Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আসামির মৃত্যুদণ্ড

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্কুলছাত্রী লায়লা আক্তার লিমু হত্যা মামলায় এক যুবককে মুত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। একই সঙ্গে লাশ গুম করার দায়ে তাকে আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, অনাদায়ে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফায়জুন্নেসা এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. খোকন (৪৩) সিরাজদিখান উপজেলার পাউসার গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ও দুই সন্তানের জনক।

নিহতের বড় ভাই মো. রিপন মিয়া বলেন, আমার বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা আসামির শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আদালত অভিযুক্ত খোকনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আমরা চাই যেন দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন হয়।

মামলা বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী এলাকায় কেনাকাটার জন্য বের হন কিশোরী লায়লা আক্তার লিমু। পরে ৩০ আগস্ট স্থানীয় বাড়ৈখালী বাজারে চান মার্কেট সংলগ্ন ইছামতী নদীর পাড় থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত খোকনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা আব্দুল মতিন। মামলার তদন্তে লিমুকে ধর্ষণের পর ধামাচাপা দিতে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা উঠে আসে।

অ্যাডভোকেট লাবলু মোল্লা জানান, ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারা ও বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় ট্রাইবুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। সার্বিক বিচারকার্য শেষে আদালতের বিচারক আজ এই রায় প্রদান করেন। এতে হত্যা করে লাশ ঘুম করার অপরাধে মামলার আসামি মো. খোকনকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আসামির মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্কুলছাত্রী লায়লা আক্তার লিমু হত্যা মামলায় এক যুবককে মুত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। একই সঙ্গে লাশ গুম করার দায়ে তাকে আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, অনাদায়ে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফায়জুন্নেসা এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. খোকন (৪৩) সিরাজদিখান উপজেলার পাউসার গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ও দুই সন্তানের জনক।

নিহতের বড় ভাই মো. রিপন মিয়া বলেন, আমার বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা আসামির শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আদালত অভিযুক্ত খোকনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আমরা চাই যেন দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন হয়।

মামলা বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী এলাকায় কেনাকাটার জন্য বের হন কিশোরী লায়লা আক্তার লিমু। পরে ৩০ আগস্ট স্থানীয় বাড়ৈখালী বাজারে চান মার্কেট সংলগ্ন ইছামতী নদীর পাড় থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত খোকনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা আব্দুল মতিন। মামলার তদন্তে লিমুকে ধর্ষণের পর ধামাচাপা দিতে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা উঠে আসে।

অ্যাডভোকেট লাবলু মোল্লা জানান, ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারা ও বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় ট্রাইবুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। সার্বিক বিচারকার্য শেষে আদালতের বিচারক আজ এই রায় প্রদান করেন। এতে হত্যা করে লাশ ঘুম করার অপরাধে মামলার আসামি মো. খোকনকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।