Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে তিন কি.মি. সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর শহরের তামান্না মোড় থেকে বাইপাস সড়কের ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। সড়কজুড়ে খানাখন্দ। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ১০ বছর ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।

বুধবার (১২ জুলাই) সকালে ওই সড়কের সৈয়দপুর থানার সামনে গেলে দেখা যায় অসংখ্য গর্ত। ২ নম্বর রেলগুমটি ও পাওয়ার হাউসের কাছে সড়কটি আরও বেহাল। তামান্না মোড় থেকে ২ নম্বর রেলগুমটি পর্যন্ত সড়কটির নাম শেরেবাংলা সড়ক ও রেলগুমটি থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত সড়কটি কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক নামে পরিচিত।

রাস্তাটির সবখানে উঠে গেছে পিচের কার্পেটিং, বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কজুড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের অদৃশ্য গর্তে পড়ে রিকশা, ইজিবাইক উল্টে যায়। ফলে যাত্রীরা দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হন। আর গ্রীষ্মকালে ধুলায় একাকার হয়ে পড়ে সড়ক। শেরেবাংলা সড়কের শিল্প সাহিত্য সংসদ সুপারমার্কেট এলাকার বাসিন্দা ও সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম দাঁড়িয়ে ছিলেন বাড়ির সামনে। তিনি বলেন, ‘নাভিশ্বাস উঠেছে আমাদের। ভাঙা রাস্তায় প্রতিদিন রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক উল্টে পড়ছে। যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। বৃদ্ধ মানুষ এই পথে চলাচল করতেই পারছেন না। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার এই হাল বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।’

ওই এলাকা থেকে কিছু দূর আসতে কথা হয় রিকশাচালক জয়নালের সঙ্গে। তিনি বলেন, রিকশার ফ্রক ও স্পোক ভেঙে যাচ্ছে রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে। খুব কষ্ট হচ্ছে আমাদের। পৌর মেয়র এদিকে নজর দিচ্ছেন না। ওয়াপদা মোড়ে দূরপাল্লার বাস থেকে নেমে ইজিবাইকে ওই পথে আসছিলেন জোবাইদা পারভীন নামের এক ভদ্র মহিলা। গোলাহাটের কাছে ঘোড়াঘাট বাজারে তাঁর ইজিবাইকটি উল্টে যায়। ক্ষুব্ধ ওই নারী বলেন, ‘রাস্তার সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে।

গোলাহাটের বাসিন্দা ওয়াকার আনসারী বলেন, দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এবড়োখেবড়ো হয়ে পড়েছে সড়কটি। তিনি সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।

এ নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের সঙ্গে। তিনি ওই সড়কে চলাচলে দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কটির জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এটি পুনর্র্নিমাণ করা হলে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

সৈয়দপুরে তিন কি.মি. সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ মানুষ

প্রকাশের সময় : ০২:২২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর শহরের তামান্না মোড় থেকে বাইপাস সড়কের ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। সড়কজুড়ে খানাখন্দ। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ১০ বছর ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।

বুধবার (১২ জুলাই) সকালে ওই সড়কের সৈয়দপুর থানার সামনে গেলে দেখা যায় অসংখ্য গর্ত। ২ নম্বর রেলগুমটি ও পাওয়ার হাউসের কাছে সড়কটি আরও বেহাল। তামান্না মোড় থেকে ২ নম্বর রেলগুমটি পর্যন্ত সড়কটির নাম শেরেবাংলা সড়ক ও রেলগুমটি থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত সড়কটি কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক নামে পরিচিত।

রাস্তাটির সবখানে উঠে গেছে পিচের কার্পেটিং, বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কজুড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের অদৃশ্য গর্তে পড়ে রিকশা, ইজিবাইক উল্টে যায়। ফলে যাত্রীরা দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হন। আর গ্রীষ্মকালে ধুলায় একাকার হয়ে পড়ে সড়ক। শেরেবাংলা সড়কের শিল্প সাহিত্য সংসদ সুপারমার্কেট এলাকার বাসিন্দা ও সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম দাঁড়িয়ে ছিলেন বাড়ির সামনে। তিনি বলেন, ‘নাভিশ্বাস উঠেছে আমাদের। ভাঙা রাস্তায় প্রতিদিন রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক উল্টে পড়ছে। যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। বৃদ্ধ মানুষ এই পথে চলাচল করতেই পারছেন না। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার এই হাল বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।’

ওই এলাকা থেকে কিছু দূর আসতে কথা হয় রিকশাচালক জয়নালের সঙ্গে। তিনি বলেন, রিকশার ফ্রক ও স্পোক ভেঙে যাচ্ছে রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে। খুব কষ্ট হচ্ছে আমাদের। পৌর মেয়র এদিকে নজর দিচ্ছেন না। ওয়াপদা মোড়ে দূরপাল্লার বাস থেকে নেমে ইজিবাইকে ওই পথে আসছিলেন জোবাইদা পারভীন নামের এক ভদ্র মহিলা। গোলাহাটের কাছে ঘোড়াঘাট বাজারে তাঁর ইজিবাইকটি উল্টে যায়। ক্ষুব্ধ ওই নারী বলেন, ‘রাস্তার সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে।

গোলাহাটের বাসিন্দা ওয়াকার আনসারী বলেন, দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এবড়োখেবড়ো হয়ে পড়েছে সড়কটি। তিনি সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।

এ নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের সঙ্গে। তিনি ওই সড়কে চলাচলে দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কটির জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এটি পুনর্র্নিমাণ করা হলে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।