Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোহিনীর সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণা

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

একটি সিরিজের শুটিং চলাকালীন টালিউডের দুই অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও তৃণা সাহার ঝামেলার কথা এতদিন সবার জানা। ঘটনার পর ‘মাতঙ্গী’ নামের সেই সিরিজটি থেকে তৃণা সাহার বাদ পড়ার খবরও শোনা গিয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে চুপই ছিলেন সোহিনী ও তৃণা। অবশেষে এই ঘটনায় মুখ খুললেন অভিযুক্ত তৃণা।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে তৃণা সাহা বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম যা ঘটেছে তা নিজেদের মধ্যেই থাকুক। এখন দেখছি আমার চুপ থাকার সুবিধা নিচ্ছেন অন্যরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে আমাকে ভিলেন বানানো হচ্ছে। ঘটনার একটা দিকই সকলে জানতে পারছেন। যে কাজটা আগে কখনও করিনি, এখন কেন করলাম— সেটাও তো বুঝতে হবে। আমাকে চিত্রনাট্য শুনিয়েছিলেন দীপাঞ্জনদা (দীপাঞ্জন চন্দ, পরিচালক), শুরুতেই তাকে বলেছিলাম, আলাদা মেকআপ রুম লাগবে। ক্যামেলিয়ার সঙ্গে এর আগে একটা কাজের অভিজ্ঞতা খারাপ। দীপাঞ্জনদা বলেছিলেন, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আমি মেকআপ আর্টিস্ট, অ্যাটেনডেন্স কিচ্ছু চাইনি। আমার বিরুদ্ধে যে কথা বলা হচ্ছে সেগুলি মিথ্যা।

তার দাবি, প্রথমদিন তিনি আলাদা মেকআপ রুম পাননি। পরদিন আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তবে শট দিয়ে ফেরার পর অভিনেত্রী নাকি দেখেন, তার জামাকাপড়, জিনিসপত্র অপরিষ্কার ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এরপরই তিনি মেজাজ হারান। আর বিষয়টি নিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। পরের দিন দুই সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করেছিলেন, কোনো অভিযোগ ছাড়াই। তবে সেদিন নাকি শুটিং হতে দেরি হয়। রাতের খাবারের কথাও বলা হয়নি। শুটিংয়ের প্রত্যেকদিনই কিছু না কিছু অব্যবস্থা ছিল।

তৃণার কথায়, কই আমি তো সম্প্রতি রিঙ্গোদার সঙ্গে আউটডোর শুট করলাম। সেখানে মেকআপ রুম তো দূরঅস্ত! রাস্তাঘাটে টয়লেট করতে হয়েছে। সেখানে কোনো আপত্তি করিনি, কারণ তারা একজন শিল্পীকে প্রাপ্য সম্মানটা দিতে জানে। এটা ঠিক যে, আমি সেদিন চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোর ছেড়ে বেড়িয়ে আসি।

সোহিনী সরকারের সঙ্গে কি সত্যিই ইগোর লড়াই? এ প্রসঙ্গে তৃণার মন্তব্য, ‘ইগোর লড়াই কেন থাকবে! ও কী সুবিধা পাচ্ছে তাতে আমার কিচ্ছু যায়-আসে না! আমার শুধু নিজের প্রাপ্যটুকু পেলেই হলো। এসবের মাঝেই ও হঠাৎ করে আর্টিস্ট গ্রুপে মেসেজ করল। নাম না করলেই কি যা ইচ্ছে তা লিখে দেওয়া যায়? তাই ওকে ক্ষমা চাইতে বলি। কিন্তু প্রোডাকশন জানায়, ও ক্ষমা চাইবে না। এরপর পরিচালক, প্রযোজকরা আমাকে বলতে থাকেন, মানিয়ে নে। ভুলে যা। অসম্ভব মানসিক চাপের সৃষ্টি করা হচ্ছিল। আমার কোনো দোষ নেই অথচ আমাকে মানিয়ে নিতে হবে! ওই নেতিবাচক পরিস্থিতিতে কাজ করা সম্ভব ছিল না। অগ্রীম পারিশ্রমিকও ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা জানায়, ওটা আমার তিন দিনের কাজের পারিশ্রমিক। যা ঘটল তা আমার জন্য বড় একটা শিক্ষা।

তারপরও কাজ করতে চেয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে মেইল করেছিলেন তৃণা। সেখানে বেশ কিছু শর্ত দেন তিনি। তাদের তরফে জানানো হয়, ওই শর্তগুলো মানা সম্ভব নয়। এরপরই তৃণার পরিবর্তে রোশনি ভট্টাচার্যকে কাস্ট করা হয়েছে। তৃণার অংশগুলো আবার শুট হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সোহিনীর সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণা

প্রকাশের সময় : ০৩:৫২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

একটি সিরিজের শুটিং চলাকালীন টালিউডের দুই অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও তৃণা সাহার ঝামেলার কথা এতদিন সবার জানা। ঘটনার পর ‘মাতঙ্গী’ নামের সেই সিরিজটি থেকে তৃণা সাহার বাদ পড়ার খবরও শোনা গিয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে চুপই ছিলেন সোহিনী ও তৃণা। অবশেষে এই ঘটনায় মুখ খুললেন অভিযুক্ত তৃণা।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে তৃণা সাহা বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম যা ঘটেছে তা নিজেদের মধ্যেই থাকুক। এখন দেখছি আমার চুপ থাকার সুবিধা নিচ্ছেন অন্যরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে আমাকে ভিলেন বানানো হচ্ছে। ঘটনার একটা দিকই সকলে জানতে পারছেন। যে কাজটা আগে কখনও করিনি, এখন কেন করলাম— সেটাও তো বুঝতে হবে। আমাকে চিত্রনাট্য শুনিয়েছিলেন দীপাঞ্জনদা (দীপাঞ্জন চন্দ, পরিচালক), শুরুতেই তাকে বলেছিলাম, আলাদা মেকআপ রুম লাগবে। ক্যামেলিয়ার সঙ্গে এর আগে একটা কাজের অভিজ্ঞতা খারাপ। দীপাঞ্জনদা বলেছিলেন, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আমি মেকআপ আর্টিস্ট, অ্যাটেনডেন্স কিচ্ছু চাইনি। আমার বিরুদ্ধে যে কথা বলা হচ্ছে সেগুলি মিথ্যা।

তার দাবি, প্রথমদিন তিনি আলাদা মেকআপ রুম পাননি। পরদিন আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তবে শট দিয়ে ফেরার পর অভিনেত্রী নাকি দেখেন, তার জামাকাপড়, জিনিসপত্র অপরিষ্কার ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এরপরই তিনি মেজাজ হারান। আর বিষয়টি নিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। পরের দিন দুই সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করেছিলেন, কোনো অভিযোগ ছাড়াই। তবে সেদিন নাকি শুটিং হতে দেরি হয়। রাতের খাবারের কথাও বলা হয়নি। শুটিংয়ের প্রত্যেকদিনই কিছু না কিছু অব্যবস্থা ছিল।

তৃণার কথায়, কই আমি তো সম্প্রতি রিঙ্গোদার সঙ্গে আউটডোর শুট করলাম। সেখানে মেকআপ রুম তো দূরঅস্ত! রাস্তাঘাটে টয়লেট করতে হয়েছে। সেখানে কোনো আপত্তি করিনি, কারণ তারা একজন শিল্পীকে প্রাপ্য সম্মানটা দিতে জানে। এটা ঠিক যে, আমি সেদিন চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোর ছেড়ে বেড়িয়ে আসি।

সোহিনী সরকারের সঙ্গে কি সত্যিই ইগোর লড়াই? এ প্রসঙ্গে তৃণার মন্তব্য, ‘ইগোর লড়াই কেন থাকবে! ও কী সুবিধা পাচ্ছে তাতে আমার কিচ্ছু যায়-আসে না! আমার শুধু নিজের প্রাপ্যটুকু পেলেই হলো। এসবের মাঝেই ও হঠাৎ করে আর্টিস্ট গ্রুপে মেসেজ করল। নাম না করলেই কি যা ইচ্ছে তা লিখে দেওয়া যায়? তাই ওকে ক্ষমা চাইতে বলি। কিন্তু প্রোডাকশন জানায়, ও ক্ষমা চাইবে না। এরপর পরিচালক, প্রযোজকরা আমাকে বলতে থাকেন, মানিয়ে নে। ভুলে যা। অসম্ভব মানসিক চাপের সৃষ্টি করা হচ্ছিল। আমার কোনো দোষ নেই অথচ আমাকে মানিয়ে নিতে হবে! ওই নেতিবাচক পরিস্থিতিতে কাজ করা সম্ভব ছিল না। অগ্রীম পারিশ্রমিকও ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা জানায়, ওটা আমার তিন দিনের কাজের পারিশ্রমিক। যা ঘটল তা আমার জন্য বড় একটা শিক্ষা।

তারপরও কাজ করতে চেয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে মেইল করেছিলেন তৃণা। সেখানে বেশ কিছু শর্ত দেন তিনি। তাদের তরফে জানানো হয়, ওই শর্তগুলো মানা সম্ভব নয়। এরপরই তৃণার পরিবর্তে রোশনি ভট্টাচার্যকে কাস্ট করা হয়েছে। তৃণার অংশগুলো আবার শুট হবে।