Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেহরিতে চেতনানাশক খাইয়ে সর্বস্ব লুট, হাসপাতালে ৩

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

লক্ষ্মীপুরের সেহরিতে চেতনানাশক মেশানো খাবার খাইয়ে একই পরিবারের তিনজনকে অচেতন করে টাকা-স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র লুটের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোরে উপজেলার মতিরহাট এলাকার পাটওয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

অচেতন হওয়া মান্নান পাটওয়ারী, তার স্ত্রী কহিনুর বেগম ও পুত্রবধূ শারমিন আক্তার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মান্নানের ছেলে বাবুল পাটওয়ারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেহরির সময় খাবার খেয়ে মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। তবে বাকিরা সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় ডাকাডাকি করি। তবুও সাড়া না প্রতিবেশীদের ডেকে আনি। প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে মান্নান, তার স্ত্রী ও পুত্রবধূকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘরের আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত কেউ তাদের সেহরির সঙ্গে চেতনানাশক কিছু মিশিয়ে দিয়েছে। এতে খাবার খাওয়ার পরে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে তারা ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

মান্নান পাটওয়ারীর আরেক ছেলে বাবুল পাটওয়ারী বলেন, আমি আলাদা থাকি। বাবা-মা ও আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে হাসপাতাল ভর্তি করেছি। তারা এখনো স্বাভাবিক হননি। তাদের ঘরে সব এলোমেলো ছিল। লুটপাট হয়েছে। তবে কি পরিমাণ অর্থ বা স্বর্ণালংকার ছিল, তা বলতে পারছি না।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, চেতনানাশক ওষুধের কারণে ওই তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সবাই শঙ্কামুক্ত।

কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

সেহরিতে চেতনানাশক খাইয়ে সর্বস্ব লুট, হাসপাতালে ৩

প্রকাশের সময় : ০২:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

লক্ষ্মীপুরের সেহরিতে চেতনানাশক মেশানো খাবার খাইয়ে একই পরিবারের তিনজনকে অচেতন করে টাকা-স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র লুটের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোরে উপজেলার মতিরহাট এলাকার পাটওয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

অচেতন হওয়া মান্নান পাটওয়ারী, তার স্ত্রী কহিনুর বেগম ও পুত্রবধূ শারমিন আক্তার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মান্নানের ছেলে বাবুল পাটওয়ারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেহরির সময় খাবার খেয়ে মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। তবে বাকিরা সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় ডাকাডাকি করি। তবুও সাড়া না প্রতিবেশীদের ডেকে আনি। প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে মান্নান, তার স্ত্রী ও পুত্রবধূকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘরের আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত কেউ তাদের সেহরির সঙ্গে চেতনানাশক কিছু মিশিয়ে দিয়েছে। এতে খাবার খাওয়ার পরে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে তারা ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

মান্নান পাটওয়ারীর আরেক ছেলে বাবুল পাটওয়ারী বলেন, আমি আলাদা থাকি। বাবা-মা ও আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে হাসপাতাল ভর্তি করেছি। তারা এখনো স্বাভাবিক হননি। তাদের ঘরে সব এলোমেলো ছিল। লুটপাট হয়েছে। তবে কি পরিমাণ অর্থ বা স্বর্ণালংকার ছিল, তা বলতে পারছি না।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, চেতনানাশক ওষুধের কারণে ওই তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সবাই শঙ্কামুক্ত।

কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।