Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্টোকসের রেকর্ডের দিনে ইংল্যান্ডের বিশাল জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

হ্যারি ব্রুকসের জায়গায় অবসর ভেঙে ওয়ানডেতে কেন বেন স্টোকস? সে প্রশ্নেরই উত্তর মিলেছে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর)। বেন স্টোকস যখন নামেন, ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে ইংল্যান্ড। আবার ট্রেন্ট বোল্টের নতুন বলে সুইংয়ের তোপে স্বাগতিকেরা। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো চাপ নয়, তবে স্টোকসের জন্য সেটিই যেন আদর্শ মঞ্চ। সেখান থেকে ডেভিড ম্যালানের সঙ্গে স্টোকস গড়লেন ১৬৫ বলে ১৯৯ রানের জুটি। আর নিজে খেললেন রেকর্ডগড়া ইনিংস। স্টোকস করেছেন ১২৪ বলে ১৮২ রান, পরে পুরো নিউজিল্যান্ড দল মিলে করতে পেরেছে ১৮৭ রান। ১৮১ রানের বিশাল জয়ে ৪ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।

অবসর ভেঙে ফেরা স্টোকস ৫০ ওভারের জন্য কতটা প্রস্তুত, সে প্রশ্ন ছিল। সেটি যেন উড়িয়ে দিলেন তিনি এ ইনিংসে। ৪৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর মাত্র ৭৬ বলেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি। ইনিংসে সব মিলিয়ে মারেন ১৫টি চার ও ৯টি ছক্কা। জেসন রয়ের ১৮০ রানের ইনিংস (মেলবোর্নের বিপক্ষে ২০১৮ সালে) ছাপিয়ে এটিই এখন কোনো ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস, ওভালেও যেকোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ।

বুধবার ওভালে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানানো যে কতবড় ভুল ছিল, তা এখন ভালোই বুঝতে পারছেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। যদিও শুরুতে দুই ইংলিশ ব্যাটার জনি বেয়ারেস্ট এবং জো রুটকে তুলে নিয়ে ল্যাথার সিদ্ধান্তকেই সঠিক প্রমাণ করেছিলেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।

ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হন জনি বেয়ারস্টো। এরপর দলীয় ১৩ রানের মাথায় ফেরেন জো রুটও।

তবে স্টোকসের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় পাড়ি দিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশ এই অলরাউন্ডার ১২৪ বল খেলে সাজঘরে ফেরার আগে ১৫টি চার এবং ৯টি ছয়ে করেছেন ১৮২ রান। আর তাতে জেসন রয়ের রেকর্ড ভেঙে ইংলিশদের ক্রিকেট ইতিহাসে দুর্দান্ত এক মাইলফলক গড়েছেন স্টোকস।

স্টোকসকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া ডেভিড মালানও পুড়েছেন আক্ষেপে। ৫২ বলে ফিফটি করার পর এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ৯৫ বলে ৯৬ করে বোল্টের দারুণ এক বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। ৯৬ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন ১২ চার এবং ১ ছয় দিয়ে।

ম্যালান ফেরার পর জস বাটলারের সঙ্গে স্টোকসের জুটি। দুজন মিলে ৪৬ বলে করেছেন ৭৮ রান। বাটলার ফেলার পর লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গে স্টোকস যোগ করেছেন আরও ৪৬ রান। স্টোকস ফিরেছেন ৩৪৮ রানে। দ্বি-শটকের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকলেও বেন লিস্টারের বলে ক্যাচ তুলে আউট হন তিনি।
শেষ দিকে এসে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ৪৮.১ ওভারেই ৩৬৮ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্ট নেন ৫ উইকেট। ৩টি নেন বেন লিস্টার। ১টি করে উইকেট নেন লকি ফার্গুসন ও গ্লেন ফিলিপস।

এদিকে ইংল্যান্ডের দেয়া পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ২৪ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারায় তারা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে দলীয় রান ৭০ না হতেই হারায় আরও ৩ উইকেট।

তবে কিছুটা প্রতিরধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন গ্লেন ফিলিপস। রাচিন রবীন্দ্র এবং কাইল জেমিসনের সঙ্গে যথাক্রমে গড়েছিলেন ৪৬ এবং ৫৭ রানের জুটি। তবে দুজনের কেউই তাঁর সঙ্গে কাল ক্রিজে স্থির হতে পারেননি। এক পর্যায়ে ফিলিপস নিজেও আউট হয়ে যান ৭৬ বলে ৭২ রান করেই। ফলে শেষ পর্যন্ত ৩৯ ওভারে ১৮৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এতে ১৮১ রানের বিশাল এক জয় পেয়েছে জস বাটলারের দল। ৩টি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস এবং লিয়াম লিভিংস্টোন। রিসি টপলি ২টি উইকেট নেন, ১টি করে উইকেট নেন স্যাম কারান এবং মঈন আলি।

এমন ইনিংসের পর স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা হয়েছেন বেন। জেসন রায়কে ছাড়িয়ে যাওয়ায় ম্যাচ শেষে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বেন বলেন, ‘কিছুদিন বাইরে থাকার পর দলে ফিরে আসা এবং দলকে সাহায্য করতে পেরে ভালো লাগছে। আমি রয়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছি তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য। তবে এটা একটা ভালো উইকেট। আমরা নিউজিল্যান্ডকে চাপে রাখার কথা বলেছিলাম, বিশেষ করে ওপরের দিকে। সেটি করতে পেরে ভালো লাগছে।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৫ হাজার বিডব্লিউটির বেশি ধারণক্ষমতার জাহাজের মূসক অব্যাহতি : প্রেস সচিব

স্টোকসের রেকর্ডের দিনে ইংল্যান্ডের বিশাল জয়

প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

হ্যারি ব্রুকসের জায়গায় অবসর ভেঙে ওয়ানডেতে কেন বেন স্টোকস? সে প্রশ্নেরই উত্তর মিলেছে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর)। বেন স্টোকস যখন নামেন, ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে ইংল্যান্ড। আবার ট্রেন্ট বোল্টের নতুন বলে সুইংয়ের তোপে স্বাগতিকেরা। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো চাপ নয়, তবে স্টোকসের জন্য সেটিই যেন আদর্শ মঞ্চ। সেখান থেকে ডেভিড ম্যালানের সঙ্গে স্টোকস গড়লেন ১৬৫ বলে ১৯৯ রানের জুটি। আর নিজে খেললেন রেকর্ডগড়া ইনিংস। স্টোকস করেছেন ১২৪ বলে ১৮২ রান, পরে পুরো নিউজিল্যান্ড দল মিলে করতে পেরেছে ১৮৭ রান। ১৮১ রানের বিশাল জয়ে ৪ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।

অবসর ভেঙে ফেরা স্টোকস ৫০ ওভারের জন্য কতটা প্রস্তুত, সে প্রশ্ন ছিল। সেটি যেন উড়িয়ে দিলেন তিনি এ ইনিংসে। ৪৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর মাত্র ৭৬ বলেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি। ইনিংসে সব মিলিয়ে মারেন ১৫টি চার ও ৯টি ছক্কা। জেসন রয়ের ১৮০ রানের ইনিংস (মেলবোর্নের বিপক্ষে ২০১৮ সালে) ছাপিয়ে এটিই এখন কোনো ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস, ওভালেও যেকোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ।

বুধবার ওভালে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানানো যে কতবড় ভুল ছিল, তা এখন ভালোই বুঝতে পারছেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। যদিও শুরুতে দুই ইংলিশ ব্যাটার জনি বেয়ারেস্ট এবং জো রুটকে তুলে নিয়ে ল্যাথার সিদ্ধান্তকেই সঠিক প্রমাণ করেছিলেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।

ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হন জনি বেয়ারস্টো। এরপর দলীয় ১৩ রানের মাথায় ফেরেন জো রুটও।

তবে স্টোকসের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় পাড়ি দিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশ এই অলরাউন্ডার ১২৪ বল খেলে সাজঘরে ফেরার আগে ১৫টি চার এবং ৯টি ছয়ে করেছেন ১৮২ রান। আর তাতে জেসন রয়ের রেকর্ড ভেঙে ইংলিশদের ক্রিকেট ইতিহাসে দুর্দান্ত এক মাইলফলক গড়েছেন স্টোকস।

স্টোকসকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া ডেভিড মালানও পুড়েছেন আক্ষেপে। ৫২ বলে ফিফটি করার পর এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ৯৫ বলে ৯৬ করে বোল্টের দারুণ এক বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। ৯৬ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন ১২ চার এবং ১ ছয় দিয়ে।

ম্যালান ফেরার পর জস বাটলারের সঙ্গে স্টোকসের জুটি। দুজন মিলে ৪৬ বলে করেছেন ৭৮ রান। বাটলার ফেলার পর লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গে স্টোকস যোগ করেছেন আরও ৪৬ রান। স্টোকস ফিরেছেন ৩৪৮ রানে। দ্বি-শটকের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকলেও বেন লিস্টারের বলে ক্যাচ তুলে আউট হন তিনি।
শেষ দিকে এসে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ৪৮.১ ওভারেই ৩৬৮ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্ট নেন ৫ উইকেট। ৩টি নেন বেন লিস্টার। ১টি করে উইকেট নেন লকি ফার্গুসন ও গ্লেন ফিলিপস।

এদিকে ইংল্যান্ডের দেয়া পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ২৪ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারায় তারা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে দলীয় রান ৭০ না হতেই হারায় আরও ৩ উইকেট।

তবে কিছুটা প্রতিরধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন গ্লেন ফিলিপস। রাচিন রবীন্দ্র এবং কাইল জেমিসনের সঙ্গে যথাক্রমে গড়েছিলেন ৪৬ এবং ৫৭ রানের জুটি। তবে দুজনের কেউই তাঁর সঙ্গে কাল ক্রিজে স্থির হতে পারেননি। এক পর্যায়ে ফিলিপস নিজেও আউট হয়ে যান ৭৬ বলে ৭২ রান করেই। ফলে শেষ পর্যন্ত ৩৯ ওভারে ১৮৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এতে ১৮১ রানের বিশাল এক জয় পেয়েছে জস বাটলারের দল। ৩টি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস এবং লিয়াম লিভিংস্টোন। রিসি টপলি ২টি উইকেট নেন, ১টি করে উইকেট নেন স্যাম কারান এবং মঈন আলি।

এমন ইনিংসের পর স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা হয়েছেন বেন। জেসন রায়কে ছাড়িয়ে যাওয়ায় ম্যাচ শেষে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বেন বলেন, ‘কিছুদিন বাইরে থাকার পর দলে ফিরে আসা এবং দলকে সাহায্য করতে পেরে ভালো লাগছে। আমি রয়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছি তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য। তবে এটা একটা ভালো উইকেট। আমরা নিউজিল্যান্ডকে চাপে রাখার কথা বলেছিলাম, বিশেষ করে ওপরের দিকে। সেটি করতে পেরে ভালো লাগছে।’