Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী যুবক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

সৌদি আরবে ফুড ডেলিভারির কাজ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ইসহাক সায়েদ (২১) নামের এক প্রবাসী মারা গেছেন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ভোররাতে দাম্মামে মোটরসাইকেলে করে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে একটি দ্রুতগতির ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন ইসহাক। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত ইসহাক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার আড়াইবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলমের ছেলে এবং হাঙ্গরি নামক একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে দাম্মাম শহরে খাবার ডেলিভারি দিতে গিয়ে ট্রাকের চাপায় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইসহাক। তিনি সৌদি আরবের ‘হাঙ্গেরি’ নামক একটি কোম্পানিতে ফুড ডেলিভারি রাইডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ইসহাকের বাবা খোরশেদ আলম বলেন, সংসারের হাল ধরতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় গত বছরের আগস্ট মাসে ছেলেকে সৌদি আরব পাঠাই। কিন্তু আজ তাকে হারালাম। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন, যেন আমার ছেলের মরদেহ দ্রুত দেশে ফেরত আনা হয়।

এদিকে তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, ইসহাক ছিলেন ভদ্র ও পরিশ্রমী এক তরুণ। তার এভাবে চলে যাওয়া পুরো এলাকায় শোকের আবহ তৈরি করেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী যুবক নিহত

প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

সৌদি আরবে ফুড ডেলিভারির কাজ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ইসহাক সায়েদ (২১) নামের এক প্রবাসী মারা গেছেন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ভোররাতে দাম্মামে মোটরসাইকেলে করে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে একটি দ্রুতগতির ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন ইসহাক। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত ইসহাক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার আড়াইবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলমের ছেলে এবং হাঙ্গরি নামক একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে দাম্মাম শহরে খাবার ডেলিভারি দিতে গিয়ে ট্রাকের চাপায় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইসহাক। তিনি সৌদি আরবের ‘হাঙ্গেরি’ নামক একটি কোম্পানিতে ফুড ডেলিভারি রাইডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ইসহাকের বাবা খোরশেদ আলম বলেন, সংসারের হাল ধরতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় গত বছরের আগস্ট মাসে ছেলেকে সৌদি আরব পাঠাই। কিন্তু আজ তাকে হারালাম। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন, যেন আমার ছেলের মরদেহ দ্রুত দেশে ফেরত আনা হয়।

এদিকে তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, ইসহাক ছিলেন ভদ্র ও পরিশ্রমী এক তরুণ। তার এভাবে চলে যাওয়া পুরো এলাকায় শোকের আবহ তৈরি করেছে।