Dhaka শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হবো : পাটমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হবো। পলিথিন নয় মানুষের হাতে থাকবে পাট থেকে তৈরি সোনালী ব্যাগ । এই ব্যাগের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। জুলাইয়ে ১০০ কোটি টাকা অর্থ ছাড় হলে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হবে। এজন্য বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) ডেমরায় লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস প্রাঙ্গণে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খান উদ্ভাবিত সোনালী ব্যাগ উৎপাদন কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খান ছাড়াও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাটমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিক বা পলিথিনের অতি ব্যবহারের কারণে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি বিপদসংকুল পরিবেশে পতিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খানকে সার্বিকভাবে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন। প্লাস্টিক বা পলিথিনের বিকল্প হিসেবে আমরা পাট থেকে প্রস্তুত করা এই সোনালী ব্যাগ ব্যবহার করবো। ড. মোবারক আহমদ খানের এই সোনালী ব্যাগ প্রকল্প কোন পর্যায়ে আছে আমরা তা স্বচক্ষে আজকে দেখতে এসেছি। আমি মনে করি, বাঙালি জাতি অনেক সৃষ্টিশীল। আমরা এই জায়গায় অনেক এগিয়ে যাবো।’

ড. মোবারক একজন কেমিস্ট হয়েও নিজেই কাস্টমাইজ করে মেশিনারিজ তৈরি করায় মন্ত্রী তার ভূয়সী প্রশংসা করেন । মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে প্রয়োজনীয় পুঁজিসহ একটি প্রকল্প দিয়েছেন। প্রায় ১০০ কোটি টাকার। এ ব্যাপারে যত রকম সহযোগিতা দরকার আমরা করবো। আমরা সামনে পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালনা করবো— তার আগে জনসাধারণের হাতে বিকল্প তুলে দিতে হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি— পলিথিনের বিকল্প সোনালী ব্যাগকে উৎপাদনে এনে ব্যাপকভাবে মানুষের হাতে তুলে দিতে।
ঈদের পরে কোনও পাটকল চালু হচ্ছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঠিক ঈদের পরেই চালু হবে এমনটা নয়, তবে মিলগুলো তৈরি হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে চালু হবে আশা করি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হবো : পাটমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হবো। পলিথিন নয় মানুষের হাতে থাকবে পাট থেকে তৈরি সোনালী ব্যাগ । এই ব্যাগের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। জুলাইয়ে ১০০ কোটি টাকা অর্থ ছাড় হলে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হবে। এজন্য বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) ডেমরায় লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস প্রাঙ্গণে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খান উদ্ভাবিত সোনালী ব্যাগ উৎপাদন কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খান ছাড়াও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাটমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিক বা পলিথিনের অতি ব্যবহারের কারণে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি বিপদসংকুল পরিবেশে পতিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খানকে সার্বিকভাবে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন। প্লাস্টিক বা পলিথিনের বিকল্প হিসেবে আমরা পাট থেকে প্রস্তুত করা এই সোনালী ব্যাগ ব্যবহার করবো। ড. মোবারক আহমদ খানের এই সোনালী ব্যাগ প্রকল্প কোন পর্যায়ে আছে আমরা তা স্বচক্ষে আজকে দেখতে এসেছি। আমি মনে করি, বাঙালি জাতি অনেক সৃষ্টিশীল। আমরা এই জায়গায় অনেক এগিয়ে যাবো।’

ড. মোবারক একজন কেমিস্ট হয়েও নিজেই কাস্টমাইজ করে মেশিনারিজ তৈরি করায় মন্ত্রী তার ভূয়সী প্রশংসা করেন । মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে প্রয়োজনীয় পুঁজিসহ একটি প্রকল্প দিয়েছেন। প্রায় ১০০ কোটি টাকার। এ ব্যাপারে যত রকম সহযোগিতা দরকার আমরা করবো। আমরা সামনে পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালনা করবো— তার আগে জনসাধারণের হাতে বিকল্প তুলে দিতে হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি— পলিথিনের বিকল্প সোনালী ব্যাগকে উৎপাদনে এনে ব্যাপকভাবে মানুষের হাতে তুলে দিতে।
ঈদের পরে কোনও পাটকল চালু হচ্ছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঠিক ঈদের পরেই চালু হবে এমনটা নয়, তবে মিলগুলো তৈরি হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে চালু হবে আশা করি।