Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জল্লাদ শাহজাহানের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রতারণার অভিযোগে স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা ও শাশুড়ি শাহিনূর বেগমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ৪৪ বছর জেল খেটে ৯ মাস আগে কারামুক্ত হওয়া জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া।

রোববার (৩১ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ. কে. এম. রকিবুল হাসানের আদালতে তিনি এ মামলা করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ২৭ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শাহজাহানের শ্বশুরবাড়ির স্বজন দীন ইসলাম, আজিদা বেগম, রাসেল ও বাবলু।

মামলা দায়ের শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে জল্লাদ শাহজাহান বলেন, বড় আশা করে সংসার পেতেছিলাম। কিন্তু স্ত্রী ও তার স্বজনরা যোগসাজশে বিয়ে করে আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। বিয়ের দেড় মাস পর আমার কাছ থেকে নেওয়া ১০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এর কয়েক দিন পর আদালতে গিয়ে সাথী উল্টো আমার নামে মিথ্যা অভিযোগে যৌতুকের মামলা করেছে। আমি আইনজীবীর পরামর্শে আমার স্ত্রীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আদালতে আমি ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করি।

জল্লাদ শাহজাহানের আইনজীবী মো. ওসমান গনি মামলা পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, ৩২ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্তি পান জল্লাদ শাহজাহান। ১৯৯১ সালে আটক হওয়ার আগে ও পরে শাহজাহানের নামে সর্বমোট ৩৬টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলা, একটি ডাকাতি মামলা এবং বাকি ৩৪টি হত্যা মামলা।

কারা সূত্রে জানা যায়, সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় কয়েদি থেকে জল্লাদ হন শাহজাহান।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জল্লাদ শাহজাহানের মামলা

প্রকাশের সময় : ০৯:১৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রতারণার অভিযোগে স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা ও শাশুড়ি শাহিনূর বেগমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ৪৪ বছর জেল খেটে ৯ মাস আগে কারামুক্ত হওয়া জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া।

রোববার (৩১ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ. কে. এম. রকিবুল হাসানের আদালতে তিনি এ মামলা করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ২৭ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শাহজাহানের শ্বশুরবাড়ির স্বজন দীন ইসলাম, আজিদা বেগম, রাসেল ও বাবলু।

মামলা দায়ের শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে জল্লাদ শাহজাহান বলেন, বড় আশা করে সংসার পেতেছিলাম। কিন্তু স্ত্রী ও তার স্বজনরা যোগসাজশে বিয়ে করে আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। বিয়ের দেড় মাস পর আমার কাছ থেকে নেওয়া ১০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এর কয়েক দিন পর আদালতে গিয়ে সাথী উল্টো আমার নামে মিথ্যা অভিযোগে যৌতুকের মামলা করেছে। আমি আইনজীবীর পরামর্শে আমার স্ত্রীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আদালতে আমি ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করি।

জল্লাদ শাহজাহানের আইনজীবী মো. ওসমান গনি মামলা পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, ৩২ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্তি পান জল্লাদ শাহজাহান। ১৯৯১ সালে আটক হওয়ার আগে ও পরে শাহজাহানের নামে সর্বমোট ৩৬টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলা, একটি ডাকাতি মামলা এবং বাকি ৩৪টি হত্যা মামলা।

কারা সূত্রে জানা যায়, সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় কয়েদি থেকে জল্লাদ হন শাহজাহান।