থী।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ঝিনাইদহে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ৫ জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে কমিশনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোনো সংসদ সদস্য বা জনপ্রতিনিধিরা যদি প্রভাব বিস্তার করে তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। যে কারণে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কমিশন বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে তা এড়ানো যায়। একই দলের একাধিক প্রার্থী থাকলেও যারা রাজনীতিবিদ আছে তারা তাদের দলকে নিয়ন্ত্রণ করবে, প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করবে এবং সহাবস্থানে থেকে প্রচার চালাবে। কারণ ভোট দেবে ভোটার, তাদের ইচ্ছামতো পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। সহাবস্থান থাকলে সহিংসতা ঘটবে না।
ইসি বলেন, দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে কি হবে না এটা একটা অপশন ছিল। কোনো রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীক দিতে পারে আবার স্বতন্ত্র হিসেবেও দাঁড়াতে পারে। তবে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বলছে তারা দলীয় প্রতীক দেবে না।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। এ সময় ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসানসহ অন্যান্য ৪ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি, বিজিবি কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।